আমাদের দেশে একদল বুদ্ধিজীবী আছে, যারা এদেশের হিন্দুদের দেশান্তর, অর্থপাচারসহ সমস্ত দেশপ্রেমবর্জিত কর্মকা-কে কথিত হিন্দুনির্যাতনের ধুয়া তুলে নৈতিকতার লেবাস পরাতে তৎপর। সর্বক্ষেত্রেই তারা উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানোর মতো মুসলিমদের দায়ী করতে চায়। বাংলাদেশ এবং বাঙালি মুসলিম সম্প্রদায়কে অপমান করাটাই যেন তাদের ব্রত। কিন্তু তারা ভুলে যায় যে ব্রিটিশ আমলে যখন হিন্দুরা ইংরেজদের লেজুড়বৃত্তি করে পূর্ববঙ্গ তথা এদেশের জমিদারীগুলো বাগিয়ে মুসলিম নির্যাতনের ভয়াবহ নজির স্থাপন করেছিল, তখনো কিন্তু তারা অবলীলায় এদেশের অর্থ কলকাতায় পাচার করেছে। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনীতে রয়েছে যে, কলকাতা শহরটি হিন্দু জমিদারগোষ্ঠী কর্তৃক এদেশের মুসলিমদের শোষণকৃত অর্থে গড়া।
হিন্দুদের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানী নেতাদের গোপন আঁতাতের কারণেই সাতচল্লিশে কলকাতা মুসলিমদের হয়নি। কারণ প্রথম থেকেই পাকিস্তানীদের উদ্দেশ্য ছিল পাকিস্তানের পূর্ব অংশকে দুর্বল করে ফায়দা হাছিল করা। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়।
ব্রিটিশ আমলে ইংরেজদের সহযোগিতায় পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি গ্রামাঞ্চলকে একত্রিত করে গড়ে উঠে কলকাতা। এদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা তখন থেকেই কলকাতাকেন্দ্রিক উন্নয়ন কার্যক্রমে মনোনিবেশ করে।
পূর্ববঙ্গের ঢাকা চট্টগ্রাম বহু পুরাতন ঐতিহ্যবাহী শহর হওয়ার পরও তাদেরকে অবহেলায় রাখা হয়। তাদের শকুনি দৃষ্টি সর্বদা পর্যবেক্ষণে রত থাকে, যেন পূর্ববঙ্গের কোনো উন্নয়নই না হয়। তাদের কারণেই পূর্ববঙ্গে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়, এমনকি ছাপাখানাও প্রতিষ্ঠিত হয়নি। বঙ্গভঙ্গের আগে এদেশের সিলেট তথা একদম পূর্বের জনসাধারণকেও সামান্য কার্ড ছাপাতে হলে পশ্চিমবঙ্গে যেতে হতো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠালগ্নে তাদের বিরোধিতার ইতিহাসতো মশহুর।
বাংলাদেশ পাটচাষে অগ্রগামী হলেও তখন এদেশে কোনো পাটকল প্রতিষ্ঠিত হয়নি; যা হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গের হুগলী নদীর আশেপাশে। হিন্দুরা এদেশে জন্ম গ্রহণ করেও মাতৃঘাতী পিশাচের ন্যায় এদেশের অর্থ, রক্ত চুষে কলকাতার পেট ভরিয়েছে। এদেশকে বঞ্চিত করেছে ব্রিটিশ আমলের দুশো বছর ধরে। কারণ হিন্দুরা হলো ব্রিটিশদের পদলেহী।
সুতরাং হিন্দুদের অর্থপাচারের পেছনে কথিত নির্যাতনের দায় খোঁজাটা নিরেট মূর্খতা।
কারণ ব্রিটিশ আমলে তারা যখন মুসলিমদের ঘাড়ের উপর সিন্দাবাদের ভূতের মতো চেপে বসেছিল, তখন কি তারা নির্যাতিত ছিল? ছিল না এবং এখনো নেই। বরং বাস্তবতা হলো, এদেশের কোনো হিন্দু সামান্য কয়েকটা টাকা কামাতে পারলেই কিংবা সমাজে প্রতিষ্ঠা পেলেই তার সমুদয় অর্থ কলকাতায় পাঠানোর জন্য পাগল হয়ে উঠে। আর যারা গরিব, তারা অর্থ কামিয়ে সে পর্যায়ে যেতে তৎপর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তারা যতই মেকি দেশপ্রেম দেখাক না কেন, তাদের গায়ে এখনো ব্রিটিশ আমলের রক্তচোষা হিন্দু জমিদারদের রক্তই কিন্তু প্রবাহমান। ব্রিটিশ আমলে হিন্দুদের যে দুশো বছরের আচরণগত ব্যাধি, তা চল্লিশবছর বয়সী স্বাধীনতার প্রভাবে দূর হবার নয়।
তা একটি শিশুও বুঝতে পারবে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।