দেশকে ভালবাসি প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীর যদি জেল জরিমানার শাস্তি হয়, তবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলাম সম্পর্কে বিরুদ্ধবাদীদের কেন পুরস্কৃত করা হচ্ছে? সামাজিক যোগাযোগ সাইট ফেইসবুক ও বিভিন্ন ব্লগে মহান আল্লাহ পাক এবং রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফসহ ইসলাম সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ লেখালেখির প্রমাণ পাওয়ার পরও সংশ্লিষ্ট নাস্তিক ব্লগারদের বিরুদ্ধে সরকার এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। অথচ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটূক্তির জন্য তাৎক্ষণিক শাস্তি দেয়া হয়েছে অনেককে। প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তি করায় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হয়। অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু কামনা করে ফেইসবুকে মন্তব্য লেখায় ২০১১ সালের ২ অক্টোবর জাবি শিক্ষক মোহাম্মদ রুহুল আমিন খন্দকারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করা হয়। অথচ কতিপয় ব্লগার নামধারী নাস্তিক ব্যক্তি যেমন- নিতাই ভট্টাচার্য, আসিফ মহিউদ্দিন, সুভ্রত শুভ, পারভেজ আলম, তন্ময় তালুকদার প্রমুখ ব্লগাররা হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলাম সম্পর্কে অবমাননাকর কুরুচিপূর্ণ ও জঘন্য লেখা নিয়মিত প্রকাশ করে যাচ্ছে ফেজবুক ও ব্লগগুলোতে। যা যে কোনো ধর্মপ্রাণ মুসলমানের হৃদয়কে জর্জরিত ও আন্দোলিত করে। এমন ধরনের অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ লেখার প্রতিবাদ জানানোর ভাষা হয় না। তারপরও কেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা না নিয়ে উপরন্তু স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী এসব অসভ্য ব্লগার নামধারী দুর্বৃত্তদের অপকর্ম নির্বিঘ্নে করতে তাদের নিরাপত্তা দেয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছে? (সূত্র : বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক) তার জবাব বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মুসলমানকে দিতে হবে। কারন প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটূক্তিকারীর যদি জেল-জরিমানার শাস্তি হয়, তবে হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ইসলাম সম্পর্কে বিরুদ্ধবাদী কুৎসা রটনাকারীদের কেন পুরস্কৃত করা হচ্ছে? (চলবে)
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।