►যখন নামাজ শেষ হয়ে যায়, তখন তোমরা ভূপৃষ্ঠে ছড়িয়ে পড়ো আর আল্লাহর অনুগ্রহ অন্বেষণে ব্যাপৃত হয়ে যাও। ’ (সূরা জুমুআ:১০)
►একবার নবীজি তাঁর ফোসকা পড়া পবিত্র হাত দেখিয়ে সাহাবায়ে কিরামের উদ্দেশে বলেছিলেন, ‘এটি এমন একটি হাত, যা আল্লাহ ও তাঁর রাসুল পছন্দ করেন। ’
►মহানবী (সা.) বলেছেন,তারা (মজুর, শ্রমিক ও অধীনস্থ বেতনভোগী কর্মচারীরা) তোমাদের ভাই। আল্লাহ তাদের দায়িত্ব তোমাদের ওপর অর্পণ করেছেন। অতএব, যার কোনো ভাইকে তার অধীন করে দেওয়া হয়েছে, সে যেন তাকে তা-ই আহার করতে দেয়, যা সে নিজে আহার করে।
যেন সেই পরিধেয় পরিধান করতে দেয়, যা সে নিজে পরিধান করে থাকে। আর তাকে যেন এমন কাজ করতে বাধ্য না করে, যা করলে সে পর্যুদস্ত হবে। আর যদি এমন কাজ করতে তাকে বাধ্য করে, তাহলে যেন সে তাকে সহযোগিতা করে। ’ (বুখারি)
►মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি নিজে নিজে উপার্জন করে খায়, আল্লাহ তার প্রতি সুপ্রসন্ন। ’
► রাসুলে করিম (সা.)-এর কাছে জিজ্ঞেস করা হলো—হে রাসুল! কোন ধরনের উপার্জন শ্রেষ্ঠতর? তিনি জবাবে বললেন, ‘নিজের শ্রমলব্ধ উপার্জন।
‘
►হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন—নিজ হাতে উপার্জিত খাবারই সবচেয়ে পবিত্র আমল (বাইহাকী)। আর আল্লাহর নবী হজরত দাউদ (আ.) নিজ হাতে উপার্জিত অর্থে জীবিকা নির্বাহ করতেন (বুখারী)।
►নবী করিম (সা.) নির্দেশ প্রদান করেছেন, ‘কাজের পারিতোষিক নির্ধারণ ব্যতিরেকে কোনো শ্রমিককে কাজে নিয়োগ করবে না। ’
►রাসুলুল্লাহ (সা.) শ্রমিকের মজুরি সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ঘোষণা করেছেন, ‘তোমরা শ্রমিকের গায়ের ঘাম শুকানোর আগেই তার প্রাপ্য পারিশ্রমিক দিয়ে দাও। ’ (বায়হাকি)
►হজরত মূসা (আ.) আট কিংবা দশ বছর হজরত শুআইব (আ.)-এর কাছে মজদুরি করেছেন (ইবনে মাজাহ)।
►হালাল রিজিক অন্বেষণে সামান্য সময় চেষ্টা সাধনা করা পূর্ণ এক বছর ন্যায়পরায়ণ ইমামের সঙ্গে থেকে জিহাদ করার চেয়েও উত্তম (ইবনে আসাকির)।
►হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, সব নবীই ছাগল রেখেছেন আর আমিও সামান্য কয়েকটি কীরাতের বিনিময়ে মক্কাবাসীর ছাগল রেখেছি (বুখারী ও ইবনে মাজাহ)।
►একবার হজরত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হজরত হাকিম ইবনে হাযামকে (রা.) বলেছিলেন, সবচেয়ে হালাল জীবিকা হলো যাতে মানুষের উভয় পা এবং উভয় হাত সঞ্চালিত হয় আর তার কপাল হয় ঘর্মসিক্ত (দাইলামী)।
-Tafhimul Quran
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।