গতকাল ছিল রোববার। তো অন্যান্য রোববারের মতো আমিও অফিসে গিয়েছি। আমার একজন সহকর্মী আছেন, যিনি প্রতি বৃহস্পতিবার হলে গ্রামের বাড়িতে যান আবার রোববার হলে যথারিতী অফিসে চলে আসেন। আর এসেই বিভিন্ন ধরনের হাস্যরসাত্মক কৌতুক ও বাস্তবে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা শুনতে পারি ওনার কাছ থেকে। এই যেমন ধরেন কে ৫০ বছর বয়সে আবার বিয়ে করলো, কার ৩টা বউ, কার বউ পরকীয়া করতেছে এই ধরনের ঘটনা।
গতকাল ওনি অফিসে এসে আমাকে চুপে চুপে বললেন, চাঁদে নাকি সাঈদীকে দেখা গিয়েছে? আমি বললাম, ধ্যাৎ এইগুলি কি বলেন, এসব আজগুবি খবর আপনাদের এলাকার মানুষই বলে থাকে। আমি পাত্তা দিলাম না। যথারিতী অফিস করলাম।
অফিস শেষ করে বাসায় যাওয়ার আগে সাইবার ক্যাফেতে ঢুকলাম সারাদিনের খবর নেয়ার জন্য। সামুতে ঢুকেই দেখি অফিসের সেই ঘটনার অবতারনা এখানেও এবং বিভিন্ন রকমের পোষ্টের ছড়াছড়ি।
আমি এখানেও ভাবলাম সামুর ব্লগারদের মধ্যেতো অনেকেই আছেন একটু মজা করতে ভালোবাসেন। তো এটাও সেরকম একটা কিছু হবে হয়তো। পাত্তা দিলাম না।
রাত্রে বাসায় গিয়ে খবর দেখা শুরু করলাম। ওমা একি! সাঈদীকে চাঁদে দেখা গিয়েছে এই নিয়ে রীতিমতো সহিংসতা এবং বেশ কিছুজন নিহত!!!!!!!!!!!! এবার আশ্চর্য এবং আতংকিত হলাম।
একি ঘটছে?????
ওরা আজকে চাঁদে সাঈদীকে দেখা নিয়ে মানুষের ঈমান নিয়ে খেলা করছে। বন্ধ করো সহজ সরল মানুষের ঈমান নিয়ে এসব হোলি খেলা। এক্ষেত্রে একটি ঘটনার উল্লেখ না করে পারছি না.............
একদিন বড়পীর হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (রহঃ) রৌদ্রজ্বল দিনের বেলা রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন। কিছুক্ষন পরে তিনি খেয়াল করলেন, তাঁর শরীরে কোন রৌদ্র পড়ছেনা আর তাঁর শরীরের কোন ছায়া নেই। তিনি উপরের দিকে তাকালেন, দেখলেন একটি মেঘের টুকরা উনাকে ছায়া দিচ্ছে।
তিনি তখন মনে করলেন, এই রকম অবস্থার সৃষ্টি হতো যখন আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সঃ) যখন রাস্তা দিয়ে হাঁটতেন। তিনি বুঝে ফেললেন শয়তান তো আমাকে ধোকা দিচ্ছে। তিনি সাথে সাথে "আসতাগফিরুল্লাহ্" পড়তে শুরু করলেন। একটু পরে দেখলেন সেই মেঘের টুকরাটি উনার উপর থেকে সরে গিয়েছে।
আর চাঁদের ব্যাপারে আমরা সবাইতো জানি আমাদের প্রিয় নবী (সঃ) তাঁর নবুও্যতের প্রমান দেখাতে গিয়ে চাঁদকে তাঁর অঙ্গুলির ইশারায় দুই টুকরা করেছিলেন।
আমি দৃড় কন্ঠে বলতে চাই, আজকে যারা চাঁদে সাঈদীকে দেখা গিয়েছে বলে সাধারণ মুসলমানের ঈমান নিয়ে খেলা করছেন আর পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছেন, অতি শীঘ্রই এই শয়তানের পথ থেকে ফিরে আসুন। কার জন্যে আপনারা এভাবে নিজের জীবনকে বিলিয়ে দিচ্ছেন ??? কিসের স্বার্থে ??????????? ইসলাম ??????????????? সত্যিই কি তাই, নাকি অন্য কিছু ??????????????????????? ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।