জাপানের শক্তিশালী ভূমিকম্প ও সুনামির পর ধ্বংসস্তুপ থেকে মৃতদেহ ও আটকে পড়াদের উদ্ধারের তৎপরতা আরো জোরদার করা হয়েছে। এ উদ্ধার কাজে এক লাখেরও বেশি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিভাগ জানিয়েছে, নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ১০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। তাছাড়া, দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামিতে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার চরম অবনতিতে অনেক জায়গায় ঠিকমত উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা য়ায়নি।
এসব এলাকায় তৎপরতা চালানো হলে নিহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানানো হয়েছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী নাওতো কান বলেছেন, ভূমিকম্প ও সুনামির এ ধ্বংসযজ্ঞ জাপানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের চেয়েও ভয়াবহতা নামিয়ে এনেছে।
এদিকে আজ রোববার ফুকুশিমা পারমাণবিক চুল্লির তেজস্ক্রিয় বিকিরণের ভয়াবহতা জাপানিদের আরো শঙ্কিত করে তুলছে। পরমানু চুল্লি বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় পদার্থ বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। কিয়োদো নিউজ জানিয়েছে, তেজস্ক্রিয় পদার্থের বিষক্রিয়ায় ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এরআগে, শনিবার এক নম্বর চুল্লিটি বিস্ফোরিত হয়। এতে চুল্লি ভবন ধসে পড়ে। আজ দ্বিতীয় আরেকটি পরমাণু চুল্লি বিস্ফোরিত হয় বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানায়।
এ বিস্ফোরণের পর চারপাশে ২০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার জনগণকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়া হয়েছে। তেজস্ক্রিয়তা থেকে রক্ষা পেতে এসব অঞ্চলে আয়োডিন বিতরণ করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভা সচিব ইউকিও বলেছেন, তৃতীয় চুল্লিতে বিস্ফোরণ ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে আশপাশের অধিবাসীদের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে দেশটির সরকার সব রকমের ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি জানান।
এদিকে রাজধানী টোকিওতে এ পর্যন্ত ২০০ মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাছাড়া, পূর্ব উপকূলীয় হোনসু দ্বীপে ক্ষক্ষতির পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। এখানে নিহতের সংখ্যা ৯০০ ছাড়িয়ে গেছে।
এ অঞ্চলে ১২ হাজারেরও বেশি বাড়ি ধ্বংস ও অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নোবিরু শহরের শত শত লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছে। সেনদাই শহরের সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চলে কমপক্ষে ২০০ থেকে ৩০০ মৃতদেহ উদ্ধর করেছে স্থানীয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, শুক্রবার ২টা ৪৬ মিনিটে ৮ দশমিক ৯ মাত্রায় আঘাত হানা ভূমিকম্পটি ছিল দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ। এর প্রভাবে সুনামিতে ১০ মিটার উঁচু জলোচ্ছ্বাসে স্মরণেকালের ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।