পরমাণু বোমা মুক্ত বিশ্ব চাই !
তথ্যপ্রযুক্তির যুগে বর্তমানে এমন সব বিষয় সম্ভব হচ্ছে, যা কিছুদিন আগেও সবার চিন্তা-চেতনার বাইরে ছিল। কিন্তু একের পর এক অসম্ভবকে সম্ভব করাই তো প্রযুক্তির কাজ। তাই বলে মানুষের মনকেও নিয়ন্ত্রণ করবে প্রযুক্তি?
আশ্চর্য হলেও সত্য, সম্প্রতি গবেষকরা মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণের জন্য নতুন এক ধরনের প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন। তবে তা শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য বেশি কার্যকর হবে বলে জানা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটেশনাল নিউরোসায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক টিজি পিং জাং ও তার সহকর্মীরা নতুন এই ‘ব্রেইন কম্পিউটার’ আবিষ্কার করে তা শতভাগ সফল বলে দাবি করেছেন।
তারা মনে করছেন, শুরুতেই এটি প্রতিবন্ধীদের জন্য ব্যবহার হলেও ধীরে ধীরে সুস্থ-সাধারণ মানুষের মধ্যেও ব্যবহার শুরু হবে। গবেষকরা আরও জনিয়েছেন, গাড়িচালক এবং ট্রাফিক পুলিশের জন্যও এটি অত্যন্ত উপকারী হবে। কেননা অনেক সময়ই তারা অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন। প্রযুক্তিটি তাদের কাজে দ্রুত মনোযোগ ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সহায়ক হবে। কার্যপ্রণালীর বিষয়টি বলতে গিয়ে গবেষকরা জানান, প্রযুক্তিটি কাজ করবে আপনার সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনে একটি মাত্র ফোনকল করার মাধ্যমে।
এখানে ব্যবহার করা হয়েছে ইলেকট্রনসেফালোগ্রাম (ইইজি) সিস্টেমটি। এই ইইজি সিস্টেমটির সঙ্গে মোবাইল ফোনের ব্ল- টুথের একটা সংযোগ থাকে, যা অ্যালগরিদমকে সিগন্যাল আকারে পৌঁছে দেয় মোবাইল ফোন। সেটি মন নিয়ন্ত্রণের বার্তা হিসেবে কাজ করে। বেশ কিছুদিন আগে অনেকটা একই ধরনের ‘নিউরোফোন’ এর আইডিয়া দিয়েছিলেন ডার্টমাউথ কলেজের নিউরোসাইনটিস্টস রাজিভ রাইজাদা। তিনিও নতুন আবিষ্কৃত এই প্রযুক্তির প্রশংসা করে বলেন, এটি খুবই মজার একটি জিনিস।
এর আগেও কয়েকজন এ রকম প্রযুক্তি ব্যবহার করেছিলেন।
তবে তা ছিল আকারে বড় এবং দামেও অনেক চড়া। কিন্তু এখানে স্বল্পমূল্য এবং মোবাইল ফোনের মতো ছোট একটি জিনিস হওয়ায় অনেকেই এটি পছন্দ করবে। নিউরোফোনের মাধ্যমেও সিগন্যাল দিয়ে মন নিয়ন্ত্রণ করার পদ্ধতি চালু আছে। তবে তা নতুন আবিষ্কৃত প্রযুক্তিটির তুলনায় বেশি
সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।