... স্বপ্নে পাইলাম, মুন্নি সাহা একবার তার গ্রামের বাড়ি বেরাতে গেছে। গ্রাম তো গ্রাম সেই রকম মান্ধাতার আমলের গ্রাম। ভ্রমনে তিনি ক্লান্ত। তার টয়লেটের প্রয়োজন হইলো। নাক মুখ কুচকে মাটির টয়লেটেই বসে গেলো।

অধিক বৃষ্টি হওয়াতে মাটি কাঁচা ছিলো। মুন্নি সাহা বসিবার সাথে সাথে পুরা টয়লেট ধ্বসিয়া গেলো। তার তো একাকার অবস্থা। কোথা হইতে একজন দুষ্টু পোলা দৌড়াইয়া আসিলো। - মুন্নি সাহা, আপনি যে পরিয়া গেলেন আপনার অনুভুতি কি? মুন্নি সাহা টয়লেটের ধার কোন রকমে ধরিয়া ঝুলিয়া ছিলো।

উত্তর দিলো, 'ভাই আমারে বাঁচান' - বলেন না আপনার অনুভুতি কি!! - আমার লগে ফাইজলামী করস? - না বলিলে আপনারে তুলমু না এইখান থেকে!! - ওকে, ওকে, খুবই খারাপ, হতচ্ছাড়া, বিচ্ছিরি, দুর্গন্ধ যুক্ত অনুভুতি!! - আপনার কি মনে হয় এই যে ধ্বসিয়া গেলো এটার পেছনে গেরামের হুজুরের কোন হাত আছে? - হুজুর মানে? কিসের হুজুর কোন হুজুর?? ভাই মোরে বাঁচা পিলিজ! - না মানে আপনি তো সব দুর্ঘটনার পেছনেই হুজুরদের অস্তিত্ত্ব খুইজা পান!! - কোন হুজুরের হাত নাই রে বাপ! মোরে তুল এইখান থেইকা তোর বাপের দোহাই লাগে! - আরেকটা কথা কোন আপনি টয়লেটে বসিবার পর কেউ টয়লেট নাড়াচাড়া করে নাই তো!! কোন কিছু ধ্বসার মুল কারন হিসেবে তো এখন নাড়াচাড়াই মেইন ফ্যাক্ট হিসেবে ধরা হয়!! - তোর পা ধরি বাপ আমার মোরে বাঁচা। - আইচ্ছা ধরেন পা! মুন্নি সাহা পা ধরিতে গিয়া আরো ভেতরে ঢুকিয়া যান। হাবুডুবু খাচ্ছেন তিনি। কাশির শব্দ শুনিয়া বুঝা গেলো তিনি কিছু খেয়ে ফেলেছেন। দুষ্টু ছেলেটা বলিলো, - মুন্নি সাহা আপনি যে কিছু খাইলেন এটা এবং এটার টেস্ট সম্পর্কে আপনার অনুভুতি প্রকাশ করবেন পিলিচ!!! মুন্নি সাহা আর কি বলিবেন কারন তার 'অনুভুতি' ততক্ষনে টয়লেটে ডুবে মারা গেছে (ফেসবুক হইতে ইন্টারটেইনমেন্ট পোস্ট) ।