হতে পারি বদ অথবা ফাজিল কিংবা একটু দুষ্টু প্রকৃতির। আমি নিজেকে জোকার ভাবতেও ভালবাসি। কিন্তু আমি চরম ঠোঁটকাটা। আমি সত্যের জন্য কারো পরোয়া করি না। কারন পাপ বাপকেও ছাড়ে না।
নিশ্চই মিথ্যা বিলুপ্ত হবে। www.facebook.com/RISALATMAX আজ বিশ্ব মা দিবস। জানিনা আমি আমার মা কে কতটুকু ভালবাসতে পেরেছি। তবে এতটুকু বলতে পারি আমি আমার মাকে সব সময় ভালবাসি বা আমার মায়ের ওড়নাটাকে বেশি ভালবাসি। এই কারনে কতিপয় ললনা আমাকে 'ওড়না বাবা' উপাধি দান করিয়াছেন।
এর কারন হল-
১. ভাত খাইছি। হাত মুছিবার জইন্যে কিছু পাই নাই। আম্মাজানের ওড়নায় কাম সাইরা দিছি।
.
২. গোসলের সময় গামছা খুইজা না পাইলে আলমারি থেকে আম্মার ওড়না লইয়া বাথরুমে যাই।
.
৩. গরমের সময় ঘরে খালি গায় থাকা অবস্থায় যদি দেকি পাশের ছাদে ললনারা উকি ঝুকিমারিতেচে তাইলে আম্মার ওড়না চাদরের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হইতে বাধ্য।
.
৪. অসময়ে ক্ষুধা লাগিলে খাদ্যের জইন্যে গৃহকর্তীর পড়িহিত ওড়নার কোনা ধরিয়া দাড়াইয়া থাকা আমার বহুদিনের পুরাতন অভ্যাশ।
.
৫. ফ্লোরে বইসা ভাত খাইতে সময় আম্মার ওড়না বিছাইয়া ভাত খামুই।
.
৬. গায়ে কাথাঁ না নিয়ে আমি ঘুমাতে পারি না আবার গরমে গায়ে দেওয়াও যায় না। কাজেই আম্মার ওড়না আমার শ্যাষ ভরসা।
.
৭. ঠান্ডা লাগিলে যখন নাক দিয়া পদ্মা মেঘনা বাইর হয় তখন ঘরে হাজারটা টিস্যু বক্স থাকিলেও ওড়নাই আমার শেষ ভরসা।
.
৮. নামায পড়িতে গেলেও জায়নামায রাখিয়া ভুলে কখনো কখনো আম্মার ওড়না ব্যবহার করি।
.
.
(যাহারা বিনুদিত হইয়াছেন তাহাদের বলিতে চাই 'ওড়না বাবা' উপাধি অর্জন করা এত সহজ নহে। কারন ইহা অর্জন করিতে গিয়ে প্রচুর পরিমান থাপ্পর ও খুন্তির বারি হজম করিতে হইয়াছে। কারন কষ্ট নাকরিলে কেষ্ট মেলে না। ) ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।