রোদ ভেঙ্গেছে আজ।
সাধারণত,মেন্টাল টেলিপ্যাথি মানে হল - কোন কথা-বার্তা না বলে কিংবা কোন দেখা - সাক্ষাৎ না করে দূরবর্তী ২জন মানুষের যোগাযোগ করার ক্ষমতা । দূরত্ব এক রুম থেকে অন্য রুমের হতে পারে,আবার একটা টেবিলের ২টা চেয়ারের মাঝখানের দূরত্ব ও হতে পারে । আবার পৃথিবীর ২ প্রান্তে ২জন, এরকম দূরত্ব ও হতে পারে । গুরুত্বপূর্ন কথা হল - কিভাবে এটা সম্ভব ??
মিলিয়ন মিলিয়ন কেইস রয়েছে মেন্টাল টেলিপ্যাথির ।
এছাড়া ও এমন অনেকেই আছেন যারা মেন্টাল টেলিপ্যাথির অস্তিত্বে বিশ্বাস করেন না কিন্তু এরকম উদাহরণ দিতে পারবেন যা মেন্টাল টেলিপ্যাথির সংগার সাথে মিলে যায় ।
মেন্টাল টেলিপ্যাথির সক্ষমতা পরীক্ষা করার সবচাইতে আদর্শ উপায় হল - কোন ১টা ছবি কিংবা ডিজাইন অন্য একজন মানুষের কাছে পাঠাতে হবে ( আশা করা যায়- সে ছবিটা পাবে ) এবং যার কাছে পাঠানো হল সে পেয়ে সেটা নোট করবে । এই পরীক্ষায় মেন্টাল টেলিপ্যাথির সব চাইতে গুরুত্ত্বপূর্ণ ব্যাপার টা ই থাকে না । আর তা হলো - ইমোশান । আমরা জানি, যেসব ক্ষেত্রে মেন্টাল টেলিপ্যাথি হয়েছে সেই সব গুলোতেই ইমোশানের একটা বড় ভূমিকা রয়েছে ।
একজন মা তার বাচ্চা ব্যথা পেলে টের পান , একজন স্ত্রী তার স্বামীর হার্ট এয়াটাক হলে টের পান , সন্তান বড় হয়ে গেলে মা-বাব মারা গেলে আগে থেকে টের পায় । এই কেইস গুলা কে কিভাবে পরীক্ষা করে ব্যাখ্যা করা সম্ভব ??
আমার মনে হয় না কোন গবেষণা করর সময় কেউ তত টা ইমোশান দিতে পারবে যত টা দিলে মেন্টাল টেলিপ্যাথির অস্তিত্ব সহজে প্রমাণ করা সম্ভব হবে । আমার মনে হয় - মেন্টাল টেলিপ্যাথি করতে হলে পেছন থেকে সেই ইমোশনাল ধাক্কা টা দিতে হবে যা দিলে কেউ খুব সহজে মন থেকে মনে তথ্য পাঠাতে পারবে । কারণ , কেউ যদি বাস্তবে কারো উপরে রাগান্বিত না থাকে তো সে কি করে কাউকে মেন্টাল ক্রোধ পাঠাবে ?? তাছাড়া, বেশির ভাগ কেইসগুলা তে দেখা গেছে - মেন্টাল টেলিপ্যাথি শুধু মাত্র ঘনিস্ঠ বন্ধু কিংবা আত্মীয়ের মধ্যে কাজ করছে ।
এজন্য ই গবেষকরা ২জন অপরিচিত মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করে যে ফলাফল পেয়েছেন তার থেকে অধিক বেশি শক্তিশালী ফলাফল ছিল আত্মীয় কিংবা রক্ত সম্পর্কীয় ২জন মানুষের মধ্যেকার টেলিপ্যাথিতে ।
দেখা যাক - কি করে মেন্টাল টেলিপ্যাথি আমরা করতে পারব ?? মেন্টাল টেলিপ্যাথি ২ রকমের হয় । একটা তে ২জন মানুষের দূরত্ব থাকে পৃথিবী ব্যাপি । কেউ কাউকে না দেখেই এবং কথা না বলেই তথ্য পাঠাবে । আরেকটাতে ২জন মানুষ ২জন কে দেখবে কিন্তু কোন কথা না বলে শুধু মাত্র যুক্তি সংগত চিন্তা করে তথ্য পাঠাবে । এভাবে যোগাযোগের যত বেশী চেষ্টা মানে প্র্যাকটিস করা হবে তত বেশি এই যোগাযোগ সোজা হয়ে যাবে ।
প্রথমেই এমন কাউকে নিতে হবে যাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করা হয় এবং যে এই ব্যাপারে আগ্রহী । দিনের একটা নির্দিষ্ট সময়ে মন খুলে অন্যজনের কাছে তথ্য পাঠানোর জন্য বসতে হবে । এভাবে চিন্ত চেতনা অনুভূতি শেয়ার করার চেষ্টা করতে হবে । একজন কে সেন্ডার হতে হবে অন্যজন কে রিসিভার হতে হবে । প্রথমে ছোট ছোট ব্যাপার শেয়ার করতে হবে - যেমন কোন নাম কিংবা রং ।
পরে যত বেশী পারফেক্ট টেলিপ্যাথার হতে থাকবে তত তথ্য গুলো ও বড় হতে থাকবে ।
সবাই চেষ্টা করুন এবং ফলাফল জানান ....
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।