আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রবীন্দ্র সার্ধশতজন্মবার্ষিকীতে বালিয়াটি প্রাসাদে ভ্রমন....(একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য ফটোব্লগ-২)

www.facebook.com/tawasawbil ফেইসবুকে "অসামাজিক আমি"

বালিয়াটি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু আছে কি??? বালিয়াটি ভ্রমনের প্রথম পর্ব এখানে পাবেন স্বাভাবতই ভ্রমনের জন্য কিছুটা হলেও ক্লান্ত ছিলাম আমরা সবাই... কিন্তু সেই ভ্রমনক্লান্তি যেন বালিয়াটি প্রাসাদ আমাদের এক পরশেই মুছে দিলো.... বালিয়াটির আরো কিছু ইতিহাস সংক্ষিপ্তভাবে তুলে ধরবার চেষ্টা করলাম....সাথে বাকি কিছু ফটোওয়ার্ক বর্তমানে যে প্রসাদটি "বালিয়াটি প্রাসাদ" নামে খ্যাত এটি কে বলা হতো পূর্ব বাড়ী। এদের রাজত্বকাল ছিল ১৭৯৩-১৯৪৮সাল পর্যন্ত। ১৯৪৮ সালে ‍ইতি ঘটে তাদের জমিদারী। এখানে জমিদারী করতেন চারটি পরিবার বড় তরফ, মেঝ তরফ, নয়া তরফ এবং ছোট তরফ। বড় তরফের প্রধান জমিদার রাজচন্দ্র, মেঝ তরফের প্রধান জমিদার ঈশ্বর চন্দ্র, নয়া তরফের প্রধান জমিদার ভগবাদ চন্দ্র এবং ছোটতরফের প্রধান জমিদার ভৈরব চন্দ্র।

পশ্চিম থেকে পূর্ব পযর্ন্ত যে চারটি সুবৃহত ও সৃদৃশ্য অট্রলিকা দাড়িয়ে আছে এ গুলো বড়, মেঝ, নয়া ও ছোট তরফ নামে জনশ্রুতিতে নিবন্ধ। ১৩০০ বঙ্গাব্দের ১লা বৈশাখ এই প্রাসাদে জমিদারগন প্রথম এ গৃহপ্রবেশ করেন বলে জানা যায়। ১৬.৪০ একর বিশাল এলাকা জুড়ে ছিল এই বাড়ীর অবস্থান। ৫.৮৮ একর জমির উপরে বড়ির মূল সৌধমালা। ১০.৫২ একর জায়গার মধ্যে ছিল বিশাল বাগান।

সামনের চারটি প্রসাদ ব্যবহারিত হত ব্যবসায়িক কাজে। এই প্রসাদের পেছনের প্রাসাদকে বলা হয় অন্দর মহল সেখানে বসবাস করত তারা। ১৯৪৮ সালে জমিদাররা চলে যাবার পর এই প্রসাদে চলে লুটপাট। তখন বালিয়াটীতে একটি ক্লাব তৈরি করা হয় এতে কিছু হলেও কমেছিল লুটপাট। ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর অধিগ্রহন করেন এবং বর্তমানে এর সংস্কার কাজ চলছে.... প্রাসাদ রঙ্গমহল..... ভেতরের প্রাসাদমহল.... জমিদারদের পুকুর.... এর মধ্যেই সন্ধ্যা গড়িয়ে এলো,দিনের আলো নিভু নিভু ....ঘড়ির কাঁটা মনে করিয়ে দিচ্ছে বাড়ি ফিরে চলবার কথা...কিন্তু বালিয়াটি এরই মধ্যে মনে কোণে জায়গা করে নিয়েছে অবশেষে রওনা হয়ে গেলাম ঢাকার পথে....পেছনে বালিয়াটি প্রাসাদ যেন আবার তাকে দেখে যাবার হাত ছানি দিচ্ছে.... সবাই একবার করে হলেও আমাদের দেশী এ সম্পদ দেখে আসতে পারেন.. আশা করছি দেখা হবে আবার অন্য কোন জমিদার বাড়ির ফটোওয়ার্ক নিয়ে.... আবার আপনাদের সামনে আরো কিছু ভালো ছবি তুলে ধরবার চেষ্টা করবো.... ধন্যবাদ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।