https://www.facebook.com/tanvir.mh “মবিল চৌধুরী” অফিস শেষে খুব দ্রুতই বাসায় ফিরতে চান। কিন্তু বিপত্তি ঘটে তার গাড়ীর ড্রাইভার “রহিম বক্স” কে খুজতে গিয়ে।
-ঐ রহিম কই তুমি?
-স্যার আইতাছি। গাড়ীর চাক্কায় হাওয়া দিতে গিয়ে দেরি হইয়া যাইতেছে।
-তুমি শিওর ক্ষেপ মারতেছো?
-তউবা তউবা স্যার কি যে কন।
একদিন ক্ষেপ মারছিলাম আর কপাল খারাপ সেইদিনই ধরা খাইছিলাম আপনার কাছে।
-১০ মিনিটের ভেতর আসতে না পারলে কালকেই তোমারে এমিরেটস এয়ারলাইন্সে নীলফামারী পাঠাইয়া দিবো।
-জী স্যার জী স্যার।
মবিল চৌধুরীর অফিসে বনানিতে। আর বাসা উত্তরায়।
রহিম বক্স সকালে একবার তাকে দিয়ে যায় আবার বিকেলে ফেরত নিয়ে যায়। প্রতিদিন রহিম পণ করে আজ সে ক্ষেপ মারবেনা কিন্তু মেইন রোদে উঠলেই তার মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় “চলেন বনানী ২০ টাকা”।
৩০ মিনিট পর উপস্থিত হয় রহিম বক্স।
-কয় সেকেন্ডে এক মিনিট?
-স্যার চাক্কায় হাওয়া দিতে গিয়ে লেট। কারেন্ট গেছিলগা।
-তুমি কি টেবিল ফ্যানের বাতাস আমার গাড়ীর চাকায় ধুকাইতেছিলা?
-জী স্যার। না স্যার না স্যার।
রহিমের সাথে কথা না বাড়িয়ে গাড়িতে উঠে গেল। কারণ বাসায় যাওয়ার জন্য বউয়ের ফোন, মেসেজ আসতেই আছে। “কৈ” মাছ দিয়ে নাকি কি এক ইটালিয়ান রেসিপি রান্না করেছে তার বউ।
ইটালিয়ানরা কি আর কাজ পায়না? পিয়াজ দিয়ে ভুনা করে “কৈ” মাছ ছেড়ে দিবে। কিন্তু না এইটার উপরেও হামলা।
মেসেজের উত্তর দিয়েই দিয়েছিলো “রান্না অনেক মজা হয়েছে”
না খেয়ে রান্না মজা হয়েছে বলার লঘু অপরাধে কি গুরু শাস্তি যে হতে পারতো তা আর ভাবতেই ভয়ে বুক কেপে উঠেছে মবিল চৌধুরীর। ভাগ্যিস মেসেজটা যায়নি।
গাড়ীর ভেতরে অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে রহিম এইটাকে ভিআইপি ২৭ বানিয়ে ছাড়বে।
-রহিম বক্স চিন্তা করছি একটা দামি গাড়ি কিনবো।
-স্যার ভালো সংবাদ স্যার। কবে কিনবেন?
-তোমার জন্য ভালো সংবাদ না। কারণ তখন দামি ড্রাইভারও রাখবো।
-স্যার চাকরি গেলে আমি কি করমু?
-২৭ নাম্বার বাসের ড্রাইভারগিরি করবা।
চলবে...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।