দুঃখটাকে দিলাম ছুটি, আসবে না ফিরে
মক্কাবাসী জাহের ইবনে হারাম দেখতে কুৎসিত একজন ব্যক্তি ছিলেন। চেহারায় এমন কিছুই ছিল না যা তাকে আকর্ষণীয় করে তুলতে পারে। এতদসত্ত্বেও রাসুল সা. এর সাথে তার ভাল বন্ধুত্ব ছিল। প্রতিবারই তিনি যখন রাসুল সা. এর সাথে সাক্ষাত করতে যেতেন সাথে উপহারসামগ্রী নিতেন।
রাসুল সা. মক্কা থেকে মদীনায় হিজরত করলে জাহের তার প্রিয় বন্ধুকে কাছে থেকে হারান।
এটা তার জন্য যথেষ্ট কষ্টের ব্যাপার ছিল। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন তার বন্ধুর সাথে সাক্ষাত করতে মদীনায় যাবেন।
সিদ্ধান্ত মোতাবেক মদীনার উদ্দেশ্যে রওনা হলেন। বন্ধুর বাসায় যাওয়ার পূর্বে বাজারে যাওয়া তার রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল। রেওয়াজমত মদীনার মার্কেটে তিনি কেনাকাটা করছেন।
ইতোমধ্যে প্রিয়তম নবীর কাছে খবর পৌঁছে যায় জাহের মদীনায় এসেছেন তার সাথে দেখা করতে। বন্ধুর আগমনে রাসুল সা. খুশী হলেন। তার অভ্যর্থনায় কিছু নাটকীয়তা দেখাতে চাইলেন। মনস্থির করলেন জাহের আমাকে দেখার পূর্বেই আমি জাহেরকে দেখব। বাজারের দিকে রওনা দিলেন জাহেরের খোঁজে।
বাজারে গিয়ে জাহেরকে দেখতে পেয়ে তিনি পিছন থেকে তাকে জাপটে ধরলেন। অতঃপর রাসুল সা. বাজারের লোকদের ডেকে বলছেন, এ গোলামটা বিক্রি হবে... কে কিনবে একে? জাহের নিজেকে ছাড়িয়ে নিতে ব্যস্ত, কনুই দিয়ে গুঁতা দিচ্ছেন। অপরিচিত জায়গায় কে তাকে এভাবে জাপটে ধরল? বড়ই ভাবনার ব্যাপার!
রাসুল সা. যখন তাকে ছেড়ে দিলেন, পরস্পর পরস্পরকে ভালমত দেখলেন। রাসুল সা.কে হারিয়ে জাহেরের চেহারায় আরও পরিবর্তন এসেছে। জাহের তখন তার বন্ধুকে বললেন, হে আল্লাহর রাসুল আপনি এমন একজনকে বিক্রি করতে চাচ্ছেন যার কোন যোগ্যতায় নেই।
কেউ এই অযোগ্যকে কিনবে না। রাসুল সা. তার বন্ধুর জবাবে কি বললেন? আল্লাহ কসম, তুমি আল্লাহর চোখে মোটেও অযোগ্য নও.... আল্লাহর কাছে তুমি অনেক মুল্যবান একজন।
আমরা সাধারণত কেবল তাদেরকেই গুরুত্ব দেই যাঁরা সমাজে স্ট্যাটাস সমৃদ্ধ, সোসাইটিতে যাকে সুন্দর দেখায়। যা আমাদের সাথে মানাবে না বলে মনে করি তা আমরা এভয়েড করি। প্রিয়তম নবী ছিলেন এসবের থেকে ব্যতিক্রম।
এমন কে আছে যে তাঁর জীবন থেকে শিক্ষা নিতে চায়?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।