বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি'র বক্তৃতা শুনছিলাম। উনি আবার বললেন মহিউদ্দিন খান আলমগীর রাজাকার, অবশ্যই রাজাকার। ১৯৭১ এ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যেভাবে বাংলাদেশের সাধারান মানুষ'কে গুলি করে মেরেছে, একইভাবে এখন মহিউদ্দিন খান আলমগীরে'র নির্দেশে পাখির মত মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।
উনার কথার রেশ ধরে বলি, বিএনপি যখন র্যাব গঠন করল তখন আওয়ামিলীগসহ দেশি-বিদেশি কুটনিতীবিদরা এর বিরুদ্ধে অনেক কথা বলেছেন, আইন বহির্ভুত হত্যাকান্ড কখনই গ্রহনযোগ্য নয়। বিএনপি তাদের কারও কথা না মেনে র্যাব গঠন করেছে।
আইন বহির্ভুত হত্যাকান্ড চালিয়েছে। আমাদের আশা ছিল পরবর্তি সরকার অন্তত এই অবিচারের বিরুদ্ধে দাড়াবেন। কিন্তু পরবর্তি সরকার, আওয়ামিলীগ, এই আইন বহির্ভুত হত্যাকান্ডে'র বিরুদ্ধে দাড়াননি; বরং র্যাব'কে আরও শক্তিশালি করেছেন যার সুফল (দাকাত শহীদ নিহত) এবং কুফল (লিমনে'র পা হারান) আমরা ভোগ করছি।
দেলু রাজাকারের বহুকাঙ্খিত ফাঁসির রায় হয়েছে। গনজাগরন মন্ঞ্চ সেই রায় কে সাধুবাদ জানিয়েছে।
অন্যদিকে জামাত-শিবির রায়ের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে, ভাংচুর থেকে শুরু করে আগুনদেয়া পর্যন্ত যত নেক্কারজনক ঘটনা আছে তার সবই করছে যেটা পুর্বানুমিতই ছিল।
কিন্তু যেটা পুর্বানুমান করা যায়নি সেটা হচ্ছে জামাত-শিবির'কে দমানোর নামে মানুষ হ্ত্যা। মানিকগন্জে'র শিঙ্গাইর থেকে যদি শুরু করি তাহলে দেখবেন কি নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে মানুষ। একটি স্বাধীন দেশে এভাবে নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা যায় এটা আমার ধারনার বাইরে ছিল। আমি বলব ১৯৭১এর পরে এমনকি স্বৈরাচার এরশাদের রাজত্বকালেও এমন নির্বিচার গনহত্যা হয়নি।
একটি গনতান্ত্রিক সরকার দেশ চালাচ্ছে আর পুলিশ এভাবে মানুষ মারছে এটা আমি কল্পনাও করতে পারি না। র্যাব এখন হয়ত লজ্জাই পাচ্ছে যে তারা মানুষ হত্যার লাইসেন্স পেয়েও কেন এতটা নির্লজ্জ হতে পারে নি।
কেউ কেউ হয়ত বলবেন আমি জামাত-শিবিরে'র পক্ষে বলছি। আবার কেউ কেউ হয়ত বলবেন জামাত-শিবির পুলিশে'র উপরে হামলা করছে বলেই বাধ্য হয়ে পুলিশকেও গুলি চালাতে হচ্ছে। যারা ভাবছেন আমি জামাত-শিবিরে'র পক্ষে বলছি তাদের'কে পরিষ্কারভাবে বলে দিতে চাই যে জামাত-শিবির সহ সকল যুদ্ধাপরাধী'র শাস্তির স্বপক্ষে আগেও ছিলাম, এখনও আছি এবং চিরদিন থাকব।
এর প্রমান আমি বিভিন্ন সময়ে আমার বিভিন্ন পোষ্টে দিয়েছি।
আর যারা বলেন, জামাত-শিবির পুলিশে'র উপরে হামলা করছে বলেই বাধ্য হয়ে পুলিশকেও গুলি চালাতে হচ্ছে, তাদের'কে বলি, পুলিশকে কি শুধু মাথা এবং বুক'ই চিনান হয়েছে? মানুষে'র শরিরে আরও অঙ্গ আছেত। (যদিও আমরা জানি পুলিশের বুদ্ধি মাথায় না থেকে থাকে হাটুতে। আর পুলিশে'র বুক-পিঠ বলে কিছু নাই :-) দুর্নিতি'তে বরাবর চ্যাম্পিয়ান হতে তাদের ভুমিকাতো অনস্বিকার্য)। বন্দুকের নলটা একটু নিচের দিকে নামিয়ে গুলি করলেই মাথা বা বুকের জায়গায় পা'য়ে গুলি লাগান সম্ভব।
তাতে একজন মানুষ বাচে আর পুলিশ গনহত্যার অভিযোগ থেকে রেহাই পায়।
তবে কি ধরে নিব পুলিশ'কে গনহত্যার নির্দেশই দেয়া ছিল, "জামাত-শিবির পেলেই গুলি চালাও। সরকার নিরাপত্বা দিবে"। এই নির্দেশ দিলেন কে? বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকি'র ভাষায় যে রাজাকার'কে সরকার স্বরাষ্ট্রমণ্ত্রী বানিয়েছেন তিনি নয়ত। হতেই পারেন।
১৯৭১এ পাকিস্তানি বরবরেরা কিভাবে মানুষ মেরেছে তা উনি দেখেছেন আর সেই স্মৃতি থেকেই উদ্বুধ্য হচ্ছেন হয়ত।
শেষ কথা বলি। এই নির্লজ্য, নৃশংস, নির্বিচার হত্যাকান্ড আমি ঘৃনা করি। আর ঘৃনা করি যারা এর নির্দেশ দিচ্ছে। বহুরক্ত ঝরিয়ে, ৩০ লক্ষ প্রানের বিনিময়ে, ৫ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধিন দেশের স্বাধিন নাগরিক হিসেবে এই হত্যাজগ্য আমি কোনও মতেই মেনে নিতে পারি না।
তাই বিএনপি'র মঙ্গলবারের হরতাল'কে সমর্থন জানাচ্ছি।
জয় বাং লা...............
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।