ফরাসি দার্শনিক মিশেল ফুকো ১৯২৬ সালের ১৫ অক্টোবর ফ্রান্সের এক সম্ভ্রান্ত প্রাদেশিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রাথমিক শিক্ষা খুবই স্বাভাবিক গতিতে এগিয়েছে। কিন্তু জেসুইট কলেজ সেন্ট-স্টানিসলাসে ভর্তির পর তিনি পড়াশোনায় বিশেষ সাফল্য অর্জন করেন। পরবর্তীতে দর্শনের ছাত্র হয়েও মনোবিজ্ঞানে ডিগ্রি লাভ করেন।
১৯৫০ সালে ফুকো ফরাসি সমাজতান্ত্রিক দলে যোগ দেন।
কিন্তু বেশিদিন রাজনীতি করার কোন আগ্রহ পাননি ফুকো। ১৯৫৩ সালেই দল থেকে সরে আসেন। কর্মজীবনের প্রথমভাগ
১৯৫৩ থেকে ১৯৫৪ সাল পর্যন্ত লিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনের প্রভাষকের পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৫৪ সালে তিনি সুইডেনের উপশালা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্রান্সের একজন সাংস্কৃতিক প্রতিনিধি হিসেবে কাজ শুরু করেন। ১৯৫৮ সালে উপশালা ছেড়ে কিছু সময়ের জন্য তিনি পোল্যান্ডের ওয়ারশ বিশ্ববিদ্যালয় ও জার্মানির হামবুর্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন।
১৯৬০ সালে মিশেল ফুকো আবার ফ্রান্সে ফিরে আসেন। ১৯৬১ সালে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ফুকো মার্ক্সবাদ সম্বন্ধে বেশ কিছু সংশয়বাদী মন্তব্য করেছিলেন যা বামপন্থী চিন্তাবিদদের দ্বারা সমালোচিত হয়। কিন্তু তিনি অচিরেই এ ধরনের সংশয়বাদী সমালোচনা পরিত্যাগ করে বিশুদ্ধ কাঠামোবাদী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৬৮ সালের মে মাসে তিউনিসিয়ায় যখন ছাত্র আন্দোলনের সূত্রপাত হয় তখনও তিনি তিউনিসে ছিলেন।
এই বছরেরই প্রথম দিকে তিনি তিউনিসের স্থানীয় এক বিদ্রোহী ছাত্রের আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। একই বছরে তিনি ফ্রান্সে ফিরে যান। ফেরার পর ১৯৬৯ প্রকাশ করেন 'জ্ঞানের প্রত্নতত্ত্ব' নামক রচনাটি। ১৯৮৪ সালের ২৫ জুন মিশেল ফুকো মারা যান।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।