http://www.myspace.com/423882880/music/songs/31785002
একজন ফেসবুকার হিসেবে আমার বিচিত্র,অদ্ভুত ও নোংরা অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার ধারণা, এরকম অভিজ্ঞতা কমবেশি সবারই হয়েছে। যেমন :
১/ ফেইক একাউন্ট
২/ পুরুষবেশী নারী ও নারীবেশী পুরুষবন্ধু
৩/ অশালীন গ্রুপপেইজ
৪/ গলাকাটা উত্তেজক ছবির এ্যালবাম।
৫/ সেলিব্রেটিদের ফেইক এ্যাকাউন্ট
৬/ বাজে ছবি ট্যাগকরা
৭/ নোংরা প্রোফাইল পিক দেয়াসহ ইত্যাদি
এগুলো মানে এই অভিজ্ঞতাগুলো একদিনে হয়নি, আস্তে আস্তে হয়েছে। মানে, ফেইসবুকে বিকৃতমানসিকতার কিছু মানুষ সম্পর্কে আমার ধারনা হয়েছে।
এবং এগুলোকে ব্যক্তিগতভাবে রোধ করতে আমি ফেইসবুকের প্রাইভেসি পলেসি, সেটিং, বন্ধু এ্যাড করার ক্ষেত্রে ইনফো যাচাই করে নিয়েছি। এছাড়া, ফেইক এ্যাকাউন্ট বোঝার পর সেগুলোকে লিস্ট থেকে রিমুভ করেছি। ব্যক্তিগত সেন্সর আরোপের যতোটুকু ক্ষমতা ছিলো সেগুলোই ব্যবহার করেছি।
ফেইসবুকে আরো একটি অপশন আছে রিপোর্ট করার। আমি এখন পর্যন্ত কাউকে রিপোর্ট করিনি।
তবে শুনেছি কারো বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে ব্যবহারকারী তার বিরুদ্ধে রিপোর্ট করতে পারে। রিপোর্টের সুত্র ধরে ফেইসবুক কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করে। কিন্তু আমি এখনো জানিনা এরকম কোনো ব্যবস্থা শেষ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে কিনা!
ফেইসবুক বাংলাদেশে সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়েছে। শোনো গেছে দুইজন সাইবার ক্রিমিনালের কারণে এ উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এছাড়া ইসলামী সংগঠনগুলো নবী হযরত মুহাম্মদ(সা) কে নিয়ে ড্রইং আঁকা প্রতিযোগীতার আয়োজনের প্রতিবাদ সরূপ ফেইসবুক বন্ধের দাবী জানিয়েছে।
অবশ্য একই কারণে পাকিস্তানে ফেইসবুক বন্ধ রয়েছে। শোনা গেছে সরকারের একটি মহল এই ব্যাপারটিতেও উদ্বিগ্ন।
কিন্তু এই জনপ্রিয় স্যোশাল ওয়েবসাইটটির বেশির ভাগ ব্যবহারকারী সরকারের এই সিদ্ধান্ত মানতে পারেনি। কারণ, অনেকের কাছে এই ওয়েবসাইটটি জীবনধারার একটি অংশ হয়ে গেছে। মানে, ফেইসবুক ছাড়া অনেকে একেবারে বিছিন্ন।
যেকারণে, বর্তমানে মোবাইলে, অল্টারনেট ওয়েবসাইট-এ, নানান সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে ফেইসবুকিং চালিয়ে যাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে, বিশেষ করে অল্টারনেট ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ফেইসবুকে লগিং করলে ব্যবহারকারীর প্রাইভেসি নষ্ট হতে পারে। কিন্তু তাই বলে, ফেইসবুকের ব্যবহার থেমে নেই।
সরকার যে দুজন বিকৃত সাইবার ক্রিমিনালকে গ্রেফতার করেছে, তাদের শাস্তি দিক। একটা কঠিন সাইবার আইন তৈরি করুক।
এবং এগুলো করুক সাইবার এক্সপার্ট বা আইটি এক্সপার্টদের মাধ্যমে। যাদের এ সমন্ধে কোনো জ্ঞান নাই তারা এ ব্যাপারে কিছু করতেও পারবেনা। আপত্তিকর কিছু থাকলে পুরো ওয়েবসাইট বন্ধ করে দিতে হবে এমনটি যেন সরকার না করে।
বিকৃতরুচির সংস্কৃতি শুধু সাইবার ওয়ার্ল্ডে নয়, দেশের বিভিন্ন স্তরেই চর্চা হচ্ছে। এর জন্য সামাজিক সচেতনামূলক কিছু উদ্যোগ সরকার নিতে পারে।
বাংলাদেশে শুধু ওয়েবসাইট বন্ধ করে বিকৃত সংস্কৃতির প্রসার বন্ধ করা যাবেনা। রাস্তায় জনসম্মুখে পর্ণ সিডি বিক্রি বন্ধ
করা যাচ্ছেনা, কারণ পুলিশ সেখান থেকে টাকা পায়। মোবাইলে উত্ত্যক্ত করা বন্ধ করা যাচ্ছে না, কারণ নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। মেয়েদের উত্যক্ত করা বন্ধ হচ্ছেনা, কারণ থানায় গিয়ে মামলার অাদ্যপান্ত মেয়ে বা তার পরিবার জানেনা, জানলেও ঝামেলা মনে মরে। মূল কথা থানাকে তারা নিরাপদ মনে করে না।
বাংলা সিনেমার কথা আর না বললাম।
আমি ব্যক্তিগত সেন্সরশিপে বিশ্বাসী। কারো ওপর কিছু চাপিয়ে দেয়ার সংস্কৃতিতে আমি বিশ্বাসী নই। এই পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে কিছুই ঠেকিয়ে রাখা যায়না। সরকারের সাইবার শাসন বা শোষন এক ধরনের মূর্খতা বা পশ্চাৎপদতা।
কোনো জাতির অজ্ঞানতার, মূর্খতার জন্য সৃষ্টি থেমে থাকেনা, প্রগতি চলে আপন গতিতে, আপন মনে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।