আমি কয়েকটা নিউজ পেপার থেকে জানতে পারলাম 'কন্ট্রাক্ট ফার্মিং' এর আওতায় পশ্চিম আফ্রিকার কয়েকটি দেশে ধানসহ অন্যান্য খাদ্যশস্য উৎপাদনের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখছে বাংলাদেশ। এজন্য জমি ইজারা নেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছে বাংলাদেশ। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ ঘানা, সেনেগাল, আইভরি কোস্ট ও লাইবেরিয়া এ ব্যাপারে আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র সচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েস।
নিউজটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। পররাষ্ট্র সচিব বলেছেন কন্ট্রাক্ট ফার্মিং পদ্ধতিতে বাংলাদেশি কৃষকরা সে সব দেশে গিয়ে ফসল ফলাবে এবং উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক বাংলাদেশ পাবে।
ওইসব দেশে বিপুল উর্বর কৃষি জমি রয়েছে। কিন্তু সেখানে শুধু বৃষ্টিনির্ভর একটি ফসল হয়। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি কন্ট্রাক্ট ফার্মিংয়ের আওতায় তারা আমাদের জমি দেবে। আমরা বিশেষজ্ঞ এবং কৃষক পাঠাবো। বাংলাদেশিরা সেখানে বছরে কয়েকটি ফসল ফলাবে এবং স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ দেবে।
লাইবেরিয়ায় রাবার চাষের জন্য এক একর জমি এক মার্কিন সেন্ট দিয়ে এক বছরের জন্য লিজ নেওয়া যায়। আমরা এ সুযোগ নিতে পারি। "
মিজারুল কায়েস আরো জানান, কৃষি ছাড়াও এসব দেশে কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, পাটজাত পণ্য, তৈরি পোশাক, সুতা, ফার্মাসিউটিক্যালস, কফি, কোকো ও রাবারসহ কৃষিখাতে বিনিয়োগের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। এসব পণ্য রপ্তানির সুবিধা পেতে সেসব দেশে অনাররি কনস্যুলেট প্রতিষ্ঠাসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারিতে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ওইসব দেশকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।
কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ খাতে বাংলাদেশিদের বিনিয়োগের সম্ভাবনা প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ওইসব দেশে গাছের ফল মাটিতে পড়ে থেকে পচে যায়। ফল প্রক্রিয়াজাত করার বিষয়টি তারা জানেই না। বাংলাদেশের কোম্পানিগুলো সেখানে বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যালস পণ্য জনপ্রিয় করার জন্য ওইসব দেশে ফ্রাইডে ক্লিনিক পরিচালনারও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
তথ্যানুসন্ধান মিশনের সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব নজরুল ইসলাম খান বলেন, "উৎপাদিত ফসলের অর্ধেক তারা পাবে, বাকি অর্ধেক বাংলাদেশ নিয়ে আসবে।
তবে এক্ষেত্রে অর্থ স্থানান্তর ও কৃষি যন্ত্রপাতি পরিবহনসহ কিছু সমস্যা আছে। এজন্য আমাদের আইনে কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। "
পুরোটা পড়ে সম্ভাবনা উজ্জল মনে হচ্হে কিন্তু আমরা যেরকম দু্নীতিবাজ তাতে মনে হয় এই সম্ভাবনাটাও আমরা গলা টিপে মেরে ফেলবো.............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।