রাশেদ বিয়ে করেছে আজ প্রায় দুই বছর হলো , আর প্রবাস জীবনের আট বছর হতে চললো। ওর বউ এরিকা আইরিশ । বাচ্চা হয়নি এখনো কিন্তু ওদের ভালোবাসা এখনো ঠিক সেইদিন গুলোর মতোই যখন ভার্সিটিতে ক্লাশ ফাকি দিয়ে প্রেম করতো ।
সারাদিন অফিসে ব্যস্ত সময় পার করার পর যতটুকু সময় পায় পুরাটাই নিজেদের মতো করে কাটায় ওরা আর সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নে বিভোর থাকে।
উইকএন্ড নাইট ......সারা শহর অলস ঘুমিয়ে পরেছে।
হটাৎ ঘুম ভেঙে যায় রাশেদের , বুঝতে পারে ক্ষিদে লেগেছে । ডাক দেয় এরিকাকে যদি কিছু খাওয়ার থাকে। কিন্তু এরিকা তখন গভীর ঘুমে , তবে ঘুম থেকেই অলস ভাবে বলে ফ্রীজ খুলে দেখতে কিন্তু মনে মনে একটু বিরক্ত হয় রাশেদের ছেলেমানুষি দেখে। রাশেদও তা বুঝতে পারে কষ্ট পায় তবে কিছু বলে না। শুধু তার মনে পড়ে যায় কলেজ জীবনের কথা যখন রাত জাগা তার নিত্য সঙ্গী ছিল।
সময় মতো রাতের খাবার না খেয়ে রাত বিরাতে মা কে জালাতন করতো ক্ষুদার কথা বলে । কি সুন্দর হাসিমুখেই না মা তার সব জালাতন মেনে নিত।
হৃদয় ভেঙ্গে কান্না ডুকরে আসে রাশেদের শুধু অস্ফুট স্বরে বলে উঠে এই জন্যেই তো তুমি আমার মা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।