আমি জানি না এ রকম পোষ্ট হয়েছে কিনা, খুজে পাইনি আসলে, তাই আবারো দিচ্ছি
মিশেল মাউন্ট , 'বিউটিফুল বাংলাদেশ' এর সেই বিদেশী মেয়েটি, যাকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না, কিছু দিন আগে একটি ব্লগে কিছু তথ্য শেয়ার করেছিল সবার সাথে। যেটি হয়েছিল তার বাসায় পুলিশ আগমনের পর (তাকে তার ঢাকার ফ্ল্যাট থেকে বের করার জন্য) যাই হোক, এসব নিয়ে আমি আর বেশি কিছূ না বলে তার প্রকাশিত ব্লগ পোষ্টটি শেয়ার করছি, যেখানে আপনি সব কিছু বিস্তারিত পাবেন।
তবে আমি শুধু এতটুকুই এখানে দিচ্ছি না। মিশাল করিম, উপরের পোষ্টে যাকে আপনি জঘন্যতম আপরাধী হিসেবে পাবেন, উনি তার জবাব দিয়ে আরেকটি ব্লগ পোষ্ট করেছেন। এ দুটোর সমন্বয়ে কিছু কথা (যা পুরোপুরি আমার চিন্তার ফসল) বলতেই আমার এতো আয়োজন।
মিশেল মাউন্ট (যার আরো নাম এবং পরিচয় মিশাল করিম তার ব্লগে দিয়েছেন) এতোই যখন অপরাধ দমন করতে এবং আমাদের উপকার করতে এগিয়ে এসেছেন, এই প্রচেষ্টা তার বাসায় হামলার আগে কেন বাস্তবতার রুপ দেখলো না, তা নিয়ে আমি একটু চিন্তিত। বাসায় পুলিশ আসার আগে কি মিশাল করিম কি কি দুর্নীতি করেছেন তা কি তিনি বুঝতে পারেননি ?
মিশেল মাউন্ট ছিলেন প্রজেক্ট ডিরেক্টর। অর্থাৎ প্রজেক্টের সমস্ত অনুদান এবং ব্যয় তার অবগত। তাহলে যখন দুটো পার্টির আয়োজন হলো অথবা বিভিন্ন অনুদান এনজিও অথবা প্রজেক্টের বদলে মিশাল করিমের ব্যাক্তিগত ব্যাংক একাউন্টের মুখ দেখলো তখন কি তার কিছুই করার ছিলো না? নাকি অবলা নারী হিসেবে তখন তিনি কিছুই বলতে পারেন নি?
যেহেতু মিশেল মাউন্ট একজন দক্ষ ও দায়িত্বশীল প্রজেক্ট ডিরেক্টর ছিলের, তার অবশ্যই অবগত থাকার কথা এখন পর্যন্ত কত টাকা অনুদান এসেছে। কিন্তু তারপরেও তিনি শুধু তার পরিবারের ১২০০ ডলার এর কথা উল্লেখ করেছেন এবং মামলা করেছেন (অথবা সম্পৃক্ত আছেন)।
একবার শুধু উল্লেখ করেছেন যে মোট ২০ জন অনুদানকারী আছেন, কিন্তু তারা কে অথবা নিদেনপক্ষে কত টাকা অনুদান দিয়েছেন, তা সর্ম্পকে কিছুই বলেন নি।
খুব সুন্দর করে তিনি বলেছেন, মিশাল করিম, কারো অনুমতি ছাড়াই সকল বোর্ড মেম্বার পরিবর্তন করেছেন। সরকারী নিয়ম অনুযায়ী, সমাজসেবা অধিদপ্তর-এ কমপক্ষে ৬ জন কার্যনির্বাহী বোর্ড সদস্যের স্বাক্ষরিত রেজ্যুলেশন প্রদান করে অনুমোদন সাপেক্ষে কার্যনির্বাহী বোর্ড এর সদস্যে পরিবর্তন আনতে হয়। তাই শুধু মিশাল করিম একা সব কিছু তে পরিবর্তন এনেছেন এটা সম্ভবপর নয়। তবে হে, যদি সবার স্বাক্ষর, এবং বোর্ড মিটিং এর মিথ্যা তথ্য প্রদান করে এ কাজটি করা হয়, তবেই মিশাল সাহেবের পক্ষে একা এটি সম্ভব।
তার মত ক্ষমতাবানের পক্ষে এটা খুবই সম্ভব। এবং যদি এটিই হয়, তবে এতোদিনে এইসব কথা কেনো? আগেই কেন এর প্রতিবাদ করা হয় নি?
যদি এখনো কেউ ধৈর্য্য ধরে এসব, তবে জেনে নিন, আমি শুধু মিশেল মাউন্ট এর নয়, দুজনের এ যা যা অসংগতি পেয়েছি, তুলে ধরব। তবে এখন চলুক কিছুক্ষণ মিশাল করিম এর কথা:
শুরুতেই নিজের বিস্তারিত প্রশংসা এবং অর্থের সমাহার দেখিয়ে তিনি বললেন যে তিনি কত নারীর আকাঙ্খিত পুরুষ। তারপরেই, তিনি বললেন তার এনজিও এর সার্টিফিকেট এর কথা। তিনি এনজিও ব্যুরো এর সার্টিফিকেট, এবং অনুমোদিত বাজেটের কথা বলেছেন।
ক্ষমতাবানদের জন্য এনজিও ব্যুরোতে সার্টিফিকেট এবং ভুল তথ্য সম্বলিত বাজেট অনুমোদন কোনই কঠিন নয়। তবে আমি শুধুই আমার চিন্তার কথা বলছি এটি, আমি দোষারপ করছিনা। শুধুই সম্ভাবনা।
তারপর তিনি অনেকক্ষ বলেছেন মিশেল মাউন্ট এর পূর্ববর্তী মডেলিং নিয়ে এবং বিভিন্ন ‘সার্ভিস’ নিয়ে। এখন আমেরিকান একজনের জন্য লন্জারি মডেলিং কোন সমাজবহীর্ভূত কাজ নয়।
এসব দিয়ে তার চরিত্র বর্ণন সম্ভব নয়। তবে যদি তিনি এসব দিয়ে বোঝাতে চান যে, মিশেল মাউন্ট অসামাজিক এবং নীচ চরিত্রের অধিকারী (যেটি তিনি গ্রেগোরি মাউন্ট, উয়াছিফ জামান ও ফরহাদ ফাইজ এর সাথে সম্পর্কের কথা উল্লেখপূর্বক বোঝাতে চেয়েছেন) তবে এসব জানা সত্ত্বেও কেন এতদিন তার এনজিওতে চাকরীরত রাখলেন এবং সম্পর্ক বজায় রাখলেন?
যে পরিমাণ ব্যাক্তিগত অর্থ তিনি গালা অথবা ইভেন্টে খরচ করেছেন তা যদি তিনি এনজিওতে অনুদান দিতেন তবে ৪০ জন এতিম শিশু কে শিক্ষিত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা খুব একটা কঠিন হত বলে আমার মনে হয় না।
মিশেল মাউন্ট দুটো মার্ডার কেসের কথা বলেছিলেন, এবং যার মধ্যে একটির কথা মিশাল করিম বলেছেন যে, দুই পক্ষের সম্মতিক্রমে মিমাংসা হয়েছে। এখন, মিমাংসার শর্তগুলো কি ছিল বা, অপর মামলার কি হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি।
সর্বশেষে, আমি জানি, আমি হয়তো খুব ভালো কিছু বলতে পারিনি, হয়তো আমি নিদোর্ষ কোন একজন কে দোষারোপ করেছি।
তবে এসবের মুল কারণ হচ্ছে, দুই পক্ষই এত পরে কেন এসব কথা তুললেন এবং সত্যিকার অর্থে কে দোষী? দুই পক্ষেরই দোষ আছে বলে মনে হচ্ছে ব্লগ দুটোয়, আবার দুই পক্ষই অনেক তথ্য গোপন করছে বলে মনে হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।