তিন ইয়ারী কথা, ভারত, ২০০৮
কোলকাতার সিনেমা। সমস্যায় জর্জরিত এক রুমের বাসিন্দা তিন ধরনের তিন বন্ধু এবং তাদের আশেপাশের পৃথিবী নিয়ে সিনেমাটা। প্রোমাকাঙ্খা, যৌনাকাঙ্খা, হাসি-কান্না আর সুরা – কিভাবে তিন বন্ধুকে বারবার আলাদা করে আবার এক সূত্রে বাধে সে গল্প এখানে। স্বপ্নের দৃশ্যায়নগুলো চমৱকার এখানে।
রেটিং: ৩/৫
Sympathy for Mr Vengence,কোরিয়া,২০০২
ওল্ডবয় খ্যাত পার্ক চ্যান উক এর ভেনজেন্স ট্রিলজির প্রথম পর্ব এটি।
বোবা একটি ছেলে তার বোনের চিকিতসার জন্য কিডন্যাপ করে একটি ফুটফুটে সুন্দর মেয়েকে। কিন্তু ঘটনাচক্রে মারা যায় মেয়েটি। বোবা ছেলেটিকে খুজছে মেয়েটির ধনাঢ্য বাবা অন্যদিকে বোবা ছেলেটি একে এক হত্যা করে যাচ্ছে সেই চক্রটিকে যারা তার কাছ থেকে কিডনী কিনে নিয়েছিল এবং সেই সাথে জমানো অর্থও। বেশ ভায়োলন্ট সিনেমা এটি।
রেটিং: ৪/৫
Sympathy for Lady Vengeance, কোরিয়া, ২০০৫
ভেনজেন্স ট্রিলজির থার্ড পর্ব।
মাঝের পর্ব ওল্ড বয়। এবার মূল চরিত্র একটি মেয়ে, শিশু হত্যার দায়ে যার ১২ বছরের জেল। কিভাবে সে তার জেলমেটদের সহযোগিতায় আসল হত্যাকারীকে খুজে বের করে এবং তাকে হত্যা করে তারই গল্প। বেশ ভায়োলেন্ট সিনেমা, দৃর্বল চিত্তরা না দেখলেই ভালো্ এবং বেশ মনযোগ সহকারে দেখা উচিত।
রেটিং: ৩.৫/৫
The exorcist, ইউএসআ, ১৯৭৩
এই সিনেমাটা না দেখে হরর সিনেমা দেখাটা বোধহয় এক ধরনের পাপ।
১২ বছরের একটি মেয়ের মধ্যে বাসা গাড়ে শয়তান, তাকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এক ফাদার। বাস্তবেই এমন একটি ঘটনা ঘটেছিল ওয়াশিংটনে, ১৯২৪ সালে। মাস্ট সি ফিল্ম। একটা ব্লগ লিখেছিলাম এই নিয়ে : Click This Link
রেটিং: ৪.৫/৫
Exorcist II: The Heretic (1977), ইউএসআ,১৯৭৭
এক্সরসিস্ট সিনেমার দ্বিতীয় পর্ব যদিও পরিচালক থেকে শুরু করে সবাই পরিবর্তিত। সেই ছোট্ট মেয়েটি এখন বড় হয়েছে, কিন্তু পিছু ছাড়েনি শয়তানের দল।
বিজ্ঞানের অনেক অগ্রগতি হয়েছে যদিও কিন্তু অশরীরী বিষয়গুলোতে এখনও কিছু অজ্ঞতা রয়ে গেছে। সমাধানে ফিরতে হলো সেই বাড়িতে, এবার নতুন একজন ফাদার।
রেটিং: ৩.৫/৫
The Exorcism of Emily Rose, ইউএসআ, ২০০৫
হরর এবং কোর্টরুম ড্রামা। এমিলি রোজকে চিকিতসা থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়ে তাকে হত্যা করতে সাহায্য করেছেন ফাদার, তাই তিনি আসামী। তার আইনজীবি এরিন কে সাহায্য করবেন একটাই শর্তে – এমিলি রোজের কাহিনী সবার সামনে বলার সুযোগ দিতে হবে তাকে।
তবেই পৃথিবীর মানুষ জানতে পারবে, সব কিছুই বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না।
রেটিং: ৪/৫
Fight Club, ইউএসআ, ১৯৯৯
ডেভিড ফিঞ্চারের সাইকোলজিক্যাল ড্রামা। সব দিক দিয়ে ভিন্ন এমন দুই বন্ধু সামান্য বিনোদনের জন্য মারামারি শুরু করেছিল, দিনে দিনে সেটাই হয়ে গেল একটা ফাইট ক্লাব, যার সদস্যরা ছড়িয়ে আছে সবজায়গায়, স-ব-খা-নে। কিন্তু যে দুই বন্ধু মিলে শুরু করেছিল, তারা কি আসলেই দুইজন? নাকি এক ব্যক্তিই? ডিস্টার্বিং মুভি, মনযোগ দিয়ে না দেখলে বোঝা কষ্ট।
রেটিং: ৪/৫
I’m a cyborg but that’s ok, Korea, 2006
আরেকটা পার্ক চ্যান উক ফিল্ম।
অন্যান্য সিনেমাগুলোর মতোই বেশ ডিস্টার্বিং সিনেমা, কিন্তু শেষ করার পর বুঝলাম অন্যতম একটা কমেডি সিনেমা দেখলাম। নায়িকা মানসিক রোগী, নিজেকে সাইবর্গ মনে করে, তার সাথে প্রেম হয় আরেক রোগীর।
রেটিং: ৪/৫
The last exorcism, USA, 2010
এক ডকুমেন্টারী টিম একটা এক্সরসিজম শ্যুট করার জন্য যায়, উদ্দেশ্য – এখানে যে জালিয়াতিটা হয় সেটা ফাস করে দেয়া। কিন্তু ঘটনা মোড় ঘুরে যায় যখন দেখা গেল মেয়েটি সত্যিই অসুস্থ্য এবং প্রেগনেন্ট। তবে কি সে শয়তানের সন্তান গর্ভে ধারণ করছে?
পুরোটাই ডকুমেন্টারী ট্রিটমেন্টে করা হয়েছে, ফলে আরও বেশী জীবন্ত মনে হয়েছে।
রেটিং: ৪/৫
একটা পোস্ট লিখেছিলাম এক্সরসিজম সিনেমাগুলো নিয়ে: Click This Link
Requiem of a dream, USA, 2000
ড্যারেন অ্যারোনফস্কির সিনেমা। ড্রাগ অ্যাডিক্ট একটা পরিবার নিয়ে সিনেমা। এত অসাধারণ সিনেমা আমি খুব কমই দেখেছি। মাস্ট মাস্ট সি সিনেমা
রেটিং: ৫/৫
নটবর নট আউট, কলকাতা, ২০১০
কমেডি সিনেমা। মূল আগ্রহ ছিল এর নায়ক, সে নাকি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে।
বেশ চমতকার হয়েছে সিনেমাটা, তবে সিনেমা না বলে থিয়েটারের সিনেভার্সন বললে ঠিক হয়। এনজয়েবল সিনেমা।
রেটিং: ৩.৫/৫
Gunless, Canada, 2010
দেখার পেছনে মূল আকর্ষন ছিল চমতকার কিছু শট, ঝকঝকে ছবি। পরে বুঝলাম এটা কমেডি সিনেমা, এমন কমেডি না দেখলেও চলে।
রেটিং: ৩/৫
There will be blood, USA, 2007
আরেকটা মাস্ট সি সিনেমা।
‘আই অ্যাম আ অয়েলম্যান’ – কিভাবে এক লোক একাই তেলের ব্যবসা গড়ে তুললো সেটা নিয়ে সিনেমা। চমতকার ফটোগ্রাফি। অস্কারজয়ী সিনেমা।
রেটিং: ৫/৫
Notting hill, USA, 2009
চমতকার রোমান্টিক সিনেমা, হিউ গ্রান্ট আর জুলিয়া রবার্টস অভিনীত। সিজন চেঞ্জ এর একটা বেশ আকর্ষনীয় উদাহরন আছে এখানে।
স্টুডিও সিনেমা যে কতটা কন্ট্রোলড – সেটা বোঝার জন্য এই সিনেমাটা বেশ পারফেক্ট।
রেটিং: ৪/৫
আপনিও শেয়ার করুন আপনার সম্প্রতি দেখা সিনেমাটি
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।