ঈদের সময় যাতে স্বস্তিতে থাকা যায় সেই চিন্তা করে সুতি কাপড় প্রাধান্য দিয়েছে তারা। তবে উৎসবে জমকালো পোশাকের চাহিদা থাকে বলে সুতির পাশাপাশি এন্ডি, এন্ডি সিল্ক, সিল্ক, জামদানি, মসলিন, রেশমী কটন, ডুপিয়ান কাপড়ের পোশাকে, সাধারণ ও ভরাট নকশার কাজ করা হয়েছে।
বর্ষার নীল ছাড়াও ব্যবহার করা হয়েছে হাল্কা ও উজ্জ্বল সব রং। এক্ষেত্রে মৌলিক রং প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যেমন নীল এর উপর নীল সুতার কাজ, সাদার উপর সাদা সুতার কাজ ইত্যাদি।
এছাড়া একই রংয়ের সুতার হালকা ও গাঢ় রং ব্যবহার করা হয়েছে একই পোশাকে।
এছাড়াও ‘রঙ’-এর বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল রংয়ের ধারা বজায় রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। ব্লক, স্প্রে, টাই-ডাই, স্ক্রিন-প্রিন্ট, এছাড়া অ্যাপলিক, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি, হাতের ভরাট কাজ, লেস, কাতানপাড় ইত্যাদি মিডিয়া হিসাবে ব্যবহার করে ভিন্ন এক নান্দনিকতার রূপ দেওয়া হয়েছে।
পোশাকের মূল উপকরণ কাপড়।
যা তৈরি হয়েছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ, মিরপুর, কুমিল্লা ইত্যাদি বিভিন্ন স্থানে। নিজস্ব তাঁতের কাপড়ের বুননেও আনা হয়েছে নতুনত্ব।
তাঁতের এক্সক্লুসিভ শাড়ির পাশাপাশি হাফসিল্ক, জামদানি, কাতান, মসলিন, রেশমী কটন, ডুপিয়ান শাড়িতে কাজ করা হয়েছে।
সালোয়ার-কামিজের কাটিং এবং প্যাটার্নে অনেক নতুনত্ব আনা হয়েছে। কামিজের ঝুল অনেকখানি বাড়ানো হয়েছে।
সালোয়ারের কাটিংয়েও এসেছে পরিবর্তন।
কুর্তার চেয়েও ঝুল বাড়িয়ে শর্ট ফিটিং পাঞ্জাবি করা হয়েছে। লং পাঞ্জা্বির ক্ষেত্রে ঝুল-এ অনেক নতুনত্ব আনা হয়েছে। কাটিংয়ের ক্ষেত্রে সেরওয়ানি আদলের পাঞ্জাবি যেমন আছে তেমন এক রংয়ের ভাজ করা কলার পাঞ্জাবিও করা হয়েছে।
এছাড়াও আধুনিক সৌন্দর্য্য চেতনাকে সামনে রেখে পোশাক এর পাশাপাশি আনস্টিচ থ্রি পিস, মগ, ওড়না, ব্লাউজ পিস, রুমাল, বিছানার চাদর, কুশন কভার, ব্যাগ ও নানারকম বৈচিত্র্যময় সুন্দর ও প্রয়োজনীয় গৃহস্থালী পসরা বসেছে ‘রঙ’য়ের বিভিন্ন বিক্রয়কেন্দ্রে।
এছাড়া ঈদে প্রিয়জনকে উপহার দেওয়ার জন্য ‘রঙ’য়ের রয়েছে গিফট্ ভাউচার। যে কোনো শো-রুম থেকে ৫শ’ থেকে ৫ হাজার টাকা মূল্যের এই সব ভাউচার ব্যবহার করে কেনা যাবে পছন্দসই সামগ্রী।
উজ্জ্বল রংয়ের ভিড়ে বাড়ির জ্যৈষ্ঠ সদস্যদের জন্য ঈদের কাপড় খুঁজে পাওয়া দায়। সেই কথা চিন্তা করে রঙয়ে রয়েছে বিশেষ আয়োজন ‘শ্রদ্ধা’।
এই শ্রদ্ধায় ঈদের বিশেষ আয়োজনের পোশাকগুলোতে অফ-হোয়াইট, সাদা, ধূসরসহ অনেক অফটোনের রং-এর পাশাপাশি উৎসব হিসেবে লাল-সাদা, হলুদ, নীল, বেগুনি, প্রভৃতি রংয়ের হালকা ব্যবহার রয়েছে।
কেবল পোশাক নয় সঙ্গে আছে টুপি, জায়নামাজ, তসবিহ ও ছড়ি। আরও আছে গানের সিডি, ওড়না, শাল, ধুতি, বিছানার চাদর ছাড়াও প্রয়োজনীয় টুকিটাকি সবই।
‘শ্রদ্ধা’ বিভাগের প্রদর্শনী ও বিক্রয় স্থান- বাংলাদেশ ইউএই মৈত্রী শপিং কমপ্লেক্স, ২য় তলা, কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা।
হাল ফ্যাশনের কাপড় পরতে যারা পছন্দ করেন তাদের কথা মাথায় রেখে রঙয়ের নতুন আয়োজন ‘ওয়েস্টরঙ’। ছোট-বড় সকলের জন্য দেশীয় পোশাকে পশ্চিমা ধাঁচের ছোঁয়া দেয়া হয়েছে এইসব পোশাকে।
এবারের ঈদে ‘ওয়েস্টরঙ’-এর আয়োজনে থাকছে পাঞ্জাবি, শেরওয়ানি, কুর্তা, শার্ট, প্যান্ট স্যান্ডেল ও নানান ধরনের প্রসাধনী সামগ্রী। এডাপ্ট আমির কমপ্লেক্স, বসুন্ধরা মেইন গেট, বারিধারা শাখায় পাওয়া যাবে এইসব পোশাক।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।