মোদির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, শনিবার গুজরাটের গান্ধীনগরে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে ওই বৈঠকে বস্ত্র খাত ও জাহাজ ভাঙা শিল্পসহ দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মধ্যে ‘ফলপ্রসূ’ আলোচনা হয়।
অবশ্য একজন বাংলাদেশি কূটনীতিককে উদ্ধৃত করে ভারতের ইংরেজি দৈনিক টেলিগ্রাফ লিখেছে, ভারতের বিরোধী দল বিজেপির বিরোধিতায় আটকে থাকা স্থল সীমান্ত চুক্তির জট ছাড়ানোর চেষ্টার অংশ হিসাবেই মোদির সঙ্গে রাষ্ট্রদূতের এই সাক্ষাৎ।
তিনি বলেন, “আমাদের মনে হয়েছে, বিজেপিকে যদি কেউ রাজি করাতে পারে, সেটা মোদি। ”
ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমান্ত চুক্তি এবং ২০১১ সালে সই হওয়া এ সংক্রান্ত প্রটোকল বাস্তবায়ন করতে হলে ভারতের সংবিধান সংশোধন করতে হবে। এ লক্ষ্যে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট সরকার এর আগে পার্লামেন্টে বিল তোলার উদ্যোগ নিলেও বিষয়টি আটকে আছে প্রধান বিরোধী দল বিজেপির বিরোধিতার কারণে।
কোনো বিল পাস করতে হলে ভারতীয় পার্লামেন্টের উভয়কক্ষ লোকসভা ও রাজ্যসভায় অন্তত দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন দরকার, কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ জোট সরকারের যা নেই। আগামী ৫ অগাস্ট শুরু হতে যাওয়া রাজ্যসভার বর্ষাকালীন অধিবেশনে আবারো বিলটি তুলবে প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের দল কংগ্রেস।
নির্বাচনের ছয় মাসেরও কম সময় বাকি থাকতে এই অমীমাংসিত বিষয়টি নিয়ে বিজেপির সঙ্গে আলোচনা করতে দুই দিনের সফরে বৃহস্পতিবার দিল্লি যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি।
শনিবার তিনি ভারতের রাজ্যসভায় বিরোধী দলীয় নেতা বিজেপির অরুণ জেটলির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করলেও স্পষ্ট কোনো প্রতিশ্রুতি পাননি। অরুণ জেটলি তার দলের শীর্ষ নেতাদের এ বিষয়ে জানাবেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানিয়েছেন শুধু।
বিজেপি নেতাদের মধ্যে অরুণ জেটলিও সুষমা স্বরাজের মতো উদারপন্থী কয়েকজন ‘বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে’ স্থল সীমান্ত চুক্তিতে সমর্থন দেয়ার পক্ষে থাকলেও মোদি নেতৃত্বাধীন কট্টরপন্থীরা এর বিরোধিতা করে আসছে।
ভারতের সবচেয়ে বেশি প্রচারিত ইংরেজি দৈনিক টাইমস অব ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক এক নিবন্ধে তীব্র ভাষায় বিজেপির এই কট্টরপন্থীদের সমালোচনা করা হয়েছে।
আরেক প্রভাবশালী দৈনিক হিন্দু দীপু মনির সফরকে কেন্দ্র করে তাদের প্রধান প্রতিবেদনে লিখেছে, “ভারত কি তাদের সবচেয়ে আস্থাভাজন প্রতিবেশীর সঙ্গে করা চুক্তি রক্ষা করবে?”
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।