আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ধর্মীয় শিক্ষা ও কিছু কথা

মুক্তিযুদ্ধের সেই উত্তাল দিনুলোতে, অজস্র তরুণ কি অসম সাহসিকতা নিয়ে দেশমাতৃকাকে রক্ষা করেছিল!

ধর্মীয় শিক্ষা ও কিছু কথা ড: রমিত আজাদ ধর্মীয় শিক্ষার বিরুদ্ধে উঠে পরে লেগেছে একদল লোক। প্রচার করার চেষ্টা করছে যে এটা প্রাচীন পন্থী চিন্তা ভাবনা। আধুনিক যুগে এটা অচল । অথচ ধর্মের মধ্যে আছে নৈতিকতা বোধ, আছে শালীনতা বোধ । যুগে যুগে ধর্মই মানুষকে এই শিক্ষা দিয়ে এসেছে।

কোন জাতিকে ধর্মীয় শিক্ষাহীন করা মানে ঐ জাতির নৈতিক অধঃপতন ঘটানো। কোন জাতির একবার নৈতিক অধঃপতন ঘট্‌লে তাকে আর সহজে সেখান থেকে টেনে তোলা যায়না। সেকুলারিজম-এর ধারণা অনুযায়ি ধর্মকে রাজনীতি থেকে পৃথক করার চেষ্টা করা হয়। এটা করা হয়েছিল মূলতঃ দীর্ঘদিনের চার্চের অনুশাসনে ত্যক্ত-বিরক্ত ইউরোপীয়দের বিরূপ অনুভূতি থেকে। মুসলীম শাসিত অন্চলে কখনই এই জাতীয় অনুশাসন ছিল না।

এ যুগে ধর্মের বিরুদ্ধে লেগেছে ইহুদীরা। ধর্মকে তারা হাসির রঙ্গমন্চে তুলেছে। অথচ তারা নিজেরা ধর্মীয় অনুভূতিতে যথেষ্ট সচেতন। অনেকেই বেসুরো সুরে বলে থাকে, 'যে কোন জাতির উন্নয়নের জন্য প্রধান শর্ত অর্থনীতি'। আসলে যে কোন জাতির উন্নয়নের প্রধান শর্ত নৈতিকতা ।

নৈতিকতাহীন জাতির অর্থনৈতিক উন্নয়ন যদি ঘটেও থাকে, কিছুকাল পরে তার ধ্বস্‌ নামে । আর জাতির নৈতিক চরিত্রের উন্নয়ন ঘটলে তার সাথে সাথে অর্থনৈতিক উন্নয়নও ঘটে। যে কোন সামাজিক অথবা রাজনৈতিক আন্দোলনের পিছনে যদি ধর্মের দোহাই না থাকে তা এলোমেলো অনির্দিষ্ট হতে বাধ্য । অন্তত পক্ষে ওয়ার্ল্ড হিষ্ট্রি তাই বলে। (চল্‌বে)


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.