'জীবন' হলো এক কাপ গরম চা আর একটা জ্বলন্ত বেনসনের মতো। গরম চা একসময় জুড়িয়ে যাবে, বেনসনের তামাকও পুড়ে শেষ হয়ে যাবে।
জাতীয় জাদুঘর থেকে আবারও পুরাকীর্তি চুরি হওয়ার ঘটনার কথা জানা গেছে। প্রায় দেড় বছর আগে ১৪টি পুরাকীর্তি চুরি হয়। তবে এ ব্যাপারে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বা মামলাও হয়নি।
জাতীয় জাদুঘরের একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গত বছরের মার্চ মাসে ধরা পড়ে_জাদুঘরের চতুর্থ তলায় প্রাকৃতিক ইতিহাস বিভাগের সংরক্ষণ কক্ষ থেকে ১৪টি পুরাকীর্তি চুরি হয়েছে। তবে জাতীয় জাদুঘরের মতো একটি সুরক্ষিত জায়গা থেকে এ ধরনের চুরি কিভাবে ঘটেছে, সে ব্যাপারে জাদুঘরের কোনো কর্মকর্তা মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংস্কৃতিসচিব সুরাইয়া বেগম জানান, 'আমি শুনেছি ১৪টি পুরাকীর্তি চুরি হয়েছে। তবে এ ঘটনা ঘটেছে আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগে। ঘটনাটি তদন্ত করে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
'
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, চুরি হওয়া পুরাকীর্তিগুলোর মধ্যে ১০টি হাঁতির দাঁত, তিনটি ফিঙ্গে পাখির মমি ও একটি হলদে পাখির মমি রয়েছে। চুরি হওয়া পুরাকীর্তিগুলো ছিল ঢাকা ভাওয়াল জমিদার এস্টেটের অমূল্য সম্পদ। ভাওয়াল জমিদার রাজেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী এ পুরাকীর্তিগুলো সংরক্ষণ করেছিলেন। ভাওয়াল জমিদারের পরিচালনায় ঢাকার ওয়ারীতে বলধা জাদুঘরে এই পুরাকীর্তিগুলো সংরক্ষিত ছিল। ১৯৪৬ সালে বলধা জাদুঘর বন্ধ হয়ে গেলে ১৯৫১ সালে এই পুরাকীর্তিগুলো হস্তান্তর করা হয় ঢাকা জাদুঘরে (বর্তমানে জাতীয় জাদুঘর)।
জাতীয় জাদুঘরের একজন পদস্থ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, চুরি হওয়া এই ১৪টি পুরাকীর্তির মধ্যে হাতির দাঁতগুলো ছিল প্রায় দেড় শ' বছর আগের। ভাওয়াল জমিদারের হাতিশালের হাতির দাঁত এগুলো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জাদুঘরের একজন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় জাদুঘরের প্রাকৃতিক ইতিহাস নিদর্শন বিভাগের রেজিস্টার বই অনুযায়ী স্টোর কক্ষে দুই হাজার ৩১৯টি প্রাণিজ, উদ্ভিজ্জ ও ভূতাত্তি্বক নিদর্শন থাকার কথা। কিন্তু ১৯৯১ সালের ১২ আগস্ট থেকে ২০০০ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই বিভাগের কোনো রেজিস্টার বই অনুসরণ (হালনাগাদ) করা হয়নি। এ ছাড়া এই সংরক্ষণ কক্ষে এমন তিনটি দুষ্প্রাপ্য পুরাকীর্তি সংরক্ষণ করা হয়েছে, যেগুলোতে কোনো নম্বর করা নেই।
এই তিনটি নম্বরবিহীন পুরাকীর্তিও যেকোনো সময় চুরি হতে পারে।
এর আগে গত বছরের ২৬ জুন জাতীয় জাদুঘরের ইতিহাস বিভাগের ২১ নম্বর গ্যালারির একটি প্রদর্শনী বাঙ্ থেকে দুটি স্বর্ণপদক ও ২৪টি বোঞ্জের মুদ্রা চুরির ঘটনা ধরা পড়ে। এ ঘটনায় জাতীয় জাদুঘর কর্তৃপক্ষ একটি মামলা করে। মামলাটি বর্তমানে সিআইডিতে তদন্তাধীন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৬ সালের শেষের দিকে ফ্রান্সে ১৮৮টি পুরাকীর্তি পাঠানোর ঘটনার সময় এই ২৬টি পুরাকীর্তি চুরি হয়।
সূত্র: কালের কণ্ঠ
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।