”সব রাজাকারদের বিচার চাই”
১.পবিত্র কুরআন শরীফ-এ মহান আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “মানুষ আপনার নিকট ফতওয়া জানতে চায়। অতএব, আপনি বলে দিন আল্লাহ পাক তিনি তোমাদিগকে ‘কালালাহ’-এর মীরাস সংক্রান্ত সুস্পষ্ট নির্দেশ বাতলে দিচ্ছেন; যদি কোনো পুরুষ মারা যায় এবং তার কোনো সন্তানাদি না থাকে এবং এক বোন থাকে, তবে সে পাবে তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির অর্ধেক অংশ এবং সে যদি নিঃসন্তান হয়, তবে তার দুই বোন থাকলে তাদের জন্য তার পরিত্যক্ত সম্পত্তির দুই তৃতীয়াংশ। পক্ষান্তরে যদি ভাই ও বোন উভয়ই থাকে, তবে একজন পুরুষের অংশ দু’জন নারীর সমান। তোমরা বিভ্রান্ত হবে বলে আল্লাহ পাক তিনি তোমাদিগকে সুস্পষ্ট জানিয়ে দিচ্ছেন। আর আল্লাহ পাক তিনি হচ্ছেন সর্ববিষয়ে পরিজ্ঞাত।
” (সূরা নিসা: আয়াত শরীফ ১৭৬)
উত্তরাধিকার সম্পর্কিত সুস্পষ্ট আয়াত শরীফ-এর মাধ্যমে সঠিক দিক নির্দেশনা থাকার পরও ৯৭ ভাগ মুসলমানের এ দেশে গত সোমবার তথাকথিত ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১’ মন্ত্রিসভা বৈঠকে অনুমোদন করা হয়েছে। নতুন নীতিতে উত্তরাধিকার সম্পদের উপর সমান অধিকার দেয়া হয়েছে নারীকে। নাঊযুবিল্লাহ!
এতে করে ইসলাম ধর্মের উপর প্রচ- আঘাত করা হয়েছে। অথচ সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে ইসলামকে বর্ণনা করা হয়েছে। অপরদিকে বাংলাদেশ দ-বিধিতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়া শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়েছে।
২.পবিত্র কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক তিনি ইরশাদ করেন, “আল্লাহ পাক তিনি তোমাদেরকে তোমাদের সন্তান সম্পর্কে আদেশ করেন; একজন ছেলের অংশ দু’জন মেয়ের অংশের সমান। ” (সূরা নিসা-১১)
নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি স্বয়ং আল্লাহ পাক তিনি পবিত্র কুরআন শরীফ নাযিল করেছেন। যার মাধ্যমে ইসলামকে আল্লাহ পাক পরিপূর্ণ, সন্তুষ্টিপ্রাপ্ত, অপরিবর্তনীয় দ্বীন হিসেবে মনোনীত করেছেন যা কিয়ামত পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
সেখানে প্রকাশ্যে ৯৭ ভাগ মুসলমানের দেশে ইসলামের বিরোধিতা করে এবং ইহুদী-নাছারাদের পোষ্য গোলাম ও এজেন্ট হয়ে যদি কেউ পবিত্র কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দুঃসাহস দেখাতে চায়! নিজেদের নব্য কাদিয়ানি হিসেবে তুলে ধরতে চায়! তবে এই ঘৃণ্য কাজের জন্য তাদেরকে অবশ্যই চরম মূল্য দিতে হবে।
৩.জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতিমালার নামে ‘নারী-পুরুষ সমঅধিকার আইন’ বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সরাসরি কুরআন শরীফ-এর আয়াত শরীফ-এর মানহানির শামিল।
‘পবিত্র কুরআন শরীফ ও পবিত্র সুন্নাহ শরীফ বিরোধী কোনো আইন পাস হবে না’- এ প্রতিশ্রুতির সরকারকে দেশবাসী ভোট দিয়েছিল দেশের সর্বত্র তারা ইসলামকে জারি করবে তা দেখতে। দেশবাসী দেখতে চায়নি রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম-এর এদেশে সরকার একের পর এক ইসলাম তথা পবিত্র কুরআন শরীফ-এর উপর আঘাত হানবে; তারা নিজেদের শরীয়ত প্রণেতা তথা নবী দাবি করে নতুন শরীয়ত জারি করার ধৃষ্টতা দেখাবে। নাঊযুবিল্লাহ!
শতকরা ৯৭ ভাগেরও বেশি মুসলমানের এই দেশে, মুসলমানদের কাঙ্খিত ও বাঞ্ছিত ইসলামী শরীয়ত তথা পবিত্র কুরআন শরীফ-এর সামান্য থেকে সামান্যতম মানহানি তাদের একবিন্দু রক্ত থাকতে মেনে নিবে না। মেনে নিতে পারে না।
অতএব, এখনো সময় রয়েছে অনতিবিলম্বে তাদের কুফরী তথা শয়তানী মতবাদ প্রত্যাহার করে তওবা করা।
অন্যথায় দেশবাসীসহ বিশ্বের প্রায় সোয়া ৩শ কোটি মুসলমান তা বরদাশত করবে না।
অতএব, সরকারকে অবশ্যই তাদের ইসলাম বিরোধী কুফরী তথাকথিত জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার করে খালিছ তওবা-ইস্তিগফার করতে হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।