ওওওও ওওও ওও ও
জানি এই কথাটা সবার সামনে বললে নির্ঘাত থাপ্পর/ লাথি খাওয়া লাগত। বাট ব্লগে যেহেতু সেইটা খবার সম্ভবনা নাই তাই মনে যেটা সল সেটা বলে ফেললাম। যারা আমাকে এখানে মোটা মুটি চিনেন তারা জানেন ভারতের ব্যাপরে আমার মানসিকতা কেমন। কোনভাবেই ভারতকে সহ্য করতে পারিনা। আমার প্রিয় খেলোয়ার টেন্ডুলকার হবার পরেও নানা কারনে ভারতকে সাপোর্ট করিনা।
২০/৩০ বছর আগে দেশের অবস্হা কেমন ছিল তা জানিনা। সামনে কেমন হবে সেটাও জানিনা। আমি ভাবছি এখনকার কথা। দেশে বর্তমানে এমন এক সরকার আছে যারা পারলে কালকেই ভারতকে দেশটা হ্যান্ডওভার করে দেয়। তারা ভারতের কাছে অনুগত কারন ভারত রাজনৈতিকভাবে তাদেরকে পাওয়ারে আনতে নানাভাবে হেল্প করেছে।
দেশের স্বাধীনতাকামী ও বাংলাদেশের জাতীয়তায় বিশ্বাসী কেউই চাইবে না এত রক্তের বিনিময়ে পাওয়া দেশটাকে অন্য কারো হাতে তুলে দিতে। কিন্তু মনে মনে কিছু ব্যাপারে ভেবে আমার কাছে বাংলাদেশকে ভারতের অন্গরাজ্য হিসাবে দেখতে খুব একটা খারাপ লাগছে না। বাংলাদেশ ভারত হয়ে গেলে যেসব সুবিধা আমরা পেতে পারি তা হল-
পাসপোর্ট:
আমি দেশের বাইরে থাকি। তাই সবার আগে পাসপোর্ট ভিসার ব্যাপারটা মাথায় এসেছে। যাহোক শুনতে খারাপ লাগলেও বাস্তবতা হল বাইরের উন্নত দেশগুলোতে যাবার ব্যাপারে আমাদের দেশের পাসপোর্টের কোন মূল্যই নাই।
বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা পাওয়া যত কঠিন ভারতের পাসপোর্টে ভিসা পাওয়া ততটাই সহজ। ভারতীয় পাসপোর্টে এদেশের ছাত্ররা সহজেই লেখাপড়া করতে ভিসা নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমাতে পারবে। শ্রমিক ভাইয়েরা মিডিলিস্টে গিয়ে কাজ করে ডলার কামাতে পারবে।
নদী
পদ্মা তিস্তা শ অনেক বড় নদী ভারতের বুক বেয়ে আমাদের দেশে আসে। বাংলাদেশের গন্ডমূর্খ কুটনিতীকদের বাপেরও সাধ্য নাই যে আলোচোনা বা চুক্তি করে আমাদের প্রাপ্য নদীর পানি পাওয়া নিশ্চিত করবে।
তারচেয়ে দেশ ভারত হয়ে গেলে ভারত অবশ্ই চাইবে যেন তাদের এই নতুন অন্গরাজ্য পানি তথা কৃষি আবাদ নিয়ে ঝামেলা না হয়। তাই নিজেদের স্বার্থেই নদীর পানি ঠিকমত বন্টনের ব্যাবস্হা করবে। শহরে বা দেশের বাইরে বসে আসলে বুঝা যায়না বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষের জীবনে নদী কত ইম্পর্টেন্ট বিষয়। আমার বসয় কম। এই কম বয়ষেই নিজের চোখে দেখলাম কত নদী শুকিয়ে গেল।
আমাদের রাজশাহীর পদ্মা, নাবাবগন্জের মহানন্দা ইত্যাদি। নদী না থাকলে পানি নাই। পানি নাই তো চাষবাস নাই। চাষবাস না থাকলে জেনারেশানের পর জেনারেশন কৃষি কাজ করে খাওয়া মানুষগুলা স্রেফ মারা যাবে বা যাচ্ছে।
জিনিসপত্রের বাজার দর
গরু, চিনি, ডাল, পেয়াজ, আলু, রসুন থেকে শুরু করে মোমবাতি পর্যন্ত এখন ভারতে থেকে আমদানি করা হয়।
হতে খাতা নিয়ে বাজারে ঘুরে দেখুন ও লিস্ট করুন কয়টা পণ্য পিউর মেড ইন বাংলাদেশ। ম্যাক্সিমাম জিনিস ভারত থেকে আসা। আপনার বাসায় যা কিছু আছে সেহুলোর কয়টার অরিজিন বাংলাদেশ। দেশ ভারত হয়ে গেলে এসব পন্য আনতে ট্যাক্স দেওটা লাগবে না। ভুড়িমোটা ইমপোর্টকারী ব্যাবসায়ী নিজের খেয়ালখুশিমত দাম বাড়াতে পারবে না।
স্বাভাবিকভাবেই দাম কমতে বাধ্য। সেই সাথে আমাদের কারেন্সি যেহেতু রূপী হবে সেহেতু যেকোন প্রোডাক্ট এর স্যম্পল ভ্যালু বেশি হবে।
ডিজুস পোলাপান
ডিজুস পোলাপান সব দেশেই আছে। ডিজুস পোলাপানের আবার দুই ভাগ আছে। এক. চালাক ডিজুস, দুই. গাধা ডিজুস।
চালাক ডিজুস পোলাপান ইয়ো লাইফিস্টাইলের সাথে সাথে নিজের জীবনকে এগিয়ে নেবার ব্যাপারে সর্বদা সজাগ। তারা পিজা বা কফি সপে কাজ করে নিজের পকেট মানি যোগার করাকে স্মার্টনেস মনে করে। যেভাবেই হোক বা যে কারণেই হোক ইন্ডিয়ার পোলাপানেরা এই গ্রুপে পড়ে। আনফরচুনেটলী আমার দেশের পোলাপান ইস্টাল মারা শিখেছে কিন্তু বাপের টাকায়। বসে বসে বাপের হোটেলে খাওয়া কনদিনও আমাদের দেশে অসম্মানজনক না।
আশা করছি দেশ ভারত হলে এরা লাইনে আসবে।
লিখতে লিখতে হাত ব্যাথা হয়ে গেছে তার মাথায় ঘুরপাক খাওয়া অনেক কিছু লিখতে পারলাম না। হয়ত অনেকে ১৯৭১ কে টেনে আনবেন। বলবেন তাদের রক্তের মূল্যের কথা। কিন্তু আমার কথা হল ২০০৬ সালে আমি নিজে ৬০ টাকা কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনেছি, আজ সেটা ১৮৫ টাকা।
আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ গরীব। ভাল জীবনযাপনের কথা বাদই দেন অনেকে কেবল দেহটাকে বাচিয়ে রাখা নিয়ে যুদ্ধ করছে। সেসব মানুষের কাছে ১৯৭১-এর মূল্য কি? স্বাধীনতা তো আর সিদ্ধ করে খাওয়া যায়না?
অনেকেই বলবেন এভাবে হতাশ হলে চলবে না। নিজেদেরকেই 'কিছু একটা' করে সব সমস্যা সমাধান করতে হবে। হুম... আমার কাছে সেই কিছু একটা মানে খালেদার বদলে তারেক আর হাসিনার বদলে জয়।
যেই লাউ সেই কদু।
*** আমার এই লেখায় কেউ কস্ট পেয়ে থাকলে নিজ গুনে মাফ করে দিবেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।