:::.....সাফল্য একদিনে আসে না.....:::
বেসরকারি প্রচেষ্টা থেমে নেই
আফ্রিকার তানজানিয়ায় ৩০ হাজার হেক্টর জমির একটি অংশে ধান ও ভুট্টার চারা রোপণের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ ওই মহাদেশে জমি চাষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করবে আগামী জুনে এবং তা হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে বেসরকারি উদ্যোগে। এ লক্ষ্যে আগামী সপ্তাহে বাংলাদেশের বেসরকারি কৃষিবিষয়ক পরামর্শক ফার্ম ভাটি বাংলা এগ্রিটেকের সঙ্গে তানজানিয়া এগ্রিকালচার পার্টনারশিপ ডিপার্টমেন্টের চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে। তানজানিয়ার সঙ্গে এ ‘জিটুজি’ (সরকার টু সরকার) চুক্তি স্বাক্ষরিত না হলেও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জমি লিজ নিয়ে চাষ করার জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিচ্ছে।
এদিকে, সরকারি উদ্যোগে আফ্রিকা মহাদেশে কৃষি জমি লিজ নিয়ে চাষাবাদ করার পরিকল্পনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের অতিসাবধানি পদক্ষেপের কারণে। বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এ রিজার্ভ ২০ বিলিয়নে উত্তীর্ণ হলেই বিদেশে অর্থ পাঠানোর বিষয়ে বাংলাদেশ চিন্তাভাবনা করতে পারে। লাইবেরিয়া, সেনেগাল, আইভরিকোস্ট ও কেনিয়ায় রয়েছে অনেক চাষযোগ্য পতিত জমি। ওই দেশগুলোতে বিঘা প্রতি মাত্র ২১ সেন্ট (১৪ টাকা) দিয়ে এসব জমি লিজ নেয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা আশা করছে, আগামী দুবছরের মধ্যে আফ্রিকার ৬টি দেশে ৬ লাখ হেক্টরের অধিক জমি লিজ নেবে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে ১০ লাখের অধিক শ্রমিকের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি হবে।
গতবছর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ‘ফ্যাক্টফান্ডিং আফ্রিকা মিশন’ ওই মহাদেশে প্রচুর চাষ উপযোগী জমির সন্ধান পায়। এরমধ্যে জাম্বিয়ায় ২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর, মোজাম্বিকে ২ লাখ ৫০ হাজার হেক্টর, কেনিয়ায় ৫০ হাজার হেক্টর, ঘানায় ৫০ হাজার হেক্টর, তানজানিয়ায় ৩০ হাজার হেক্টর ও উগান্ডায় ৩০ হাজার হেক্টর জমি উল্লেখযোগ্য। এসব জমির সন্ধান পাওয়ার পর ওইসব দেশগুলোর সঙ্গে সরকার ও ব্যক্তিপর্যায়ে যোগাযোগ করা হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।