আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বন্ধু রাশেদ

এত লেখালেখির কি আছে তাইতো বুঝলাম না!!

“আমার বন্ধু রাশেদ” সিনেপ্লেক্সে এসেছে। কয়েকদিন ধরে প্লান করছি যে দেখতে যাব। কিন্তু সাথে যাওয়ার মত তেমন কাউকে পাচ্ছিলাম না। আজ অনেকটা জোড় করেই আমার ছোটভাইকে নিয়ে চলে গেলাম সিনেমাটা দেখতে। প্রথমে গিয়েই একটা ধরা খেলাম।

দুপুর তিনটার পরের সব শো এর টিকিটের দাম ২০০ টাকা করে। শুনেই মেজাজ খারাপ হয়ে গেল। তারপরেও টিকেট কিনে ঢুকে গেলাম। মুভিটা দেখে মন ভরে গেল। এক্সট্রা টাকা দিয়ে মুভিটা দেখতে আসার কষ্টটা আর রইলনা।

অসাধারণ লেগেছে মুভিটা। চোখ থেকে পানি বের হয়ে গেছে শেষ দৃশ্যে। যদিও কয়েকজন দেখলাম মুভিটা দেখে নিরাশ। কয়েকজন মোবাইলে অন্যদের বলছিল, “একটা ভাল উপদেশ দেই। এই ছাতার মুভি দেখতে আসিস না।

পুরাই টাইম লস। “ অনেকে আবার এর সাথে হলিউডের মুভি এর পার্থক্য বের করছিল। হলিউডের মুভি হলে হ্যান হত, ত্যান হত। কয়েকজন আবার মুভিটার ভুল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে বের করছিল। এই ট্রেনলাইন তো ’৭১ এ থাকার কথা না।

এইসব হাবজাব। আমি বলব মুভিটা এককথায় ‘জোস’। রাশেদ, ইবুরা এই ছোট্টবয়সে যেই অভিনয় করেছে এর জন্যে আমার তরফ থেকে এদেরকে সালাম। ইউনিভার্সিটিতে পড়ার সময় নিতান্তই শখের বসে একটা শর্টফিল্মে অভিনয় করতে গিয়েছিলাম। অভিনয় যে কতটা কঠিন চিজ্‌ তা সেসময় হাড়ে হাড়ে টের পেলাম।

এই কারনেই হয়তো এই নতুন অভিনেতাদের এত সুন্দর অভিনয়ে শ্রদ্ধায় আমার মাথা আরও নত হয়ে গেছে। মুভিটার কোন ভুল ছিল কিনা তা আমার চোখে পড়েনি। চোখে পড়েছে শুধু একদল দামাল ছেলের দেশের জন্যে ভালবাসা। মুভির সাথে জড়িত সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এরকম মুভি আরো অনেক অনেক অনেক বের হোক এই কামনা করি।

আর সবশেষে শ্রদ্ধা জানাই জাফর ইকবাল স্যারকে। ছোটদের জন্যে এমন লেখাতো আর সবাই লিখতে পারেনা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.