আমরা ফাঁকা গুরু / জড় কুশীলব/ সযত্নে কোকিলের বাচ্চা ফোটাই/আমরা গো গর্দভ কাক........................ আনকোরা গাঙের কবিতা
একটা ডাইনোসরের মতো সক্ষম রাত্রি পেলে
অনেকেই সাঁতার শেখে
কেউ কেউ ডুবসাঁতারও
লাল ঘুড়ি হওয়ার স্বপ্নে দু-একজন গোত্তা খায়
কিশোরীর নরম স্তনের মত ঘাস, ঘেমে ওঠা জোনাকির সংসারে।
নদীমনা পাখিদের ডানায় অবিশ্বাস নামক পালকটি থাকেনা
শুধু চোখের খাড়িতে রঙ বদলায়
শিকার-
শিকারী খেলা
শিরার ভেতর ডুব দিয়ে দেখি
ধূলো, বেজাত ধূলোর বিশ্রী শুয়ে থাকা।
আমি কেমন করে তোমায় সিজদা দিব গো?
ও গাঙের দেবতা খাজা খোয়াজ খিজির
ও খাজা খোয়াজ খিজিরের আনকোরা গাঙ।
তোমার তীরে তীরে কেন এত ফাদগ্রস্থ বগাদের মরা হাড়গোড়?
আর তাদের আনকা হৃৎপিন্ড কেন? এই আমার বুকে
আমি যার তোলপাড় বাজনা শুনি শুধু
একটা পোকায় ধরা কুমড়ো ফুলের মত
লাবণ্য ভুলতে ভুলতে...............
শৈশব স্মৃতি
পোয়াতী মেঘের দিন
ইলশেগুড়ি বৃষ্টি
সোনাব্যাঙদের সারবেধে স্কুলে যাওয়া
আর ইচ্ছে করে আছাড় খাওয়া
সাদা মেঘদের চোখ ফেরাতে।
যুবতী দুপুর
পাড়া জোড়া বাদরের বাদরামী
বাতাসে বকুল ফুলের গন্ধ
মুখে বাসুদির লিচু বাগানের জ্বলন্ত অমৃত,
অনেক উসখুশ হাওয়া
অনেক অনেক খুচরো স্পর্শ।
শুধু একটা সুতোকাটা ঘুড়ি
সবকিছু ভুলে
উড়ে যাচ্ছে
দূরে.....................
ছায়াবৃত্তান্ত
একটা হাইব্রিড ভোর পাঠিয়ে দিয়েছেন বৈজ্ঞানিক পরমেশ্বর
এখন ইচ্ছেমত দরজার ওপাশ থেকে নামাতে পারি
সকাল, দুপুর, বিকাল এমনকি লাল টুকটুকে সন্ধ্যাও
সূর্যকে আর দেবতা বলে প্রণাম করতে হয় না।
একটা হাইব্রিড কাগুজে প্লেন উড়িয়ে দিয়েছেন প্রযুক্তিবিদ ঈশ্বর
এখন অনায়াসে পানির উপর কতৃত্ব ফলাতে পারি কুমিরের মত
আকাশে খরগোশ জীবন থ্যাবরানো চ্যাবরানো লৌহ ঈগল
এমনকি ডাঙায় অগ্নি গোলক ওগরাতে ওগরাতে পায়চারি রত মস্ত ডাইনোসরও।
কিছু হাইব্রিড তুলি পাঠিয়ে দিয়েছেন শৈল্পিক পরমেশ্বর
এখন ইচ্ছেমত আকতে পারি বন্ধুর বয়সী মেঘ,
বান্ধবীর বয়সী লজ্জায় লাল হওয়া সাবালিকা রোদ
এমনকি দাদীর বয়সী বুড়ো শ্যাওড়া গাছের ঘুটঘুটে ছায়াও।
শুধু আঁকতে পারিনি আজও নিজের ছায়া
ছায়ার কি নিজস্ব কোন ছায়া থাকে?
রূপকথা
জয়োল্লাস পান করে রোজ
ঘুমিয়ে পড়ে কাক আর টিয়ে পাখিরা।
অথচ আরশ থেকে নেমে আসা কামিনীগন্ধা অন্ধকার
ছটফট করে
আনকা বীর্যের মতন
কার ছৌ মেলা উঠোনে উঠোনে-নখের ডগায়।
ঘুঘু একটা ছোট্ট পাখি
সম্প্রতি তার বুকের পুকুরে ডুবুরিরা খুজে পেয়েছে
একটা মাছরাঙা
তিনটা খলসে মাছ
আর এক ঝাক বিরলপ্রজ পুটি।
রৌদ্রের চুমুর মিছিলে
তাই তারা অনগ্রসর ছেলে,
যাদের হাতের তালুতে বসে ঘুমঘুম চোখে
আজো রাজকন্যা করে চলে এক লক্ষীমন্ত রাজপুত্রের সংসার।
তবে কি? ঘুমের দোলায় চড়ে
আজও সে স্বপ্নে প্রত্যাশা করে এক রাক্ষস পুত্রের দস্যুতা.............
প্রেমিকাকে
নৌকোডুবরি শতভাগ সম্ভাবনা সত্ত্বেও
আশৈশব আমি নৌকো চড়তে ভালোবাসতাম
এবং নৌকো আমায় ডুবোয়নি কখনও ।
আমি একটা ঘাসফুলকেও ভালোবাসতাম খুব
বিশ্বাসী ছিলাম এই আপেক্ষিক মহাবিশ্বে
শেষপযর্ন্ত ঘাসের যৌবনই একমাত্র অবানিজ্যিক
অথচ ঘাসফুল আজ সওদাগরের ছোট বৌ।
এখন, আমি রাত জেগে জেগে তারাদের কম্পন শুকি
জোনাকির আসর ছাড়া আর কোথায় ঠাই আছে বল
আমিতো সেই কবেই নিশাচর হয়ে গেছি
সূর্যদের গন্ধ মুছতে মুছতে……………
সাপখেলা
সাপখেলা খেলতে খেলতে ক্লান্ত
আমি এক নির্বিষ সাপ।
ক্রমাগত নিজেকে লুকোতে চাই ছায়াদের আবডালে
অথচ ছায়ারাই আমাকে হাঁটে তোলে ঘটা করে
লম্বাশ্বাস নিয়ে ধারালো বীণ বাজায়;
আমি বিষন্ন ফণা তুলে নাচি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।