বেশ মন খারাপ করা একটা বিষয়। আপনি হইতো ভাবছেন এতো খুবই সাধারণ একটা ব্যাপাড় আর বিদেশে তো এটা নিয়ে কারো ভাবার ও টাইম আছে কিনা সন্দেহ। তাহলে এ আর আবাড় মন খাড়াপ করা বিষয় হয় কেমনে??
ছোট্ট বেলার একটা ঘটনা বলি। ইনফেক্ট আমি তখন একেবারেই বাচ্ছা। খুব বেশি হলে ৬-৭ বছর হইতো হবে আর তাছাড়া তালাখ বা বিবাহ বিচ্ছেদ এ ব্যাপাড় গুলোও বেশ রেআর ছিল তখন।
দাপত্য কলহ বা স্বামি স্ত্রির ঝগড়া এগুলো কি, কেন এসব প্রশ্ন মনে আসতোই না বলতে গেলে।
যাই হোক, তাদের দেখতাম নেশা করতো। তখন বুঝতাম না অনেক পরে বুঝতে পাড়ছি। সুধু দেখতাম সারাদিন দুজনে ঘুমাতো। মাঝে মধ্যে টয়লেটে গিয়ে দেখতাম সিরিন্ঙ্গ।
মা মানা করতো তাদের বাসায় না যেতে। পড়ে এক সময় যাওয়া বন্ধ করে দেই। যেকয় দিন যোগাযোগ ছিল ততদিন এদের নিঃসন্তান দেখেছি।
আর একটা ঘটনা মনে পড়ে। বাচ্ছটা পোলাও খেতে চাইত।
মা-বাবা দুজনেই ছিল চাকরিজীবি। ওর মা পোলাও রান্নাকরে ফ্রিজে রাখতেন।
মাঝে মধ্যে ওদের কথাকাটি হতো। শুনতাম। একদিন খবর পেলাম ওর মা
ফ্যেনের সাথে শাড়ি পেচিয়ে আত্নহ্যতা করে।
এরকম আরো ঘটনা সুনেছিলাম তবে আজ মনে আসছে না।
এগুলো অনেক পুরনো ঘটনা। এই কয়েক দিন আগের কিছু ঘটনা বলি।
১।
মেয়েটা বয়সে আমার বছর খানেক বড় হবে।
ওর হাসবেন্ড আমার তিন চার বছড়ের বড়। ওর সাথে কথা ও হয় বেশ কয়েক বার তবে দেখা হয়নি। কিন্তু যে কয়বার কথা হয় কখনো মনে হয়নি ও খুব রাগি বা ম্যাসোজিনিস্টিক। ইভেন ওদের হানিমুনের ছবিগুলো পর্যন্ত আমি দেখেছিলাম। অনেক ইন্টিমেট ছবিও ছিল কিন্তু মেয়েটার খুব কাছের ফ্যেন্ড হওয়াই দু-একটা বাদে প্রায় সবকটি ছবি ও আমাকে দেখায়।
আবার এই ছবি গুলো নিয়ে ওর হাসবেন্ডকে আমি টিটকারি মাড়তাম যে ভাইয়া এই ছবিটা আরেকটু এন্গেল থেকে নিলে ওর অমুক যাইগাটা আরো ভালোদেখা যেত এরকম অনেক আজে বাজে কথাও বলতাম। এসব সুনে ও কখনো রাগ করতো না বা আমার পুরুষত্তনিয়ে ও যা বলত তাতে আমিও কখনো খেপতাম না।
ওরা দুজনই বেশ ভালো বেতনের চাকরি করতো আর মেয়েটাও ওকে খুব ভালোবাসতো। মেয়েটা মোটেও আহামরি সুন্দরি ছিল না বরং ও শ্যমলা আর মোটা ছিল। ওদের বিয়েটা পুড়োপুরি সামাজিক ভাবে হয় আর মেয়েটার কোন ছেলের সাথে আগের কোন সম্পর্কও ছিল না।
ওর হ্যাজবেন্ভের হিস্টরি আমি জানি না। তবে মেয়েটার মূখ থেকে শুনেছি ওরা আগে থেকেই মোটামুটি বেশ সচ্ছল এবং ওরা (ছেলে) ফুল ফ্যামিলি বেশ শিক্ষিত।
তো ওদের বিয়ের সোয়াবছরের মাথাই খুব সাধারণ কিছু বিষয়ে ঝগড়া হয় তারপড় থেকে সুনি ওরা আলাধাভাবে থাকছে। ঝগড়ার সুত্রপাত হয় ছেলেটির বাবার কিছু কথাই। ছেলেটা এক পর্যায়ে মেয়েটাকে চড় মারে ওদের ফ্যামিলির সবার সামনে।
এটা করার জন্য ওকে প্রভোক করে ওর বাবা এটা বলে যে তুই তোর বউয়ের গোলাম হয়ে গেছিস। আরও কিছু কথা বার্তা হয় যা এখানে বলতে পাড়ছিনা। ওর মা (ছেলেটার) এটাও বলে যে আমার ছেলে তোকে ঝেরে ফেলে দিতে পাড়বে তাই বলছি মান সম্মান থাকতে থাকতে তুই কেটে পড়। তবে ওদের একনো ডিভোর্স হয়নি। তবে তা না হওয়ায় কারণ ওদের দেশের কিছু আইন।
তা না হলে মেয়েটাকে অনেক আগেই ও ডিভোর্স দিয়ে দিতো। ওর হ্যাসবেন্ড এখন বিদেশ থাকে। শুনেছি মেয়েটাও কিছুদিনের মধ্যে ঐ দেশে যাচ্ছে।
২।
আমার খুব কাছের ফ্যেন্ড।
বিয়ে হয় পুরো পারিবারিক ভাবে। কিন্তু বিয়ের পর থেকে ওদের মধ্যে নানারকম ঝামেলা সুরু হয়। একটা কারণ ছিল মেয়েটা চাকরি করতে চাইত যা ছিল ছেলেটার পুরোই অপছন্দের। আবার মেয়েটার ফ্যামিলিও ফিনানশিয়ালি অতটা সনভেন্ট ছিল না যার কারণে ওরা চাইত ছেলের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা (তবে তা সরাসরি কখনো চাই নাই)। আবার মেয়েটার ফ্যামিলিতে যে ছেলের কিছু করে খাওয়ার কথা সে আবার বাপের হোটেলে মাগনা খেতেই বেশি পছন্দ করত।
তবে মেয়েটার অন্য কোন ছেলের সাথে কোন আনএথিক্যাল রিলেশন ছিল না। কিনবা ওরা যখন আলাদা থাকা সুরু করে তখন ওদের ফ্যামিলি থেকেও তেমন কোন উদ্যোগ ছিল না যাতে বিষটা স্বাভাবিক হওয়া সুরু করত। যাই হোক, বিয়ের সাত মাস পর ওরা আনঅফিসিয়ালি আলাদা থাকতে সুরু করে। একবছরের মাথায় ডিভোর্স। আর ডিভোর্সের আগে এমনকি ওদের ফোনেও কথা হতো না।
তবে ছেলেটা কখনো মেয়েটাকে ফিজিক্যালি এস্লট করে নাই।
আমাদের সমাজে আজ মেয়েদের অনেক সমস্যা। ইভটিজিং, রেপ, এসিড ভায়োলেন্স, ডাউরি ভিকটিম, মার্ডার, ফ্লগিং, চাইল্ড আ্যবিউস, আর সুইসাইড। বলা যাই এসব ঘটনার প্রকৃত সংখ্যা কখনোই প্রকাশ্যে আসে না। আর তাছাড়া অনেকে আবার বলতেও চাই না।
কিংবা বিচারও হয় লোকদেখানো। মেয়েদের পক্ষই এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তবে আপনারা যারা দিন দুনিয়ার খবর রাখেন তারা নিশ্চয় জানেন ডিভোর্স এখন নতুন একটা মহামারি।
যে ঘটনা গুলো হয়ত সহযেই এড়ানো যেত, হয়ত ছাড় দেয়া যেত, হইত ফ্যামিলিগত ভাবে রিযল্ভ করা যেত আজ এসব ঘটনাতেই অহরহ ডিভোর্সের ঘটনা ঘটছে।
অসমাপ্ত......।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।