গত এক সপ্তাহ ধরে সাপের উপদ্রব চললেও তা বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হয়নি বলে হলের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা ব্যবস্থা নিচ্ছে।
হলের ছাত্ররা জানান, গত এক সপ্তাহ ধরে সাপ ঢুকে পড়ছে বিভিন্ন কক্ষে। কমন রুম ও টয়লেটেও সাপ দেখা যাচ্ছে। গত এক সপ্তাহে ২০টি সাপ মারা হয়েছে।
১০৫ নম্বর কক্ষের শিক্ষার্থী জাবেদ সজল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গভীর রাতে চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে দেখি, বন্ধুর শরীরের ওপর সাপ বসে আছে। আতঙ্কে এখন কক্ষে ঘুমোতে পারছি না। ”
হলের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলামের অভিযোগ, প্রশাসনকে জানানো হলেও সাপের উপদ্রব বন্ধে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখছি না।
আবাসিক এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রান্তে জঙ্গলঘেরা এলাকার মধ্যে থাকা মীর মশাররফ হোসেন হলে ঢুকে পড়া সাপগুলো গোখরা বলে জানিয়েছেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আবদুল আজিজ।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এগুলো ‘বাইনোসিলেট কোবরা’।
এই সাপের কামড়ে মানুষের মৃত্যুর সম্ভাবনাই বেশি। ”
এই সাপগুলো উষ্ণতা পছন্দ করে বলে লোকালয়ে থাকতে চায় বলে জানান এই শিক্ষক।
মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক শিক্ষক মোহাম্মদ মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বলেন, “হল সংলগ্ন আমার বাসার ভেতরেও সাপের উপস্থিতি দেখা গেছে, আতঙ্কের কথা প্রাধ্যক্ষকেও জানিয়েছি। ”
হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সুকল্যাণ কুমার কুণ্ডু বিডিনিউজ টেয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইতোমধ্যে হলের ভেতরের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করা হয়েছে, চলছে কার্বলিক এসিড প্রয়োগের প্রক্রিয়া। ”
সাপুরে এনে হলকে সাপমুক্ত করার বিষয়টিও বিবেচনাধীন রয়েছে বলে জানান তিনি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।