সবার আমি ছাত্র
প্রথম পরিচ্ছেদ
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
এভাবেই সৌমিত্রের হাত ধরিয়া মিঠুনের ধর্মীয় বিশ্বাসের অধঃপতন। যাহা অন্য এক উথ্বানের দিশারি। বলিতে গেলে বলা যায় একের উত্থান অন্যটির পতন। এখন পর্যন্ত মিঠুন নাস্তিক। সুদুর ভবিষ্যৎ পর্যন্ত অবস্থা স্থিতিশীল থাকিবে তাহার এমন ধারণা।
এখন মিঠুনকে কেহ নাস্তিক বলিলে সে উহাকে গালি হিসাবে গ্রহন করে না। মনে মনে খুশিই হয়। কারণ, সেতো নাস্তিকই। ইহাতে কোনোই সন্দেহ নাই। অনেকে উহাকে বলে, গায়ে এখনো জোর আছে তাই কিছু বুঝিতে পারিতেছ না।
জোর কমিলে ঠিকই বুঝিবে। কিন্তু মিঠুন কিছুতেই বুঝিতে পারেনা সে কি বুঝিবে। ঈশ্বর নামক নামটিকে হটানোর যেসকল যু্ক্তি উহা করিতে পারে তাহাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে না।
সে দিনে দিনে লক্ষ করিয়াছে নাস্তিকদের বিবিধ গুনাগুন। বুঝিতে চেষ্টা করিয়াছে তাহাদিগকে।
দেখিয়াছে তাহাদের আলাদা একটা ব্যক্তিত্ব রহিয়াছে, তাহারা সৎ জীবন যাপন করিতে চেষ্টা করিয়া থাকে, যতদুর পারা যায় তাহারা সত্য বলিবার চেষ্টা করিয়া থাকে, উহারা অপরকে অকারণে ঠকাইতে চাহে না, ইত্যাদি। যাহা ধার্মিকগণ সরাসরি করিয়া থাকে না। কারণটা সে বাহির করিয়াছে উহার উক্ত দাদার স্বরনাপন্ন হইয়া। যে-সে লোক নাস্তিক হইতে পারে না। নাস্তিক হইতে গেলে তাহাকে অবশ্যই সৎ চরিত্রের অধিকারী হইতে হয়।
তাহা না হইলে অবশ্যই উহা ভণ্ডামি করিবে মানুষের কাছে নাম কামাইবার জন্য। কারণ, নাস্তিকদের সমাজে অন্য কিছু হিসাবে দেখা হয়। সমাজ বুঝিতে চাহে না যে উহারাই সমাজকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছে দিতে পারে। কারণ উহাদের রহিয়াছে নিঃস্বার্থ ভাবে কার্য করিবার মানসিকতা। ধার্মিকরা ভাল কার্য করিয়া থাকে পূণ্য লাভের আশায়।
লক্ষ ঐ স্বর্গ। কিন্তু নাস্তিকরা তেমনটি নহে। যাহারা সবকিছুর মধ্যে স্বার্থ খুজিয়া বেড়ায় তাহারা কিরুপ হইতে পারে তাহা আমাদের সমাজ ভালভাবেই জানে। তারপরও উহারা কেন যে বুঝিতে চায়না বুঝিয়া উঠিতে পারেনা মিঠূন।
মিঠুন ঠিক করিয়াছে নিজ হস্তে করিয়া সমাজকে বদলাইয়া দিবে।
এখন হইতেই কার্য শুরু করিয়া দিয়াছে। ছোট শিশুদের যেমন বোঝানো হয় যে, ঠাকুর নম কর। সে উহাদের বোঝায় যে, ঐসব ভুয়া উহাতে কোনোই লাভ নাই। প্রমানও সে দেওয়ার চেষ্টা করিয়া থাকে। যাহাতে ছোট কোমলমতি শিশুরা জুজুর ভয়ে সিটিয়া না থাকে।
ছোটকাল হইতেই যেন তাহাদের ঈশ্বরের প্রতি ভক্তি চটিতে থাকে। বড় হইয়া এমনটি যেন না ভাবে যে, যদি কেহ থাকিয়া থাকে তাহাহইলে কি হইবে? ইতি মধ্যে সে ইহার ভাল সাড়াও পাইয়াছে। ছোট ছেলে-মেয়ে যারা উহার সঙ্গ পাইলে আনন্দিত হয়, তাহাদের সে যুক্তি ও বিজ্ঞান মনষ্ক করিয়া ফেলিয়াছে। তাহারা ঠাকুর-দেবতাদিগকে গালি দেওয়া সহ্য করিলেও কোনো বিজ্ঞানীকে গালি দেওয়া সহ্য করিতে চাহে না। উহারা এক সময় মিঠুনের চাইতে বেশি কিছু হইবে এইটাই মিঠুনের শুভকামনা।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।