একটা পাথর গলার কাছে আটকে ছিল। পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে। দমবন্ধ অবস্থা একটু ফাঁক ফোকর দিয়ে যদি আলো আসে বাতাস আসে তাই দিয়ে বেঁচে থাকা। প্রতিদিন প্রকৃত স্বাধীনতা পাওয়ার আশায় বাঁচছে বেয়াল্লিশ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষ। ।
মানুষের বাঁচার অধিকার, নিঃশ্বাস নেয়ার মতন অক্সিজেনের অভাব নানান ভাবে সচেতন মানুষদের করছে উদ্বিগ্ন।
ইতিহাস ভুল জানা মানুষ ঠিক কোনটা সঠিক কোনটা বেঠিক ঠিক করে উঠতে পারে না। কেউ নিজের বিশ্বাসকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চায় কেউ ভোগে দোদুল্য অবস্থায়।
তবে মনের ভিতর একটা ইচ্ছা সব কিছুর পরিবর্তন চাই। এই এক চিলতে আলো বাতাসে বেঁচে থাকা নয়; বুক ভরে শ্বাস নিয়ে, স্বস্থির সাথে বাঁচা।
এই অধিকার মানুষের জন্মগত কিন্তু নিয়ম জনগণের অধিকার না দিয়ে জনগণ থেকে সব ছিনিয়ে নেয়। দেখে দেখে সহ্য করে হতাশায় নিমজ্জিত অবস্থা।
কিভাবে পাওয়া হবে সুন্দর ভাবে বেঁচে থাকা-পথ জানা নাই।
এক পরিবারের শাসন থেকে অন্য পরিবার এলো শাসনে
একটাই বিশাল কারণ সংখ্যা গড়িষ্টতা পাওয়ার যুদ্ধাপরাধীর বিচার করবে।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একটাই বড় দল।
দেশ স্বাধীন হওয়ার বিশেষ ভূমিকা যে দলের।
দ্বিধান্তিত মানুষ, ভুক্তভোগী মানুষ একটুতেই অসহিষ্ণু হয়ে উঠে। আর সাথে আছে বিরোধীতার বিষ বাষ্প সারাক্ষণ। মাথার সেলে ভুলের চিন্তা ঢুকিয়ে দেয়ার সুপরিকল্পনা। যা মানুষ সহজে বুঝতে পারে না।
কিন্তু মশৃন ভাবে পাতা জালে ধরা দেয় অনেক সময় নিজের অজান্তে।
বর্তমান সরকারি দল মুক্তিযোদ্ধের পক্ষের দল বলেই তারা ধোয়া তুলসিপাতা এমন নয়। তারা যদি নিজ দলের কিছু স্বার্থপর মানুষদের কঠোর ভাবে বিচার করতো জনের চেয়ে দল এবং দেশ ও জনগণের জন্য।
দলীয় অবস্থান অনেক গ্রহণযোগ্য থাকত জনগণের কাছে।
সেটা করতে পারেননি তাই তারাও প্রশ্নের ঊর্ধে নয়।
কাজটা খুব সোজা না। যখন একজন সৎ এবং সুন্দরের চেষ্টা করেন এবং সাথে অনুসারী দশজন সর্বোপরি খাঁটি না হন। তখন মন্দের পাল্লা ভারী হতে বাধ্য। এভাবেই এক ধারাবাহিকতা চলে আসছে নিজ স্বার্থ দলের স্বার্থ রক্ষা করছেন বেশীর ভাগ জন প্রতিনিধি আর জনগণের দোহাই দিয়ে এক ঘোর প্যাঁচে কাটছে সময়।
কেন একজন জনগণের প্রতিনিধি হন।
এই বিষয়টাতে তিনি যদি স্বচ্ছ এবং সঠিক থাকেন জনগণের এবং দেশের প্রয়োজনে তাকে কোন ভুল ছূঁতে পারবে না।
কিন্তু উদ্দেশ্য যদি হয় আমাকে জনগণ মান্য করবে আর আমি নিজের সুখ সম্পদ বাড়িয়ে যাবো্। দলের সদস্য হয়ে দলের স্বার্থ রক্ষা করব।
এমন মানসিকতার মানুষ জনপ্রতিনিধি হওয়ার যোগ্য নয়্।
যারা এখন সদস্য আছেন সংসদে তারা নিজের কাছে প্রশ্নটা করে দেখুন আপনার বিবেক কি বলে।
কী করছেন? প্রকৃত ভাবে কতটা কাজ মানুষের জন্য করছেন?
বিবেক বিষয়টাও মনে হয় উধাও হয়ে গেছে।
তাই পরবর্তি সময়ে জনগণের সচেতন হতে হবে। আপনার জন্য কাজ করবে এমন সদস্য নির্বাচনের জন্য।
বিয়াল্লিশ বছর আগের বিচার করার জন্য সুযোগটা নতুন প্রজন্ম করে দিল। যা এত বছর শত্রুর ঘরে লালফিতায় বাঁধা ছিল।
চারপাশের চাপে যখন দমবন্ধ অবস্থা কিছু প্রগতিশীল যুবক একটি বিচারের রায়ে অসন্তোস প্রকাশ করে। নির্বিবাদে নারী, শিশুসহ গনহত্যাকারী রাজাকারের, সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবীতে প্রতিবাদ করে রাস্তায় নেমে আসে। শাহবাগে অবস্থান নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দাবী আদায় না হওয়া পর্যন্ত।
এক দুই তিন একশ হাজার লক্ষ কোটি থেকে কোটি কোটি মানুষ তাদের সায় দেয় সারা বাংলা ব্যাপী।
কেন?
কারণ তাদের মনে হয় এই দাবীটি যৌক্তিক।
এই দাবীটি অস্তিত্বের সাথে মিশে আছে বাঙালির। এই দেশের বিরোধীতা করেও এরা এই মাটির আলো বাতাসে নিঃশ্বাস নিচ্ছে কিছু স্বার্থপর মানুষের কারণে। এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হতেই হবে বাংলার মাটিতে।
যুবকরা তাদের দাবী প্রকাশ করে। উত্তাল হয় দেশের মানুষ তারণ্যের সাথে।
বুক ভরে শ্বাস নেয়ার প্রয়োজনে মানুষ তাদের সায় দেয়।
মানুষের অনেক আশা অনেক চাওয়া যা তারা বছরের পর বছর যুগের পর যুগ পায়নি শুধু আশায় আছে শুধু বুকে ধারণ করে আছে।
একটা দাবী আদায়ের জন্য সবাই এই তারুণ্যের জাগরণের মঞ্চ শাহাবাগ চত্বরকে বেছে নেয়। সায় দেয় প্রাণ থেকে ভালোবাসে।
তারা একটার পর একটা নানান বিষয় উত্থাপন করতে থাকে।
যা সুস্থ এবং স্বাভাবিক দাবী। এই জাগরণের আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের অনেক অসুস্থতাকে ধূয়ে মুছে কলঙ্ক মুক্ত করে ফেলতে চায়।
অন্য পক্ষে যারা এই জনগণের সুযোগ বঞ্চিত করে রাখে নিজেদের স্বার্থে। তারা কী চুপচাপ বসে আঙ্গুল চুষবে।
তাদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে তাদের বেয়াল্লিশ বছরে মিথ্যার উপর গড়ে তোলা সৌধ ধ্বসে যেতে কি তারা এত সহজে দিবে?
শেষ মরণ কামড় দেয়ার জন্য তারা নানান ভাবে প্রস্তুত হতে থাকল।
তারা তো বরাবর জানে ফুসমন্তরের কলাকৌশল। বিয়াল্লিশ বছরের অভিজ্ঞতা অনেক বেশী।
আন্তরিক ভালোবাসায় যে মানুষ ধর্ম বর্ণ দল ভেদে জাগরণের মঞ্চে শাহবাগে জমায়েত হলো তাদের মাঝে দ্বিধা বিভক্তির গুজব ছড়িয়ে দিল। অনেকেই নিজেকে গুটিয়ে নিল অনেকে অপেক্ষায় থাকল কোনদিকে যাবে সে সুযোগ নেয়ার।
কারণ বাঙালির স্বভাব হুজুগের পিছে ছুটা।
আর এই জমায়েতের মানুষ তারা তো কোন একটি দল থেকে আসেনি। এরা এসেছে বিভিন্ন দল মত বর্ণ এবং ধর্ম থেকে। তাদের এই একাত্বতা শুধুই বাঙালির অস্তিত্ব, স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, ত্রিশ লক্ষ প্রাণ হারানোর কষ্ট, দুই লক্ষ নারীর সম্ভ্রমের মূল্যে পাওয়া দেশের বিরোধীদের দৃষ্টান্তমুলক বিচার। প্রানের টান কিন্তু সুনিদৃষ্ট পরিকল্পিত কোন পরিকল্পনা নিয়ে তারা মাঠে নামেনি।
যা দ্বিধা বিভক্ত হতে সময় লাগল না কৌশলের কাছে।
তবে ঝরে পরা গুটিয়ে যাওয়ার পর ও প্রজন্ম চত্বরের সাথে আছে অসংখ্য মুক্তিকামী মানুষ।
আপনার প্রাণের আকুতি কতটা আপনিই বিচার করুন। দল ধর্ম কে, নেতা কে দেখবেন নাকি অস্তিত্ব ভেবে দেখুন আন্তরিক ভাবে।
এখন দাবী অনেক কিছু কিন্তু একটা একটা ধাপ পেরুতে হবে, ইট গাঁথতে হবে।
ধৈর্য এবং ভালোবাসায়।
চিনে রাখুন সাথে বিরোধীদের যারা অস্তিত্বের বিজয়কে ছিনিয়ে নিতে চায়, ছিনিয়ে নিতে দেয়। এরা সবাই আপনি জনগণ; আপনার কথা ভাবে না। ভাবে নিজের স্বার্থ এই বিষয়টা বোঝার চেষ্টা করুন।
সুকৌশলে দল এবং আরো বেশী চাওয়ার কথা বলে নানান বিষয়ে ধর্ম এবং নৈতিক গুজব ছড়িয়ে দ্বিধা বিভক্তির চেষ্টায় মত্ত হলো বিরোধীরা। নিজেদের নানান অপকর্মের দায় দিতে লাগল প্রজন্মের তারুণ্যকে।
ধর্মের নামে দ্বিধা বিভক্ত, দলের নামে বিভক্ত, টাকা পয়সা সম্মানের নামে বিভক্ত । অনেক কিছু হলো। এখন বর্বর হিংস্র আক্রমণে দেশে বিশৃঙ্খলা করে সরকার পতনের চেষ্টা করছে।
ওদের এত হিংস্রতা কেন কারণ তাদের পায়ের নীচে মাটি সরে যাচ্ছে। এবং যাবে বাঙলার মানুষ আপনাদের সঠিক পদক্ষেপে।
যে দলই আপনি অনুসরণ করুন না কেন একটা ঐক্য রাখুন। দেশের বিরোধীদের বিচার করার হিংসাত্মক আচরণ নির্মূল করার।
আপনি যে পাহাড় সমান সম্পদ আর ক্ষমতার কথা ভাবছেন তাও কিন্তু হিংস্র হায়নার পায়ের নিচেই পদললিত হবে। যদি এই কলঙ্ক মোচন না হয়।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।