© ২০০৬ - ২০১১ ত্রিভুজ
সময়ের অভাবে হোক আর রাজনীতিবিদদের বিষয়ে আগ্রহ হারানোর কারণেই হোক ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ এর সংসদে দেয়া একটি বক্তব্যের ভিডিওটা এতদিন দেখা হয় নাই। আজকে ভিডিওতে পার্থের বক্তব্য এবং তাঁর বিপক্ষে অনেক ব্লগও পড়লাম। এটা কি ব্লগারদের সমস্যা না আমাদের জাতীয় সমস্যা জানি না, আমরা মূল বিষয় রেখে অপ্রয়োজনীয় কথা বলতে বেশি পছন্দ করি। একজন মানুষ কি বক্তব্য দিচ্ছে এবং সেই বক্তব্যের কতটুকু সত্য কতটুকু মিথ্যা তা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তা না করে তাঁকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করাটা মানে যে তাঁর বক্তব্যের কাছে অসহায় হয়ে যাওয়ারই প্রমাণ করে, এটা আমরা এখনো জানি বলে মনে হয় না।
একজন সাংসদ কিছু বিষয় তুলে ধরেছেন যেগুলো আমরা সচেতন জনতা অনেকদিন ধরেই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি, নেতাদের গালি দিয়েছি তারা কেন এগুলো দেখেন না বা তুলে ধরেন না। আমাদের অভিযোগ- এই দল ঐ দলের আসল গোমড় ফাঁক করে না, ঐ দলও এই দলেরটা করে না। কিন্তু যখন পার্থ করে বসলেন এখন পার্থের চরিত্র বিশ্লেষণ শুরু হয়ে গেল। ধরে নিলাম পার্থ খুব খারাপ, তার ফর্টিন জেনারেশন খারাপ... কিন্তু তাতে কি তাঁর প্রকাশিত সত্যগুলো মিথ্যায় পরিনত হবে? যে বিষয়গুলো তিনি তুলে ধরেছেন সেগুলো নিয়ে ভাবা জরুরী। হ্যাঁ, এটা ঠিক তিনিও পক্ষপাতদুষ্ট, তিনি শুধু প্রতিপক্ষের অন্যায়ের কথা তুলেছেন কিন্তু এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে তার প্রতিপক্ষও কি তাঁর দলকে ছেড়ে কথা বলবে? চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন, এই দল ঐ দলের সকল কুকীর্তি ফাঁস করে দিলো; ঐ দলও এই দলের কুকীর্তি ফাঁস করতে শুরু করলো- লাভটা কার হবে? নিতান্তই নিন্মশ্রেণীর বুদ্ধিসম্পন্ন না হলে এটা বোঝার কথা যে এতে আমাদের আমজনতারই লাভ, দেশের লাভ।
সুতরাং চলুক না, অপ্রাসঙ্গিক ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে যে অন্যায়ের কথা তিনি তুলে ধরেছেন সেটা নিয়ে সোচ্চার হোন। আগামীতে তাঁর দেখানো পথে অন্যরাও অনেক অন্যায় তুলে ধরবেন, তখনও আমরা সোচ্চার হবো। এভাবেই একদিন শুদ্ধ হতে বাধ্য হবে আমাদের রাজনৈতিক নেতারা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।