নারীনীতি নিয়ে সরকার নতুন কৌশল অবলম্বন শুরু করেছে বলে মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, লিফলেট বিতরণ ও ইমামদের মাধ্যমে নারী নীতিমালা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করছে সরকার। তিনি বলেন, নারী নীতিমালায় ২৯টি ধারা কোরআনবিরোধী এবং ২৬টি ধারা সংবিধানবিরোধী প্রমাণ করব। তিনি বলেন, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলে কঠিন থেকে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলনে বিশ্বাসী। আমাদের এই আন্দোলনকে দুর্বল মনে করলে এক দফার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব।
গতকাল বিকালে গুলিস্তানে কাজী বশির মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘আদর্শ নাগরিক গঠনে জাতীয় শিক্ষানীতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন সংগঠনের নায়েবে আমির আল্লামা মোস্তফা আল-হুসাইনি, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, ইফা’র সহকারী পরিচালক ড. মুশতাক আহমাদ, মুফতি হিফজুর রহমান, দৈনিক ইনকিলাবের সহকারী সম্পাদক উবায়দুর রহমান খান নদভী, নগর সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতি এমাদুদ্দীন, ড. কর্নেল এম শফিউল্লাহ, মুফতি হেমায়েতুল্লাহ, মাওলানা আতাউর রহমান আরেফী। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক মুফতি কেফায়েতুল্লাহ কাশফী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। সেমিনার পরিচালনা করেন মুহাম্মদ মুনিরুল ইসলাম ও মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী।
চরমোনাই পীর বলেন, নৈতিক শিক্ষা ছাড়া আদর্শ নাগরিক তৈরি সম্ভব নয়। বর্তমান জাতীয় শিক্ষানীতি দ্বারা ভবিষ্যত্ প্রজন্মকে আদর্শ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব নয় বরং এই শিক্ষানীতির বাস্তবায়নে দেশে চরম দুর্নীতিবাজ তৈরি হবে। কাজেই এ শিক্ষানীতি মুসলমানদের শিক্ষানীতি হিসেবে মেনে নেয়া যায় না।
সূত্র আমার দেশ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।