আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পাইরেটস অফ দা সোমালিয়া ।বিগেনিং পর্ব ১

পেশায় নাবিক নেশায় যাযাবর
সোমালিয়ান পাইরেটস । ৫/৬ বছর ধরে মেরিটাইম বিশ্বে একটি ক্যান্সারের নাম । ইউরোপ হয়ে যে সব জাহাজ এশিয়া / মিডল ইস্ট / ফার ইস্ট ট্রেড(বা ভাইস ভারসা) করে তাদের জন্য ব্যাপারটা দিন দিন আতঙ্ক হয়ে উঠছে । নাবিকদের নিরাপত্তা / জাহাজের নিরাপত্তা / পণ্যের নিরাপত্তা নিয়ে জাহাজ মালিকরা শঙ্কিত । সুয়েজ খালের ব্যাবহার দিন দিন কমছে ।

। গালফ অফ এডেন এখন মেরিনারদের কাছে একটি দুঃস্বপ্ন । সবচেয়ে বড় খারাপ সংবাদ হল পাইরেটদের এরিয়া দিন দিন বাড়ছে। বাংলাদেশী জাহাজ এম ভি জাহান মনি আটক এবং মিডিয়াতে এর ব্যাপক প্রচার বাংলাদেশী মেরিনারদের পারিবারিক জীবনকেও বিপর্যস্ত করেছে । আগে ব্যাপারটা তেমন কেউ জানত না বা খোঁজ নিত না ।

কিন্তু এখন সবাই খোঁজ নেয়া শুরু করেছে । জাহাজের উঠার কথা আসলেই সবাই জিজ্ঞাসা করে রুট কোথায় । আমরা যারা জাহাজে চাকরি করি তাদের কাছে ব্যাপারটা মোটেও নতুন নয় । তাছাড়া ঘটনাটি নিয়ে আন্তর্জাতিক মেরিটাইম ব্যুরো , জাতিসংঘ এবং অনেক দেশ একক ভাবে প্রতি নিয়ত কাজ করে যাচ্ছে । প্রতিদিনই কিছু না কিছু আপডেট হচ্ছে ।

তবে অচিরেই এর সুরাহা হবে এটা নিয়ে কেউই আশাবাদী নয় । কিন্তু জাহাজ ছিনতাই কিভাবে কমানো যায় তার চেষ্টা চলছে । প্রথমেই পাইরেটদের সম্পর্কে একটু জানা দরকার । ছিনতাইকারীদের টিমঃ ও তাদের কৌশল ঃ এই টিমে থাকে এক বা দুজন পুরান নাবিক যারা পাইরেটদের বোট অপারেট করে । বেশ কিছু আশিক্ষিত সেনা যাদেরকে নেয়া হয় বিভিন্ন গ্রাম থেকে যেমন পুন্তল্যান্ড ,মেইন ল্যান্ড , যাবো ,কালুল্লা ইত্যাদি ।

এরা সাধারণত আসে ফিসিং সেক্টর থেকে এবং একে অপরের সাথে ভাল ভাবে পরিচিত । টিমটা তৈরি করা হয় বয়স্ক এবং নবীনদের কম্বিনেশনে । পাইরেটরা নিজেদের ভিতর ট্রেনিং দেয় এবং তাদের নিজস্ব কিছু নীতিমালা থাকে । ডিসিপিলিনের ব্যাপারে তারা খুব সচেতন । এর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

তেমনি পুরষ্কারের ব্যাবস্থা আছে । ছিনতাই করা জাহাজে প্রথম আরোহণকারীকে বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়। ছিনতাই করার জন্য তারা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠলেও নাবিকদের সাথে সহিংস্রতার তেমন কোন নজির পাওয়া যায় না। মুলত; ভঁয় দেখিয়ে টাকা কামানই ওদের উদ্দেশ্য । তারা সাধারণত দিনের বেলায় বেশি আক্রমণ করে (৯০%) এবং সাগরের অবস্থা স্বাভাবিক হলে তাদের কার্যক্রম বেশি লক্ষ করা যায় ।

খারাপ আবহাওয়ায়/রাতের বেলা তাদের তেমন সক্রিয়তা দেখা যায় না । প্রথম প্রথম একে ৪৭ ও সাধারন কিছু অস্ত্র নিয়ে ওরা ছিনতাই করত । কিন্তু সর্বশেষ জাহাজ গুলো আক্রমণের সময় হাল্কা / ভারী মেশিনগান / রকেট লাঞ্চার , অত্যাধুনিক ওয়াকিটকি ব্যাবহার করতে দেখা গেছে । এবং ধারনা করা হয় একটি আন্তর্জাতিক চক্র এখন এসব কাজে বিনিয়োগ করছে । তারই আধুনিক অস্ত্র,বিভিন্ন জাহাজের চলাচলের খবরাখবর ওদের দিয়ে থাকে ।

ওরাই জাহাজের মালিকের সাথে যোগাযোগ, মধ্যস্থস্তা করে । বিনিময়ে মুক্তিপণের একটা অংশ নিয়ে থাকে। (চলবে)
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.