ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান অধ্যাপক ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার ডয়চে ভেলেকে বলেছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্পে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার আধুনিক বহুতল ভবনের বড় একটি অংশ মাটির নিচে পুরোপুরি দেবে যাবে৷
ড. আখতার বলেন, ‘‘জলাধার ভরাট করে এবং নরম পলিমাটিতে ভবন তৈরি করায় এই ভয়াবহ পরিণতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে৷’’ তিনি বলেছেন, ভূমিকম্পে এই শহরে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে৷ তাৎক্ষণিকভাবে মারা যাবে দু’লাখ মানুষ৷
ড. হুমায়ুন আখতার ডয়চে ভেলেকে আরও জানান, ঢাকা শহরের অধিকাংশ আধুনিক বহুতল ভবন তৈরি হয়েছে জলাভূমি ভরাট করে অথবা নরম মাটির ওপর৷ আধুনিক এসব ভবন বলতে গেলে মৃত্যুফাঁদ৷ রিশটার স্কেলে ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্পে এসব আধুনিক ভবন টিকে থাকতে পারবেনা৷ তরল পদার্থের মধ্যে কোন কঠিন পদার্থ ছেড়ে দিলে যেভাবে ডুবে যায়, তেমনই এইসব ভবন লোকজনকে নিয়ে মাটির নিচে মুহূর্তেই দেবে যাবে৷ আর নির্মাণ ত্রুটির কারণেও ধ্বসে পড়বে অনেক ভবন৷ বিশেষ করে যেসব ভবনের নিচ ফাঁকা রেখে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা রাখা হয়েছে, সেগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ৷
পুরনো ঢাকার ইঁট সুরকির তৈরি বহু বছরের পুরনো একটি ভবনও ভূমিকম্পে দাঁড়িয়ে থাকার কথা নয়৷ ড. সৈয়দ হুমায়ুন আখতার বলেন, ব্যাপক প্রস্তুতির পরও জাপানে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হয়েছে৷ আর বাংলাদেশে তার চেয়েও বড় মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে বলে তিনি জানান৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশে যেকোন সময় ৭ মাত্রার বেশি ভূমিকম্প হতে পারে৷ অতীতে এই অঞ্চলে ৭ থেকে ৯ দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে৷ ভূ-অভ্যন্তরের সেইসব ফাটল বা চ্যুতি এখন সক্রিয়৷ তারা শক্তি সঞ্চয় করছে৷
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।