হাতছানি দেয় দূরে কেউ আমারে
মা -র স্থান উপরে হলেও বাবার স্থান কম না!
আজকাল আমরা বাবা ও শ্বশুরের মাঝে কমপেয়ার করি। হো আমার বাবা আমাকে কি দিয়েছে, শুধু বড় করেছে, আর গালিগালাজ ছাড়া আর কিছুই করেনি। অথচ শ্বশুর আমাকে একটা বিয়েতে হোন্ডা দিয়েছে। এছাড়া আসবাবপত্র সহ ঘরের সবকিছু কিনে দিয়েছে!
অথচ তারা ভূলে গেছে, তাদের খাওয়াতে পড়াতে তার বাবা শরীরে কত লবণ যে বেড়িয়ে গেছে, কত ঘাম ঝরেছে তাদের জন্য। তারা যদি প্রতি ঘামের ফোটা ৩০/- দরে দিত তবে তার বাবা আজ এই বৃদ্ধ বয়সে বসে খেতে পারতো।
অথচ, তারা তাদের বউয়ের যেন কেনা গোলাম হয়ে গেছে। অনেকটা পোষা কুত্তার মত। যে তাকে যাই বলা হচ্ছে ভালো মন্দ দেখছে না তাই করছে। (সবার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়)
ডেমো-১
রাতে বাসা যাওয়ার পথে একদম কুনকুনে এক বড় চাচাকে পেলাম। রাস্তার মাঝে তাকে জিঞ্জেস করলাম- চাচা আপনার ছেলে নেই, আছে বাবা- তারা আলাদা খায়।
কেন?
হয়ত আমাদের সঙ্গে খেলে তার সমস্যা, আমরা হয়তো বেশী খায়! আমি তো বুড়ো হয়ে গেছি বাবা তাই ওদের কোন কাজে আসতে পারছি না, হইতো সেজন্য হয়তো আলাদা খায়! আর তা ছাড়া ছেলের বউ কারনে বিনা কারনে শুধু ঝগড়া করে তোমার চাচীর সঙ্গে।
আমি শুধু একটা দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বললাম। আর কত খাটবেন চাচা।
চাচা এমন মায়াবী দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল যেন তার চোখ ফেটে যত পানি আছে যে কাউকে ভাসিয়ে দিতে পারে!! তার সেই করুন আকুতি চোখের পানে আমি বেশীক্ষণ তাকিয়ে থাকতে পারলাম না।
কত কষ্ট করে আমি তাদের লালন পালন করলাম।
আরে, ওদের অসুখে কত রাত জেগে সেবা করেছি অথচ.... আজ আমি কই থাকি তারই খোজ নেওয়ার সময় নাই....
আরে ডাক্তারকে রাত ২টা র ডেকে ওষুধ নিয়েছি, মানুষে বকা খেয়েছি, তোদের জন্য কত কিই না করেছি, এমনকি চুরি করেছি ছোট খাটো আজ তারা আমাদের চেনেই না!!! চাচা চোখের পানি যেন আর বাধ ধরে রাখতে পারলো না!!!
তাহলে আমাদের বাবা - মা এত কষ্টকরে আমাদের লালন পালন করেছে বৃদ্ধবয়সে একটু সুখের আসায় অথচ......... আমরা চামারের (সরি...) অধম হয়ে গেছি!
আমরা কতজন বুকে হাত দিয়ে বলতে পারবো বিয়ের পর বউকে ও বাবা মাকে সমান ভাবে দেখেছি...!
আসুন না একটু ভেবে দেখি.................
নতুন সংযোজন
ডেমো-২
আমাদের মধ্যে অনেকেই আছি যারা বউয়ের মাধ্যমে বাবাকে টাকা দেই।
আমার এক দু:স্পর্কের চাচার সাথে অনেক দিন পরে দেখা। আমার নিজের দেখা চাচা তার সন্তানদের জন্য কি না করেছেন? অন্যর জমি চাষ পর্যন্ত করেছেন। অনেক কষ্টে তারা আজ সাবোলম্বি হয়েছে! চাচা পোশাক দেখে মনে হল কত দিন যেন ধোয়া হয় নি। অথচ তার ছেলে এখন (নাম না বলি) বড় একটা কোম্পানি অফিসার, মাসিক বেতন ২০,০০০ টাকা- শুনেছিলাম।
চাচাকে জিগ্ঞেস করলাম- কেমন আছেন, এখন অনেক ভালো আছেন, আপনাদের গরিবের দিন এখনতো চলে গেছে।
চাচা আমার দিকে তাকিয়ে মলিন ভাবে বলল- হো বাবা চলে গেছে! পরে বেশ কিছু দিন পর চাচার ওখানকার এক বন্ধুর সাথে দেখা- সে বলল - তোর চাচার অবস্থা তো খুবই খারাপ, সে এখন অন্যর জমি চাষ করে খাচ্ছে। কি বলিস্ সেদিনই তো চাচার সঙ্গে কথা হল। চাচা তো কিছুই বলল না! হয়তো লজ্জায় বলেনি তোকে।
২ সপ্তাহ পর হঠাৎ কি কাজে যেন ঐ চাচার ছেলে আমার দোকানে আসে ।
আমি ওকে জিঞ্জেস করি- কি রে চাচা চাচি কেমন আছে?
বলল হ্যাঁ ভালো
তা চাচাদের খরচ দিস না!
হ্যাঁ, প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা বাবা ও মাকে শুধু খরচের জন্য দিয়ে থাকি,
কিভাবে টাকা পাঠাস, টাকা পাঠাতে তুই যাস নাকি
না, আমার বউ গিয়ে দিয়ে আসে!
আমি বললাম- তোর বউ টাকা ঠিকভাবে দেয় তো!
হ্যা অবস্যাই, সে প্রতিবারই টাকা দিয়ে এসে আমায় বলে!
তোর বউ মিথ্যা বলে, গিয়ে ভাল করে বাবা কাছে গিয়ে খবর নে, দেখ তারা টাকা পাই কিনা।
সে রীতিমত আমার রেগে গেল, বলল আমার ঘরের বিষয় নিয়ে তুই নাক গোলাবি না, তুই কে বলে সে চলে গেল...?
আমি শুধ বলতে চাই আপনারা যারা বাবা মাকে টাকা পাঠান তারা দয়া করে একটু খোজ নিয়েন অদ্য টাকা টা ঠিকভাবে পৌছাচ্ছে কি না!
আমরা শপথ করি, জন্মদাতা বাবা ও মাকে কোন ভাবেই কষ্ট দেব না! কোন ভাবেই না!!!
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।