আমরা ফাঁকা গুরু / জড় কুশীলব/ সযত্নে কোকিলের বাচ্চা ফোটাই/আমরা গো গর্দভ কাক........................
ভাঙা বিস্কুট
উৎসর্গঃহুমায়রা আক্তার পুনমকে
স্বাপ্নিক ফ্লাইওভার থেকে যে গাড়িটি রোজ আকাশে উঠত
গাড়ি নয় এক কৌটো ফুলের শরীর
যার দুটো মার্বেল চোখে ঠাসাঠাসা স্বপ্ন ছিল;
যা কখনো ঝরে পড়ত চকমকে রুপার ফুলের মত
হয়ত সকালের সূর্য হয়ে আলো্ও দিত বেশ।
সেই ছোট্ট ফুলটি এখন এক সুটকেস আতঙ্কের স্তুপ
লাল ঠোট লেপ্টে গেছে সওদাগরি পোকার কামড়ে
ফুলটি আজ বড়ই নিষ্প্রভ অনেকটা ভাঙা বিস্কুটের মত;
হতোদ্যম সেলস বালিকাও পাথর চিন্তিত
ভাঙা বিস্কুট কি বাজারে চলে?
ডাকনাম
ডাকনাম ভুলিয়ে দাও ঈশ্বর ।
শুকিয়ে ওঠা ক্ষতের মতো ফড়িঙের ছেড়া পা
খসে পড়া টিকটিকির লেজ
চিনি লোভী পিপড়ের দৌড় প্রতিযোগিতা
গাছের ডালে আটকে থাকা নিঃসঙ্গ ঝিঝির খোলস
নদীর তীর জুড়ে আঁকা বাঁকা ঋতুমতী অজগরের মতো ঢেউ।
আর একটা লাল টিপ ঠিক নির্ঘুম লাল চোখের মতন
উঠোনে শুকোতে দেওয়া বউদির শাড়ির শরীরী গন্ধ
চোখের ভেতর নূতন মেঘের উসখুস উত্তেজনা
জোস্ন্যায় ঘুমিয়ে থাকা উজ্জ্বল অন্ধকারের মতন
আমার ডাকনাম;
আমার ডাকনাম, শুকিয়ে যাওয়া ক্ষত চিন্হের মতন
বিভৎস স্থির
কেন?
পৃথিবী
ক্রমশ মিষ্টি হয়ে উঠছে কফিন!
বাজারজাত করন চলছে ধুমধাম অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া
শিশির পতনের সুর
ব্যাঙের প্রেম আরাধনা
এমনকি সাদা ভাতের মতন সুশ্রী, সিমসাম সেই মেয়েটি
যার দুটো চোখ আজ সিঁদুরে মেঘের মত লাল।
গোলাপী হয়ে উঠছে পৃথিবী
প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে লাজুক লাজুক আমাদের প্রথম চুমুও
খোকার খিলখিল হাসি
ছোট বাবুর ট্যা ট্যা কান্না
কিংবা কিশোরী মেঘ যে আজও উড়তে শিখেনি
তার বাম স্তনের দু আঙুল নিচে অবিরত ঢিব ঢিব...
তাড়া খাওয়া হরিণের ক্ষুর।
গ্রুপস্টাডি
অন্ধ ছিলাম আমরা
প্রথমে বর্ণ পরিচয়
অতঃপর শব্দ পরিচয়
অমনি অসতর্ক শব্দ গুলো উড়তে লাগল সাদা-কালো মেঘদের ছুয়ে ছুয়ে
সিমফুল ঠোট গুজে নেমে এল নতুন বউয়ের মত রোদ।
আমরা গন্ধ শিখলাম
নিকষ কালো রাত্রির টাটকা গন্ধ
মিটিমিটি জ্বলা জোনাকি পোকার গন্ধ
জোৎস্ন্যা রঙে খসে পড়া বাঁকা চাঁদের শরীরী গন্ধ
এমনকি উদাসীন, চিৎ হয়ে শুয়ে থাকা ছাইরঙা নদীটির গন্ধ ।
আমরা গন্ধ শিখলাম
ঘোর হয়ে ওঠা ঘামে ভেজা খোলা গরলের গন্ধ।
আমরা পাপী হলাম
অবিরাম বিষের পুকুরে ডুবে যেতে যেতে..................
আমরা শিখলাম, পৃথিবীর শিরায় শিরায় কত বিচ্চ্ছিরি ধূলো।
বৈকালিক এস্রাজের সুর
ফুরায় নিরর্থক গল্পদের আয়ু
মৈথুন প্রিয় সময় পথ হাঁটে চোখের নৈরাশ্যে
স্বপ্নের শরীর জুড়ে মুঠো মুঠো শূন্যতার ধূলো
প্রেমিক বিকেলগুলো ক্রমশ রক্তাক্ত আজ সন্দেহের কাঁচে ।
আলগা হয়ে এলে বৈকালিক এস্রাজের সুর
স্মৃতির সেতারে কাঁদে টুং টাং বাউল কষ্ট,
পাতাদের রক্তে রাঙা শ্রীময়ীর দাঁতের চুমুক
চৌকস রাত্রি জমায় রোমশ পেরেকের আঙুলে।
তবু আজও মগজের মৃত ক্যানভাসে
যখন নিশীথ সুরায় জাগে সমুদ্র মৈথুনের ঘ্রাণ
মনের কাঁচের ঘর প্রেমসিক্ত অ্যাকুরিয়াম হয়ে ওড়ে।
কী এক সার্কাস!
কী এক সার্কাস!
লিখি প্রেম, ঠোট থেকে খসে নগ্ন বিষফল উত্তাপ
পিছল দেহ ছুয়ে পৃথুলা প্রিয়তীর সবুজ নিঃশ্বাস
ঘুমের সুতো খসে অধোমুখ, মাংসল লকলকে চাকু
রাতের বরণকুলো উষ্ঞ পালক গোজে অন্ধ আয়নার ভেতর।
নিরীহ রোদ্দুরে হাঁটে ফিকে রং পাতাদের সবুজ বিকেল
পাতার সবুজ রক্ত চাটতে চাটতে মানুষ হাঁটে নামি
মানুষ শান্তির ফেরীওলা! শান্তি ফেরী করে
হাতের তালুতে ছেলে ভুলানো লাটিম কোমল রোদ্দুর ছিড়ে খায়।
যে এক পাখির ঝাক মৃত্যুকে আরোগ্যের অ্যাম্বুলেন্স ভাবে
কেউ কেউ তারাও নিয়ত বেরোয় রীতিরুদ্ধ গন্ধমের ঘ্রাণে
কী এক আজব সার্কাস!
রাতের নিবিড় ভূগোল কয়লা হতে হতেও চকমকে চাকু গিলে খায়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।