I deem them mad because they think my days have a price...
প্রথমেই একটু করে বলতে চাই হরাস কে ছিল? অর্ধেক মানুষ আর অর্ধেক ফেল্কন পাখির দেহ নিয়ে হরাস ছিল মিশরীয় দেবতা। আনুমানিক ৩০০০ বিসি এর সময়ের হরাসকে মিশরীয়রা সান অব গড(সূর্য দেবতা) হিসেবে জানত। আমদের আধুনিক সময় গণনার সূর্যভিত্তিক যে সিস্টেম তা কিন্তু এসেছে এই হরাস থেকেই। আরও সহজভাবে বললে horus শব্দ টিকে একটু উল্টিয়ে পালটিয়ে লিখলেই কিন্তু hours শব্দ টি চলে আসে যাকে আমরা এখন দিনের ২৪ ভাগের এক ভাগ বলি। তা ছাড়া সূর্যোদয়ের(হরাসের উদয়) যেদৃশ্য যদি আমরা দেখি তা কিন্তু আমরা দিগন্ত কে হরাইজনটালি রেখে।
এই horizon শব্দটা এসেছে horus has risen থেকে। হরাস
এবার আসি যীশুর কথায়। খ্রিষ্টান ধর্মের প্রচারক যীশু ছিলেন savior of humanity.মরার আগ পর্যন্ত যীশু এক ঈশ্বর এর বানী প্রচার করে গেছেন। কিন্তু তার আমাদের সামনে তার যে জীবনী আছে তা যদি আমরা ভালভাবে দেখি তাহলে আমরা তাকে বলতে পারি replica of horus। কেন এটা বলছি তা আমি নিচে ব্যখা করছি।
তার আগে আমি একটু বলতে চাই পুরো বেপারটা কীভাবে শুরু হল। এই জেসাস হরাস মিলের ব্যাপারটা সবার আগে খেয়াল করেন MASSEY (1828-1927)নামের একজন ইংরেজ কবি, মিশরীয় সভ্যতা নিয়ে যার ছিল প্রবল আগ্রহ। মিশরীয় সভ্যতা নিয়ে যখন তিনি গবেষণা শুরু করলেন তখনি একদিন জেসাস হরাসের মিলের ব্যাপারটি তিনি খেয়াল করেন।
এবার আসি মূল কথায়। কী মিল আমরা খুঁজে পাই হোরাস এবং জেসাস এর মধ্যে?পুরো ব্যাপারটা আমি SEQUENTIALLY শুরু করছি।
১। যতটুকও জানা যায় যীশু জন্মের প্রায় ৩০০০ বছর পূর্বে হোরাসের পৃথিবীতে আগমন। কিন্তু অদ্ভুত ভাবে তারা দু জনই জন্ম গ্রহণ করেন ২৫ ই ডিসেম্বর।
২। তাদের দু জনের জন্মই কুমারী মাতার গর্ভে।
জেসাস এর মা ছিলেন মেরী অন্যদিকে হোরাসের মা ছিলেন আঈশীশ যিনি আঈশীশ মেরি নামেও পরিচিত ছিলেন।
৩। খৃষ্টান ধর্মের ইতিহাস থেকে আমরা জানি যে যীশুর জন্মের সময় স্টার সিরিয়াস এবং থ্রি কিংস নামে তিনটি তারা একই লাইন বরাবর ছিল। আশ্চর্যের ব্যাপার হল হোরআসের কাহিনীতেও আমরা এই চারটা তারা একইভাবে ছিল। তাছাড়া দুজনের জন্মই গুহার মধ্যে।
ছবিতে সিরিয়াস এবং থ্রী কিংস তিনটি তারাকে যীশুর জন্মের সময় একই রেখাই দেখা যাচ্ছে
৪। দু জনেরই ১২ জন করে শিষ্য ছিল।
এটি ভিঞ্চির আকা বিখ্যাত লাস্ট সাপার যেখানে যীশু ও তার ১২ জন শীষ্য রয়েছে। মজার ব্যাপার হল এই ছবিটাতে ভিঞ্চি হাজারো প্রতীক লুকিয়ে রেখেছেন। যা যীশুর সম্পর্কে প্রচলিত ধারনাকে ভুল প্রমান করে।
ভাল কথা এখানে মারি মাগদালিন ও আছেন।
৫। যীশুর সিম্বল ছিল fish,beetle,the vine &shepard’s cross.আমি খুব অবাক হয়েছিলাম যখন প্রথম আমি জানতে পেরেছিলাম যে এই চারটি সিম্বলের প্রত্যেকটিই হরাসের সিম্বল হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
৬। তারা দুজনেই একই রকম মিরাকল বা অলৌকিক ঘটনা দেখাতে পারতেন।
যেমন দুজনেই পানির উপরে হাঁটতে পারতেন।
৭। তারা জনেই ক্রুচিফাইড হন।
৮। তারা দুজনেই নিজ নিজ অনুসারিদের নিকট king of kings,son of god,light of the world,savior of humanity ইত্তাদি নামে পরিচিত।
আরও অনেক মিল আছে তাদের মধ্যে। যে ব্যাপারটাতে এসে এখানে ধাঁধাঁ লাগে তা হল এসব মিলই কি শুধুমাত্র co incidence.নাকি আমরা যা জানি তা ভুল ইতিহাস। ইচ্ছে করেই কি ইতিহাস পরিবর্তন করা হয়েছে কোন নির্দিষ্ট গোস্টীর স্বার্থে?
আসলেই তাই। খুব সুকৌশলে জেসাসের ইতিহাস গুলিয়ে ফেলা হয়েছে হোরআসের সাথে। পৃথিবীর মানুষজনকে সত্য ইতিহাস থেকে দূরে রাখা হয়েছে।
এমনকি জেসাস আমাদেরকে যে শিক্ষা দিয়ে গিয়েছেন তাও আমাদের কাছে এসেছে অনেকটাই পরিবর্তিত বিকৃত আকারে। আসলে হরাস একটা মিথ, তার সম্পর্কে যা কিছু জানা যায় তার বাস্তবিক খুব জোরালো কোন ভিত্তি নেই,কাল্ক্রমে খুব ধীরে ধীরে তার ইথিহাস পরিবর্তন করা হয়েছে,সাথে সাথে বদলে দেওয়া হয়েছে জেসাসেরও অনেক ইতিহাস,এভাবেই দুজনকে একবিন্দুতে নিয়ে আসা হয়েছে,বানান হয়েছে একই রকম সত্ত্বা। আসলে এটা হাজার বছর ধরে চলা একটি পুরনো ষড়যন্ত্র। এটা ধর্মের সাথে ধর্মের সংঘাত, সত্যর সাথে মিথ্যার,আলোর সাথে আঁধারের সংঘাত। যারা এই কাজটি করছে তারা সবসময় চেয়েছে একেশ্বরবাদী ধর্মগুলো এবং এগুলর প্রচারকদের প্রকৃত ইতিহাস কখনই মানুষ না জানুক।
তাদের ষড়যন্ত্র এর শিকার মুসা,ইসা,মুহাম্মদ সহ অনেকই। তবে যীশুর ক্ষেত্রে তারা অনেক বেশি সফল। কেন বলছি?কারন তারা মারি মাগদালিন কে যীশুর অনুসারীদের কাছে বেশ্যা হিসেবে উপস্থাপন করেছে এবং সবাইকে এই পুরো ব্যাপারটি বিশ্বাস করাতে পেরেছে। মারি মাগদালিন এর সঙ্গে যাদের পরিচয় নেই তাদের জন্য বলছি মারি মাগদালিন ছিলেন যীশুর স্ত্রী। অথচ ইতিহাস তাকে সে মর্যাদা কখনই দেয়নি।
আমরা পৃথিবীর মানুষরা তার সম্পর্কে অন্ধকারেই থেকে গেলাম। আমাদের জানানো হল যীশু বিয়ে করেনি এবং তার কোন বংশধর নেই। যীশু মারা যাওয়ার কিছু কাল পর থেকে বর্তমান আমাদের জেনারেশন পর্যন্ত সবাই এই জিনিসটি বিশ্বাস করল যে মারি মাগদালিন বেশ্যা ছিলেন এবং যীশুর কোন বংশধর নেই। কি নিখুঁত ষড়যন্ত্র। আপনারা যারা ড্যান ব্রাওনের লস্ট সিম্বল এবং ভিঞ্চি কোডে হলি গ্রেইলের ব্যাপারটা পরেছেন,তারা এই পুরো জিনিসটার সাথে হয়তো পরিছিত।
এই ব্যাপারে আরেকটা বই খুব ইনফরমেটিভ –the conspirecy theory. লেখকের নাম এই মুহূর্তে মনে পরছেনা। যাই হোক,কারা এই ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত, কেনই বা তারা এটা করছে তা নিয়ে অন্য একদিন লিখব।
তবে পৃথিবীর কিছু মানুষ ছিল যারা বরাবরই এ পুরো ব্যাপারটা সম্পর্কে জানত। সে রকম মানুষদের ই একটি সোসাইটি হল প্রিওরিই অব সাইওন। এটা একটি সিক্রেট সোসাইটি।
শুনলে অবাক লাগে ভিঞ্চি, ভিক্টর হুগো,বত্তিছেল্লি, নিওটন সহ আরও এমন অনেক ই এই সিক্রেট সোসাইটির সদস্য ছিলেন। সোসাইটির কাজ হল যীশুর সত্য তথ্য গুলো রক্ষা করা এবং যীশু আর মারি মাগদালিনের বংশধরকে রক্ষা করা। কে জানে হয়তো এদের জন্যই এখনো যীশুর বংশধর গোপনে এবং অক্ষত আছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।