প্রতিকৃতি…এই বস্তুটার প্রতি মানুষের একটা আদিম আকর্ষণ আছে বলে মনে হয়…হয়তো মানুষের আদিমতম তাড়নাগুলার একটা হচ্ছে অনুকরণলিপ্সা । সুতরাং কাছাকাছি যাই পাইতেছে তারই অনুকরণ করার চেষ্টা করতেছে মানুষ জন্মের পর থেকে…।
আজব সমস্যা…nature hates creativity...সৃষ্টি করার অধিকার শুধু নিজের মধ্যে আটকে রাখার tendency…এই নিজের জিনিস নিজের মধ্যে রেখে দেয়া অন্যকথায় “অলিখিত অধিকারবোধ” জিনিসটা আবার সে মানুষের মাঝে ভয়াবহভাবে implant করে দিয়েছে । হুদাই যেখানে সেখানে অধিকার খাটানো…যেখানে অধিকার নাই সেখানে অধিকার প্রতিষ্ঠা করা…দরকার হইলে আন্দোলন কর…দুনিয়াদারি ফাটাইয়া দাও…জান-জীবনও দিয়া দাও…কোন সমস্যা নাই…একবার যদি মনে ধরে যে এইটা আমার অধিকার …তাইলেই হইলো …কেল্লা ফতে…!!!
কিন্তু তারপরও এইসব মানুষের অধিকারহীনতা দেখে আজকে হঠাৎ এতো বছর পর মাথা আওলাই যাওয়ার কোন মানে নাই । এইসব মানুষের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখার বয়স হয়তো আর নাই…খুব একটা ইচ্ছাও যে আছে তা না ।
এইটাই ভালো-তিন বেলা খাওয়া যোগাড় করার চিন্ত্যায় যারা অস্থির তারা তার মতো আজাইরা স্বকল্পিত দুঃখ কষ্ট নিয়া চিন্তা ভাবনা করার সময় পায় না । সু্তরাং এই মানুষগুলা তার চেয়ে অন্তত একদিক থেকে ভাল আছে…সাথে সাথে থেকে আবার contradiction…ভিতর থেকে আবার সেই প্যান প্যানানি…”তোর আসলে সাহস নাই…কিছু করার যোগ্যতা নাই…হুদাই self-defence এর জন্য আজাইরা logic দাড়া করানোর চেষ্টা করার মানে কি…???”
ঊফ…মানে…মানে…মানে…সারাজীবন সবকিছুর পেছনে মানে দাড়া করাইতে করাইতে বিরক্ত লাগে…কেন জন্মাইছিলাম তার জন্য মানে…কেন এতো কিছু করি তার জন্য মানে…কেন ভালোবাসি তার জন্য মানে…কেন আকাশ দেখলে দুঃখ লাগে তার জন্য মানে…fuck u…meanings…।
আজাইরা …হুদাই আজাইরা মাথা গরম হয়…উহ shit…আবার তো মাথা গরম করা যাবে না…মাথা গরম করলে smartness হারাবে…সুতরাং ঠান্ডা মাথায় …একটার পর একটা মিথ্যা কথার ঝুড়ি সাজাও…পারফেক্টলি মিথ্যা বলতে পারলে যেটা হয় সেটা হচ্ছে বক্তা নিজেও বুঝে না যে সে মিথ্যা বলতেছে । অভিনয়টাকে মনে হয় সত্য । মনে হয় সাব-কনশাসকে নিজের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা গেছে ।
একটার পর একটা যুক্তি দিয়ে এটাই দাড়া করানো যে আমি যা ভাবি বা যা করি তাই ঠিক-আর বাকি সব মিথ্যা । এখানে আবার self-defence ভয়াবহভাবে অ্যাক্টিভ । যে সত্য নিজের জন্য ক্ষতিকর তার বেলায় আবার দুই ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখা যায়-
১)যদি সেটা অন্য কারো জন্য মঙ্গলজনক হয় তাহলে সেটা প্রকাশ করে দিয়ে এক ধরনের মহত্ত্ব ।
২)অথবা নিজেকে বোঝানো যে এইটা সত্যি নয়, আসলে আমার সাব-কনশাসে অন্য কিছু আছে ।
আজব…এমন বিশৃংখল চিন্তা ভাবনার কোন মানে নাই ।
চিন্তা ভাবনা কে গোছাইতে হবে । একটা কাহিনীকে সঙ্গবদ্ধ করতে হবে । অর্থহীন শব্দ বসাইলে ultimately কোন লাভই হয় না ।
অর্থহীনভাবে জীবনে কত কিছু করার চেষ্টা করছে তার কোন হিসাব নাই । তারছিড়া টাইপ লাইফের কারণে মোটামুটি নাম কামাইছিলো কলেজ-ভার্সিটি লাইফে ।
ঝালেমা অইখানেই হইছিলো । শালার কি করলাম এই জীবনে...??কিইবা করতেছি এখন ...? চাকরী,ছোট ভাইয়ের ভার্সিটীর খরচ চালানো আর মায়ের কথার অবাধ্য হওয়া ছাড়া গত চার-পাচঁ বছরে উল্লেখযোগ্য কিছু করছে বলে তার মনে পড়ে না । ওহ না...বিবাহের উদ্দেশ্যে আধাঁ ডজনের উপর মেয়ে দেখছে ।
আজব যন্ত্রনা এইটা...আম্মারে কোনভাবেই বোঝানো possible হইতেসে না যে একটা অজানা অচেনা মেয়েকে তিন-চার week এর পরিচয়ে ধুপ করে বিয়ে করে ফেলা যায় না । এইটা কইলে সে কয় তাইলে এক কাজ কর পরিচয় হয় ...একদুই মাস ঘোরাঘুরি করি...ম্যাচ করলে তখন বিয়ার কথা চিন্তা করিস ।
আজব ...পুরাই আজব arranged affair আর কি...
ধূর বাল ছাল ...কোত্থেকে চিন্তা কই যায়গা কোন হিসাব নিকাশ নাই । ভাল্লাগে না...!!অফিসের পর এই এক সমস্যা । রিক্সা করে বাসায় ফিরলে জ্যাম...আর হেটে বাসায় ফিরলে আসলে আউল-ফাউল চিন্তা ভাবনা...!!!বাসার সামনে ছোট খাট জটলা। মনে হয় জুতা বা সাইকেল চুরি করতে গিয়ে ধরা খাইছে । তক্তা বানাই ফেলছে পিটাইয়া মানুষজন ।
এই হইল বাঙ্গালী । যারা কোটি কোটি টাকা চুরি করব তাগোরে দিব ফুলের মালা...আর যারা জুতা চুতি করব তাগরে পারলে লাশ বানাইয়া দিব । মজার সিস্টেম ।
বাসায় ঢুকার সাথে সাথে আম্মার হুঙ্কার ...”তোরে না কতদিন কইছি অফিস থেইক্কা হাইট্টা আইবি না...”...চলতে থাকে রেলগাড়ি । কোন উত্তর দিলে গাড়ির স্পীড বাড়ব ।
চুপ চাপ থাকাই বেটার । এই মহিলা না থাকলে তো আজকে সে দুনিয়াই থাকত না । করুক না একটু চিল্লা-চিল্লি । একটু পর তো উনিই আবার ভাত বেড়ে ডাকাডাকি করবেন ।
সন্ধ্যার পর নেটে বসে মেইল চেক করতেই দেখে জুথিকার একটা মেইল আসছে ।
অষ্ট্রেলিয়া যাওয়ার পর থেকে মেয়েটা অন-লাইনে যোগাযোগ বাড়াই দিছে । দেশের কোন একটা এনজিও এর সাথে মিলে বাচ্চাদের জন্য কি জানি একটা করতেছে । রেগুলারলি ওইটার আপডেট দেয় । সংসারের কচকচানী করে । এখনো বিয়া শাদী করেতেছি না কেন জিজ্ঞেস করে ।
শারমিনের খবর জানায় নিজ দায়িত্বে । তার হাজব্যান্ড অনেক মহান মানুষ হওয়ার পরও যে শারমিনের সাথে উনার বনিবনা হচ্ছে না সেইটাও জানায় । লুতফর,আলাওলদের সাথে যে যোগাযোগ আছে অইটাও জানায় । খারাপ লাগে না । খুব একটা যে ভালো লাগে তাও না ।
আসলে কোনকিছুই আর নির্ভেজাল ভালো-খারাপের মধ্যে মাপতে পারি না । সব কিছুই যেমন যাচ্ছে তেমনি যাইতে দিতে কোন আপত্তি নাই । যাক না...দিন তো কেটেই যাচ্ছে ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।