আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মূর্খতা নাকি ধোঁকাবাজি?

আমি বাংলায় গান গাই

অনেক চড়াই উৎরাই পার করে অবশেষে ফখরুদ্দীন বাহিনী নির্বাচন দিতে বাধ্য হয় ২০০৮ সালে। সেই সময় নির্বাচনের আগের দিন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশ বাসীর নিকট ওয়াদা করেছিলেন যে, তার দল ক্ষমতায় গেলে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন প্রণয়ন করা হবে না। কেন জানি তখন তার কথাটি আমার বিশ্বাস হয়নি। হয়তো এটা জানার কারণে যে, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তাদের মিথ্যাচারের জন্য গত শতাব্দীর ১৯৮৬ সনে জাতীয় বেঈমান হিসেবে খ্যাতি কুড়াতে সক্ষম হয়েছিল। তাই সেদিন তার ভাষণটি আমি রেকর্ড করে রেখেছিলাম।

তিনি ভুলে গেলেও যেন একটি দলীল থেকে যায়। কিন্তু না, তিনি তার ওয়াদা ভুললেন না। তিনি এখনো দাবি করেন যে, তার সরকার কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কোন আইন প্রণয়ন করবে না। তবে জাতীয় নারী নীতিতে যে মেয়েদেরকে পিতার ত্যাজ্য সম্পত্তিতে ছেলের সমান সম্পদ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে এটি তার সরকার কোন কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী করেছেন? তার সরকারের লোকেরা যে কুরআন দেখে আইন প্রণয়ন করেছে আর আমরা বছরের পর বছর যে কুরআন পড়ে আসছি তা কি এক কুরআন নয়? তবে কি অন্যান্য ধর্মগ্রন্থের মত কুরআন রদবদল হয়ে গেছে? (নাউযুবিল্লাহ)। অথচ কুরআনের মালিক (আল্লাহ) নিজেই ঘোষণা করেছেন যে তিনি নিজেই এর রক্ষণা বেক্ষণকারী।

প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কৃষিমন্ত্রীসহ আরো কয়েকজন শীর্ষ স্থানীয় নেত্রীর হুংকার দেখে আমি অবাক হয়ে যাই। তারা প্রতিনিয়ত হুংকার ছাড়ছেন আর বলছেন- নারী নীতির কোথায় কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী কথা আছে দেখান। মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়গণের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলছি- আপনারা কি কখনো পবিত্র কুরআনের সুরা নিসা পড়েছে? এর অর্থ অনুধাবন করেছেন? যদি পড়ে অর্থ অনুধাবন করে থাকেন তাহলে তো এরূপ বাক্য বলে আপনাদের হুংকার ছাড়ার কথা নয়। যদি পড়তেন তাহলে তো জানতে পারতেন যে, এই সুরাতে আল্লাহ পাক পরিস্কার ভাষায় ঘোষণা করেছেন- পিতার পরিত্যাজ্য সম্পত্তিতে ছেলের তুলনায় মেয়ে অর্ধেক অংশ পাবে। আমার কথাটি পবিত্র কুরআনের সাথে মিলিয়ে দেখুন।

যদি কুরআনে তা না পান তবে আমাকে যে শাস্তি দেবেন আমি তাই সানন্দে বরণ করব। কুরআন খুলে দেখেছেন? এবার বলুন আপনাদের নারী নীতি কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী হয়েছে কি না? যদি কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী হয়ে থাকে তাহলে তা বাতিল করুন। যদি এমন হয় যে আপনারা কুরআন পড়তে পারেন না বা বুঝতে সক্ষম হননি তাহলে এরূপ বিবৃতি দিয়ে আপনারা মূর্খতার পরিচয় দিয়েছেন। আর যদি বলেন যে আপনারা কুরআনে এরূপ বাক্য আগেই পড়েছেন, তাহলে বলবো আপনারা মুখে মুখে কুরআন-সুন্নাহ বিরোধী আইন প্রণয়ন করবেন না বলে কার্যত তাই করে জাতিকে ধোঁকা দিয়ে যাচ্ছেন। কাদের স্বার্থে বলুন জাতির সাথে আপনাদের এই গাদ্দারী?


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.