পৃথিবীটা দেখতে চাই হাতের মুঠোয় - কিন্তু তার জন্য কস্ট করতে ইচ্ছুক নই।
আজকে আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে আওয়ামী লীগ দ্বিতীয় গুলিটি ছুড়ল। আগের গুলিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকার আর এই গুলিতে ঘায়েল হল জামাতের নিবন্ধন ( দল হিসেবে নিশিদ্ধ নয় )। তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিলের বিষয়টি যেমন দেশকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দিয়েছে, একই ভাবে জামাতের নিবন্ধন বাতিল কি খুব শুভ হবে??
প্রাথমিক সংবাদে যা বুঝা গেল তার সারমর্ম হচ্ছে - পঞ্চদশ সংশোধনীর আগে সংবিধানে যখন 'আল্লাহর উপর পুর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস' উপস্থিত ছিল তখন জামাতের নিবন্ধন ঠিক ছিল। পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে এই বিষয়টি তুলে দিয়ে সেকুলারিজম ( ধর্মীয় প্রভাবমুক্ত রাস্ট্র ব্যাবস্থা ) সংবিধানে সংযোজনের ফলেই জামাতের নিবন্ধন সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক হয়েছে বিধায় তা বাতিল করা হল।
মুল সমস্যাটা হয়েছে জামাতের গঠনতন্ত্রের 'সকল ক্ষমতার উৎস আল্লাহ' এই বিশ্বাসটি - যা নতুন সেকুলার সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক। অর্থাৎ এই নিবন্ধন বাতিল জামাতের '৭১ এর ভুমিকার জন্য নয় - বরং আওয়ামী লীগের করা সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর জন্য।
আগে থেকেই মানুষের কাছে আওয়ামী লীগের ইসলাম বিরোধী একটা পরিচিতি ছিল - শাপলা চত্তরের গনহত্যা যা প্রকটতর করেছে। এখন এই রায়ের মাধ্যমে বিষয়টা আরো পরিষ্কার হল। এখন দেখার বিষয় জনগন বিষয়টি কিভাবে নেয়।
সাধারণ মানুষতো আইন আদালতের বিষয়গুলি অত বিস্তারিত দেখে না তারা দেখবে 'আল্লাহর উপর পুর্ণ বিশ্বাস' বা 'আল্লাহ সকল ক্ষমতার উৎস' এই বিশ্বাসের কারণে আওয়ামী লীগ জামাতের নিবন্ধন বাতিল করেছে - অথচ এই দুটিই যেকোন মুসলমানের অন্যতম মৌলিক বিশ্বাস। এখান থেকে যদি তারা নিশ্চিত হয় যে আওয়ামী লীগ ক্ষমতার উৎস হিসেবে আল্লাহর উপর মোটেই বিশ্বাস রাখে না তাহলে সেটা সাধারণ ধর্মপ্রান মানুষের কাছে কিছুতেই গ্রহনযোগ্য হবে না।
সুতরাং এটাই হতে পারে জনপ্রিয়তার নিম্নতম স্তরে থাকা আওয়ামী লীগের কফিনের শেষ পেরেক। আর যদি এরই ধারাবাহীকতায় '৭৩ এর মত একতরফা ভোট ডাকাতির নির্বাচন করার চেস্টা করে তাহলে সেটা হবে কফিনে বদ্ধ হয়ে সাগরে ঝাপ দেয়ারমত ধ্বংসাত্মক কাজ - যার পরিনতিতে এই দেশের মাটি থেকে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুঝে যাওয়াও অসম্ভব নয়।
কি হবে তা সময়ই বলে দেবে, আমরা গ্যালারীতে আছি পরিস্থিতি কোন দিকে যায় দেখার জন্য।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।