আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি : নারীনীতি বাতিল না হলে সরকার পতন কর্মসূচি - চরমোনাই পীর



কোরআন-সুন্নাহবিরোধী নারী উন্নয়ন নীতি ও বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিলসহ ৮ দফা দাবিতে গতকাল রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। সকালে মুক্তাঙ্গনে সমাবেশ শেষে স্মারকলিপি দেয়ার জন্য চরমোনাই পীরের নেতৃত্বে বঙ্গভবন অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের করলে দৈনিক বাংলার মোড়ে পুলিশ বাধা দেয়। ফলে বিক্ষোভকারীরা সেখানেই রাস্তা অবরোধ করে সমাবেশ করে। এসময় পল্টন, দৈনিক বাংলা ও মতিঝিল এলাকায় প্রায় দু’ঘণ্টা ব্যাপক যানজট সৃষ্টি হয়। সেখান থেকে ৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি পেশ করে ফিরে এলে অবরোধ তুলে নেয়া হয়।

এদিকে মুক্তাঙ্গনের সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করিম বলেন, কোরআন-সুন্নাহবিরোধী নারীনীতি ও বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিলসহ সরকারের বিভিন্ন ইসলামবিরোধী কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছি। সর্বশেষ আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিচ্ছি। এর পরও সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় না হলে আমরা ঘোষণা অনুযায়ী ২ ও ৩ মে রাজধানীতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করব। তারপরও সরকার দাবি না মানলে এমন কর্মসূচি দেয়া হবে, তাতে অতীতের ধারাবাহিকতায় বর্তমান ইসলামবিদ্বেষী সরকারও টিকতে পারবে না। ইসলামের জন্য জীবন দিয়ে আন্দোলন করতে প্রস্তুত বলেও সরকারের হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।

চরমোনাই পীর বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের ঝগড়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। কারণ তিনি মিডিয়ায় বলেছেন, কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কিছু করবেন না। কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন যাতে না হয়, সেজন্য আমরাও মাঠে নেমেছি। তারপরও আমরা মাঠে থাকায় প্রমাণিত হয়—প্রধানমন্ত্রী মুখে যা বলেন, তা বাস্তবায়ন হয় না। তা না হলে সব ওলামা যেখানে বলছেন, নারীনীতি কোরআন-সুন্নাহর সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক, সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলছেন, সাংঘর্ষিক নয়।

তিনি বলেন, সরকারকে ভুল ধরিয়ে দিতে তাদের সঙ্গে আলেমদের আলোচনায় বসানোর দায়িত্ব কি আমাদের? নাকি এ দায়িত্ব সরকারের? তিনি বলেন, সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হলে আলেমদের নিয়ে বসুক, আমরা নারীনীতির কোরআন-সুন্নাহবিরোধী ধারাগুলো প্রমাণ করব। সমাবেশে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোসাদ্দেক বিল্লাহ মাদানী বলেন, মহিলা প্রতিমন্ত্রীর ইসলামী জ্ঞান নেই। এজন্যই তিনি বলছেন, নারীনীতিতে কোরআন-সুন্নাহবিরোধী কিছু নেই। তিনি পশ্চিমা শিক্ষায় শিক্ষিত। এদেশের নারীদেরও ইউরোপ-আমেরিকার মতো বানাতে চান।

নতুন নীতিতে নারীদের আরও অসম্মান করা হয়েছে এবং এতে ২৯টি ধারা কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, ইসলামবিরোধী কোনো আইন করা হবে না—প্রধানমন্ত্রীর এ কথা সম্পূর্ণ ধোঁকাবাজি। এসব ধোঁকাবাজির রাজনীতি ত্যাগ না করলে জনগণ তাদের চিরদিনের জন্য ক্ষমতা থেকে ত্যাগ করবে। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমদ, যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, আবু সাঈদ সিদ্দিকী, মাওলানা মকবুল হোসেন, মুফতি কেফায়েত উল্লাহ প্রমুখ। স্মারকলিপিতে উল্লিখিত ৮ দফা দাবির মধ্যে আরও রয়েছে—সংবিধানের অন্যতম মূলনীতি হিসেবে সর্বশক্তিমান আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস সংরক্ষিত রাখা, ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের নামে ইসলাম উত্খাতের ষড়যন্ত্র বন্ধ, বিতর্কিত শিক্ষানীতি বাতিল করে সুনাগরিক গড়ার লক্ষ্যে নৈতিকতাসমৃদ্ধ সার্বজনীন শিক্ষানীতি প্রণয়ন করা, হাইকোর্টের ফতোয়াবিরোধী রায় এবং বোরকাবিরোধী আইনসহ সব ধরনের ইসলামবিরোধী কার্যক্রম বন্ধ করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ এবং ধর্মনিরপেক্ষতার নামে ধর্মহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পাঁয়তারা বন্ধ করা। সূত্র আমার দেশ


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.