দেশের বেশীরভাগ মানুষ মুসলমান এবং তারা চায় বিসমিল্লাহ সংবিধানের শুরুতে থাকুক । তো সেটা থাকবে । এটা তো গণতন্ত্র । এটা ধর্মভিত্তিক কিছু না ।
দেশের বেশীরভাগ লোকজন মুসলমান এবং এই মেজরিটির ম্যান্ডেড পেতে জাতীর জনকের হত্যার পরে তার হত্যা এবং ক্যু সহ সমস্ত অপকর্মকে বৈধ করতে ১৯৭৫ এর পর থেকে শুরু হয় ইসলামকে ব্যাবহার ।
সেই ব্যাবহার ১৯৯৫ পর্যন্ত যথেচ্ছভাবে চলে এবং তার ঢেউ এখন পর্যন্ত আছে ।
এই ব্যাপক সময়ে মানুষ অভ্যস্ত থেকে অভ্যস্ততর হয়ে গেছে বিসমিল্লাহ দিয়ে সংবিধান শুরু করতে । তো একদিনে এই বিপুলসংখ্যক লোকদের অভ্যাস পরিবর্তন সম্ভব নয় । এটা ধর্মের ব্যাপার না । গণতন্ত্রের ব্যাপার ।
গত বছরগুলাতে দুর্নীতিবাজ ও লম্পট চরিত্রহীন টাউট সেনাঅফিসারদের জন্য এদেশের কিছু বাটপার অশিক্ষিত থেকে অর্ধশিক্ষিত অপশিক্ষিত কুশিক্ষিত অতিশিক্ষিত সেমিশিক্ষিত মেটাশিক্ষিত প্যারাশিক্ষিত ত্যারাশিক্ষিত ইত্যাদিশিক্ষিত হয়ে বিভিন্ন আকাম এবং কুকাম শিখে দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন করেছে । এইসব বাটপারদের কারনে দেশ আজ ধোয়াশাগ্রস্থ । সামান্য থেকে বড় যে কোন ভাল কাজের বিরুদ্ধের এরা দেশের ষ্টুপিড সম্প্রদায় নিয়ে হিমালয় হয়ে দারায় ।
এই দেশের বেশীরভাগ লোক অশিক্ষিত এবং দীর্ঘসময় ধরে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম পালন করে আসছে । এমনকি রাষ্ট্রের হিন্দু বৌদ্ধ অন্যান্য ধর্মের লোকেরাও তাই পালন করে আসছে ।
এদেশের ননমুসলিমরাও রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম কে মেনে এসেছে ।
এই দেশে ইসলামকে ভিত্তি করে জংগীবাদও গড়ে উঠেছে । রাষ্ট্রের কোন ধর্ম হয়না । কিন্তু দীর্ঘদিনের অভ্যাস কে একদিনে এই সরকারকে দিয়ে নাকচ করাতে কারা চাচ্ছে , যারা চাচ্ছে তারা আসলে কি চাচ্ছে ।
ইসলামি জংগীরা বাংলাদেশ আওয়ামিলীগের সেক্যুলারিজম চরিত্রকে ইসলাম বিরোধী হিসাবে প্রচার করে ।
কেন করে ? তারা সাধারনমানুষকে বুজ দেবার জন্যে করে । ইসলামি জংগী নেত্রী বেজী নিজে মদ খায় এবং বেপর্দাভাবে ফালুসহ বিভিন্ন লোকদের সাথে মেলামেশা করে এবং বয়ান দেয় বেজী ইসলাম কায়েম করে ।
এখন যদি এই সরকার সংবিধানে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা বিসমিল্লাহ বাদ দেয় তবে এই ইসলামী জংগী এবং তাদের নেত্রী এই সরকারকে এবং প্রধানত বাংলাদেশ আওয়ামিলীগকে ইসলাম বিরোধী সংগঠন বলে আইডেন্টিফাই করে ভয়াবহ দ্রুতগতিতে প্রচার চালাবে । এতে আওয়মিলীগের অনেক কিছু করার ছিল বা আছে যা করছেনা , সেগুলা পরের কথা । কিন্তু জংগীরা এই প্রচার চালাবে ।
আর এই প্রচারে দেশের সাধারন জনগন বিভ্রান্ত হবে । কিছু লোক এও ভাববে যে ঐটা ছিল তাতে তো কোন সমস্যা হচ্ছিলনা । আগবারাইয়া ক্যাচাল করার কাম কি ছিল , দেশে এমনি জিনিষপত্রের দাম বেশী , ইত্যাদি ... ।
কিন্তু যেসব সচেতন গ্গ্যানীসমাজ দাত বার করে , রাজনিতীবিদদের জন্মের দোষ ধরে মাথা বাকিয়ে ঘার ঝাকিয়ে বিনেপয়সায় এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে বেশ জায়গায় নিজের পকেটের পয়সা পর্যন্ত খরচ করে গ্গ্যান ঝেরে যাচ্ছে এবং শুধু তাইনা বাংলাদেশ আওয়ামিলীগকে আনমাস্ক করে যাচ্ছে হিপোক্রিট হিসাবে এরা কারা ? কেন করছে ? কি তাদের উদ্দ্যেশ্য ?
আমার এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজে আমি পাইছি ২ ধরনের লোক ।
এক ।
যারা জানেনা ঘোলের মজা তলে ।
দুই এরা আসলে দেশের শত্রু , মানবতার শত্রু । এরা চায় দেশে একটা গন্ডগোল লাগবে এবং ফাক দিয়া উনি বা উনার মত লোকজন দেশের রাষ্ট্রনায়ক হবে । চান্স মোহাম্মদ ।
এই সমুদয় চান্স মোহাম্মদরা এই জীবনে আজ একটা চান্স পাইছে ইসলামী মিলিট্যান্টদের সাথে আওয়ামিলীগের একটা ক্ল্যাশ হোক এবং সেই ক্ল্যাশে কমসে কম শেখ হাসিনা কাটা পরুক ।
এরাই আসলে দেশের শত্রু এবং চোরা শত্রু ।
জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমান কে কিন্তু এরাই হত্যার জন্য গ্রাউন্ড তৈরী করে দিয়েছিল ।
এরা যুদ্ধাপরাধীর বিচারও চায় একই কারনে , যে আওয়ামিলীগের সাথে ওদের ক্ল্যাশহোক সেই কারনে , যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির জন্যে নয় ।
তবে এরা কিন্তু শুক্রবার ছুটি বন্ধের জন্য চিল্লায় না । সংবিধানে বিসমিল্লাহ রাখা না রাখার থেকে শুক্রবার ছুটি বন্ধ করে আন্তর্জাতিক ফাইন্যানসিয়াল মার্কেটের সাথে আমাদের সামন্জস্য আনা বেশী জরুরী ।
এই চিল্লা পা্ল্লা সম্প্রদায়ের সাপ্তাহিক ছুটিকে বাদ দিয়ে বিসমিল্লাহ নিয়ে চিৎকার এদের উদ্দ্যেশ্যকেই পরিস্কার করে এবং তাদের আওয়ামিলীগকে ধর্ম ব্যাবসায়ী হিসাবে আইডেন্টিফাই করার অপচেষ্টা কুচেষ্টা আবারও ব্যার্থ হবেই । জয় বাংলা , জয় বঙ্গবন্ধু ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।