আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মবিল যমুনার তালিকাভুক্তি বাতিল : রিফান্ড দিতে হবে ১৫ দিনের মধ্যেই

স্বপ্ন দেখুন, একদিন সত্যি হবেই...

মবিল যমুনার তালিকাভুক্তি চুড়ান্তভাবে বাতিল করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তালিকাভুক্তির জন্য সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) দেয়া বর্ধিত সময়ও শেষ হচ্ছে ১৩ এপ্রিল। ফলে আইপিও বিধি অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই কোম্পানিকে বিনিয়োগকারীদের রিফান্ড দিতে হবে। ডিএসই‘র সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। জানা যায়, আবেদন গ্রহনের তারিখ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে কোম্পানিকে ডিএসইতে তালিকাভুক্ত হতে হয়।

বাইব্যাকের শর্তে জটিলতার কারণে গত ২৪ মার্চ ডিএসই কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির আবেদন নাকচ করে দেয়। পরে এসইসি কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির জটিলতা নিরসনের জন্য আরও দুই সপ্তাহ সময় বেঁধে দেয়। আগামীকাল ১৩ এপ্রিল এসইসির বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হচ্ছে। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও কোম্পানিটিকে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়নি স্টক এক্সচেঞ্জ। সোমবার ডিএসইর এক বৈঠকে এ কোম্পানির তালিকাভুক্তি চূড়ান্ত ভাবে নাকচ করে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে ডিএসই’র এক উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, কোম্পানিটি ৩০ শতাংশ বোনাস দেওয়ার শর্ত দিয়েছে। কিন্তু এ শর্তে মূলত বিনিয়োগকারীদের কোনো লাভ হবে না। ১০০টি শেয়ারে ৩০টি শেয়ার বোনাস দিলেও মূলত কোম্পানির ফান্ডমেন্টালি কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না। ফলে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে এ কোম্পানিকে তালিকাভুক্তি দেয়া হচ্ছে না। নতুন করে সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই।

তালিকাভুক্ত হতে না পারলে কোম্পানি রিফান্ড দিতে বাধ্য। কারণ কোনো কারণে কোম্পানি তালিকাভুক্ত হতে না পারলে আইপিও’র টাকা রিফান্ড দেওয়ার মুসলেকা দিয়েই কোম্পানির প্রসপেক্টাস ছাপানো হয়। সেক্ষেত্রে আইপিও আইন অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যেই কোম্পানিকে রিফান্ড দিতে হবে। এ ব্যাপারে ডিএসই’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ডিএসই কোম্পানিটির তালিকাভুক্তি বাতিল করেছে। আইপিও আইন অনুযায়ী আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কোম্পানিকে রিফান্ড দিতে হবে।

উল্লেখ্য, সরকার থেকে মবিল যমুনা ও এম আই সিমেন্ট এই দুটি কোম্পানিকে ৬ মাস পর্যন্ত শেয়ার বাইব্যাকের শর্ত দেওয়া হয়েছে। এ শর্ত বাইব্যাক আইনে গ্রহণযোগ্য নয়। এছাড়া কোম্পানির পর্যাপ্ত রিজার্ভ না থাকলে শেয়ার বাইব্যাক করতে পারবে না। তবে স্পন্সররা চাইলে নিজেদের টাকা দিয়ে বাইব্যাক করতে পারবে। এ শর্ত নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার কারণে তালিকাভুক্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ে।

মবিল যমুনার পক্ষ থেকে তালিকাভুক্তির জন্য দু মাস সময় চাওয়া হয়। গত ১৩ মার্চ এসইসি এ আবেদন নাকচ করে দেয়। পরে মবিল যমুনা কোম্পানিটি বাইব্যাকের পরিবর্তে ক্ষতিপূরণ দেয়ার শর্ত দিয়ে ডিএসইতে আবেদন করে। এ শর্তেও ডিএসই বাতিল করে দেয়। দ্বিতীয় দফায় ৩০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ার আবেদন করে কোম্পানিটি।

কিন্তু এ শর্তও বাতিল করে চূড়ান্ত ভাবে কোম্পানির তালিকাভুক্তি বাতিল করল ডিএসই। এদিকে তালিকাভুক্তিতে বিলম্ব হওয়ায় কোম্পানিদুটিতে ৭ লাখ বিনিয়োগকারীর ৯৪৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা আটকে আছে। মবিল যমুনার ৪ কোটি শেয়ারের বিপরীতে ৪ লাখ বিনিয়োগকারী লটারী পেয়েছেন। এ কোম্পানির মার্কেট লট ১০০টি। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৬০৯ কোটি ৬০ লাখ টাকা সংগ্রহ করেছে।

এমআই সিমেন্টে ৩ কোটি শেয়ারের বিপরীতে ৩ লাখ বিনিয়োগকারী লটারী পেয়েছেন। এ কোম্পানির মার্কেট লট ১০০টি। বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে ৩৩৪ কোটি টাকা থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। সূত্র: বাংলা নিউজ

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.