আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজকুমারের কবিতা

আমরা ফাঁকা গুরু / জড় কুশীলব/ সযত্নে কোকিলের বাচ্চা ফোটাই/আমরা গো গর্দভ কাক........................

শহর শহর জুড়ে অজস্র তলপেটওয়ালা গাড়ি "তারা নিয়মিত পিল খায় " সাইনবোর্ড ঝোলাতে ঝোলাতে কন্ডাক্টর যাত্রী তোলে............. ভাড়াটিয়া মোটাতাজাকরন হচ্ছে পশু, পাখি, ফল ও ফুল এবং আমাদের চিকন আয়ু; রপ্তানিকরন চলছে হাসের ডিমের মতন চকচকে স্বপ্নগুলো পদ্মার ইলিশ সাজিয়ে ভিনদেশী শহরে শহরে। ঈশ্বর মহান; তার ফরমালিন আয়ু পাখির পালকে গড়া ভাড়াটিয়া জীবন দিলেন, এক বাসা ছেড়ে এসেছি আরেক বাসায় আরেক বাসা ছেড়ে যাব কী? গভীর দহনে। হাতের তালু জুড়ে রূপালী পুটি মাছের ঝাক ক্রমশ পথ হরাচ্ছে ফিটফাট কালো জালের কোটরে হৃদয়ের পুকুর জলে বড়শি গেলা মাছের যন্ত্রণা এ বাসা ছাড়বনা, এ বাসা ছাড়বনা............... সিগারেট প্রায়শ নিজেকে একটা জ্বলন্ত সিগারেট মনে হয় অন্য কারো ঠোটে সেটে আছি। অন্য কেউ পরো দম নিয়ে আমাকে টানছে কোষের গভীরে নীরব জলোচ্ছ্বাস উঠছে স্লেট রঙ ছদ্মবেশীর মত মেঘ প্রেমিকার চোখের মতন চাঁদ তরাদের সাপলুডু, কঠিন ঠোকাঠুকি। প্রায়শ নিজেকে একটা জ্বলন্ত সিগারেট মনে হয় পুরো দম নিয়ে আমাকে টানছে অন্য কেউ খুউব আরাম করে.............. আমি ক্রমশ পুড়ে ছাই হচ্ছি কেন? এক পলকের খসড়া কীর্তনের দল আমার ত্বক, চক্ষু, অস্থি, মাংস,লালসা ভর্তি লালা এ পাঁচ বাদক আমার; আমি তাদের সকলের ঠোটে ঠোকর মেরে সুর তুলি.................... বউছি খেলার ঝোঁকে প্রায়শ ডুবসাঁতার কাটি যখন যেখানে খুশি সুযোগ পেলেই ছি ডেকে- দেই ভোঁ দৌড়................ প্রতিদিন বানের জলে ভেসে যায় গ্রাম আমরা সঙ্গী সাথী শখ করে স্নান সারতে গিয়ে জলের আর শিতে একে অপরের মুখ দেখি- কী টলমল রূপ! আহা! কী টলমল রূপ!! অথচ পলকেই ঢেউ এসে মুখগুলো মুছে ফেলতে চায়!! ডাকনাম ডাকনাম ভুলিয়ে দাও ঈশ্বর ।

শুকিয়ে ওঠা ক্ষতের মতো ফড়িঙের ছেড়া পা খসে পড়া টিকটিকির লেজ চিনি লোভী পিপড়ের দৌড় প্রতিযোগিতা গাছের ডালে আটকে থাকা নিঃসঙ্গ ঝিঝির খোলস নদীর তীর জুড়ে আঁকা বাঁকা ঋতুমতী অজগরের মতো ঢেউ। আর একটা লাল টিপ ঠিক নির্ঘুম লাল চোখের মতন উঠোনে শুকোতে দেওয়া বউদির শাড়ির শরীরী গন্ধ চোখের ভেতর নূতন মেঘের উসখুস উত্তেজনা জোস্ন্যায় ঘুমিয়ে থাকা উজ্জ্বল অন্ধকারের মতন আমার ডাকনাম; আমার ডাকনাম, শুকিয়ে যাওয়া ক্ষত চিন্হের মতন বিভৎস স্থির কেন? আহা! সুতানাগ!! ঝর্ণা কি জানে? পাহাড়ের প্রেমে পড়তে নেই ষোল আনা শরীর জুড়ে দামী চা পাতার গন্ধ আর খুউব সকাল থেকেই ঋতুমতী গৃহিণীদের লোভনীয় উঁকিঝুকি সুডৌল রান্না চিকিৎসা। দমকা হাওয়ার মতন নদী পথেও প্রচন্ড গুজব আনকা চাঁদের গায়েও পড়শীর গন্ধ কার? থুতনিতে লেগে থাকে হাউজে কাওসারের ঘ্রাণ ফাইভস্টার হোটেলের জলরঙ শাওর যেখানে সম্প্রতি সুতানাগ প্রজনন প্রকল্প উদ্বোধন করেছেন মা মনসা। আমার নয় দরোজায় খলবল করে চাঁদ সওদাগর তবে কি? লোহার বাসরে বরবেশী আমি এক লখিন্দর অনন্ত পাথরের পা ধুয়ে দেওয়াই যার দৈনিক আয়ুবিধি। মনেপড়ে আহা সুতানাগ! কীসুন্দর ছোবল তোমার।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।