যদি পারতাম দুঃখগুলো নিলামে বিক্রি করে দিতাম
জমি-জমাসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার বড়পিলাক এলাকার শণখোলাপাড়ায় আদিবাসী ও বাঙালিদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত ও অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন। পরে মানিকছড়ি ও রামগড় উপজেলায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
আজ রোববার বিকেল তিনটার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আজ বড় পিলাক এলাকার আবদুল কাশেম আট-নয়জন শ্রমিক নিয়ে শণখোলাপাড়ার বিরোধপূর্ণ একটি টিলায় জঙ্গল পরিষ্কার ও মাটিকাটার কাজ করছিলেন। এ সময় স্থানীয় আদিবাসীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলার খবর পার্শ্ববর্তী বড় পিলাকে ছড়িয়ে পড়লে বাঙালিরা সংঘবদ্ধ হয়ে আদিবাসীদের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ৩২ জন আহত হন। পরে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে নেওয়ার পথে বড় পিলাক এলাকার আয়ুব আলী (৩৫), নোয়াব আলী (৭৫) ও সুনীল চন্দ্র সরকার মারা যান।
আদিবাসীরা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার পর পরই বাঙালিরা আদিবাসীদের বাড়িঘর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায়।
এ ছাড়া শণখোলা ও রেয়ো মরং পাড়ায় কমপক্ষে ৩০টি ঘরপোড়ানো হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তাঁরা।
এ ঘটনার জের ধরে এলাকায় তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি ও ফেণী-রামগড়-খাগড়াছড়ি সড়কের যানবাহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
মানিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিমউদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার আবু কালাম সিদ্দিক মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, পরিস্থিতি শান্ত রাখার জন্য আলোচনা চলছে। উভয় পক্ষই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করছেন বলে তিনি জানান।
[[[ পাহাড়ী-বাঙালীদের মধ্যে জমি-জমা নিয়ে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধা হওয়া উচিত। আর কত রক্ত ঝরবে পার্বত্য অঞ্চলে। শান্তিচুক্তি করেই যে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি তা আমরা প্রতিনিয়ত দেখতে পাচ্ছি। এজন্য দরকার সরকার এবং পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী একটি পরিকল্পনা করা। এবং রক্তপাত বন্ধ করা যায় তার ব্যবস্থা করা ]]]]
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।