হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোনজন, কান্ডারি বলো ডুবিছে মানুষ সন্তান মোর মা'র বাদশাগঞ্জে নির্ধারিত জনসভা শেষে সমাপ্তি হলো ঢাকা-শুনেত্র লংমার্চ। বাদশাগঞ্জে বারবার চেষ্টা করেও আপডেট দিতে পারিনাই প্রচণ্ড স্লো ইন্টারনেটের কারনে৩।
বাদশাগঞ্জের জনসাধারণ নিজেদের অঞ্চলের গ্যাস রক্ষ্যা বদ্ধ পরিকর বলেই মনে হল, ব্লগার অনলাইন একটিভিস্টদের সাথে মত বিনিময়ে স্থানীয়রা অনেকেই তা জানালেন। পরবর্তিতে এই বিষয়ে বিস্তারিত আপডেট দেয়ার ইচ্ছা রাখি। ছবি আপডেট ও পরে করবো।
এই মুহুর্তে বাসে করে ঢাকায় ফিরছি। অরূপ রাহী ভাই বাসে দুর্দান্ত সঙ্গীত পরিবেশন করছেন।
আপডেট- নেত্রকোণার শহীদ মিনারের সমাবেশ শেষ হয়েছে গতকাল রাতে। লংমার্চ এখন অবস্থান করছে মোহনগঞ্জ। ধর্মপাশা হয়ে বাদশাগঞ্জ গিয়ে শেষ হবে ঢাকা-সূনেত্র লংমার্চ কর্মসূচী।
(৩০ অক্টোবর,সন্ধ্যা ৬টা ৩০)- লংমার্চ এখন নেত্রকোণায়। দুপুরবেলা শ্যামগঞ্জে মিছিল এবং সমাবেশ শেষে বিকালে এখানে পৌছেছে লংমামার্চ। নেত্রকোণা শহীদ মিনারে এখন সমাবেশ হচ্ছে। সমাবেশে মানুষের ঢল দেখে মনে হচ্ছে ফুলবাড়ির মতো এখানকার জনতাও সচেতন হচ্ছে নিজেদের সম্পদের অধিকার নিয়ে।
আপডেট (২৯ অক্টোবর, রাত ৯ টা ১৫)- ময়মনসিংহের সমাবেশে এইমাত্র বক্তব্য রাখলেন ময়মনসিংহের ছেলে বিখ্যাত ব্লগার দিনমজুর(প্রকৌশলী কল্লোল মোস্তফা)।
ব্লগের মতোই বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে বক্তব্য রাখলেন তিনি। তিনি জানালেন, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র এবং সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্র অনেকটা একিধরণের। বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস উত্তোলন করতে আজ থেকে ১০ বছর আগে বহুজাতিক কোম্পানি খরচ দেখিয়েছিল ২০০০ কোটি টাকা, সেই অনুযায়ী তারা সরকারকে প্রফিট শেয়ারিং অনুযায়ী বেশী দামে গ্যাস বিক্রি করেছে। আর সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্র থেকে গ্যাস তুলতে চারটি কুপ খননের জন্যে বাপেক্স খরচের প্রস্তাবনা করেছে মাত্র ২৭৯ কোটি টাকা, সেই প্রস্তাব গৃহিত না হলে বাপেক্স মাত্র একটা কুপ খননের নতুন একটা প্রস্তাব দেয়। মাত্র ১ ঘন্টা আগে পাওয়া খবরে জানা গেছে সরকার সেই প্রস্তাবও বাতিল করে দিয়েছে।
আপডেট (সন্ধ্যা ৭টা ৩০)- লংমার্চ ময়মনসিংহে এসে পৌছেছে একটু আগে। বিকাল থেকেই কৃষ্ণচুড়া চত্ত্বরে জনসভা চলছে স্থানীয়দের উদ্যোগে। ময়মনসিংহের মিছিল এবং সমাবেশকেই এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বলে মনে হলো। এখানে বিপূল সংখ্যক জাতীয় কমিটির সমর্থক রয়েছে। এই মুহুর্তে জনসভা চলছে।
কিছুক্ষন পর ছবি আপডেট করছি।
আপডেটঃ ভালুকায় সমাবেশ ও মিছিল শেষে লংমার্চ এখন ত্রিশালের পথে। ত্রিশালে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
আপডেটঃ আজ সকালে গাজিপুর ত্যাগ করেছে লংমার্চ। এরপর মাওনা হাইওয়েতে অনুষ্ঠিত হয় পথসভা।
লংমার্চ চলছে ময়মনসিংহের পথে।
সুনেত্র অভিমুখে লংমার্চ শুরু করেছে তেল গ্যাস খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুত বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি। লংমার্চের দাবি বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদের উপর জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার সাত দফা দাবি। অন্যতম প্রধান দাবি কনকো ফিলিপসএর সাথে জাতীয় স্বার্থ পরিপন্থী চুক্তি বাতিল করা এবং দেশের বর্তমান জ্বালানি সংকট নিরসনে সুনেত্র গ্যাসক্ষেত্র থেকে অবিলম্বে গ্যাস উত্তোলন করা। তবে, অবশ্যই সেই গ্যাস উত্তোলন করতে হবে দেশীয় মালিকানায়।
কোনরকম বিদেশী ঔপনিবেশিক শক্তিকে গ্যাস উত্তোলন করতে দেয়া যাবেনা, দেশের চাহিদা না মিটিয়ে সামান্য গ্যাসও রপ্তানি করা যাবেনা।
সহব্লগার বন্ধুরা জানেন যে ২০০১ সালে 'বাংলাদেশ গ্যাসের উপর ভাসছে' এইরকম প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে ভারতে রপ্তানির নামে গ্যাস পাচারের ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কিন্তু তখন জাতীয় কমিটির বিবিয়ানা লংমার্চ ও অন্যান্য কর্মসূচীর কারনে, "পাইপ লাইনে মন্ত্রী যাবে তেল গ্যাস যাবেনা" স্লোগানে সেই গ্যাস পাচারের ষড়যন্ত্র রূখে দেয়া গেছে। আজ থেকে ১০ বছর আগে দেশে গ্যাসের অভাব নাই বলে রপ্তানির ফন্দি আটা হচ্ছিল, অথচ বাংলাদেশে এখন নতুন গ্যাস লাইনের কানেকশন দেয়া বন্ধ হয়ে গেছে গ্যাসের অভাবে। একের পর এক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে গ্যাসের অভাবে।
গতকাল চট্টগ্রামের ২০০ শিল্প কারখানাকে আর গ্যাসের সংযোগ দেয়া হবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সে সময় যদি গ্যাস পাচারের ষড়যন্ত্র রূখে দেয়া না যেতো তাহলে আমরা এখন এক চরম জ্বালানী দুর্যোগের মাঝে বসবাস করতে বাধ্য হতাম।
জাতীয় কমিটির দাবি, এ দেশের সাধারণ জনগণের দাবি, শ্রেফ কমিশন খেয়ে এবং জাতীয় স্বার্থের ক্ষতি করে সমুদ্র অথবা স্থলের কোন গ্যাস ক্ষেত্রের জ্বালানী বিদেশী প্রভুদের উপহার দেয়া যাবেনা। হেলায় খেলায় আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে কোন অনিশ্চিৎ অন্ধকার এবং ঔপনিবেশিক প্রভুদের দাসত্বের ভাগ্য বরণ করতে দিতে পারিনা।
যেই গ্যাস আমাদের দেশীয় কোম্পানি আমাদের কাছে বিক্রি করে মাত্র ২৫টাকায় সেই একি গ্যাস আমাদের বিদেশী কোম্পানির কাছ থেকে কিনতে হচ্ছে ২১০টাকা দরে।
আর এই প্রক্রিয়ায় গত ৬ বছরে আমরা গচ্চা দিয়েছি ১৫ হাজার কোটি টাকা। এই রকম পাগলামি কোন সুস্থ্য মস্তিস্কের স্বাধীন জাতির পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব না, যদি না সে কমিশিন অথবা দলীয় স্বার্থে অন্ধ না হয়।
২৮ অক্টোবর সকাল ১০টায় প্রেসক্লাব থেকে শুরু হয়েছে এই লংমার্চ। ঢাকা পার হয়ে টঙ্গি, গাজিপুরের বিভিন্ন জায়গায় মিছিল সমাবেশ করে জয়দেবপুরের রাজবাড়ি মাঠে সমাবেশের মধ্য দিয়া শেষ হয়েছে প্রথম দিনের কর্মসূচী। আজ সকালে ময়মনসিংহ অভিমূখে রওনা হবে লংমার্চ।
জাতীয় স্বার্থে ব্লগার-অনলাইন একটিভিস্টএর পক্ষ থেকে আমরা বেশ কয়েকজন ব্লগারই আছি লংমার্চে লংমার্চের সকল আপডেট আপনাদের জানাতে। মেইনস্ট্রিম মিডিয়া জাতীয় স্বার্থের প্রশ্নে যে ভুমিকাই নিক না কেনো জনগণের স্বার্থের খবর জনগণোকে পৌছে দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। প্রথম দিনের কর্মসূচীতে টঙ্গি ও গাজিপুরে আমাদের সাথে এসে মিলিত হন কয়েকজন ব্লগার। দ্বিতীয় দিনের উল্লেখযোগ্য ঘটনা ময়মনসিংহের সমাবেশে ব্লগার দিনমজুরের বক্তৃতা। আগামিকাল তৃতীয় দিনে নেত্রকোনার ব্লগার এবং একটিভিস্টদের সাথে দেখা হওয়ার আশা রাখছি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।