যে মুখ নিয়ত পালায়......। ।
বিটিভি মানে বাংলাদেশ টেলিভিশনের খবর সবাই দেখেছেন নিশ্চয়ই। চিরশান্তির খবর বলতে যা বোঝায় এটা অনেকটা সে রকম। দেশ দিন দিন উন্নতি জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে, হরতালে ব্যাপক ভাংচুর হলেও দেখা যাবে জনজীবনে কোন প্রভাব ফেলে নি এমন ভিডিও চিত্র।
শহীদ জিয়া বিএনপির সময়ে এবং শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামিলীগের সময়ে পাচবছরের জন্য আসন গেড়ে বসেন এই বিটিভি তে। আমার মনে হয় পাচ বছর একজনের কথা শুনতে শুনতে এবং ছবি দেখতে দেখতে অতীষ্ট হয়েই মানুষ একবার বিএনপি আরেক বার আওয়ামিলীগে ভোট দেয়।
এসব বিটিভির তেলমারা কার্যক্রম। যার পিছনে যুক্তি আছে। কারন আছে।
কিন্তু আমি এমন একটা জিনিস দেখলাম যেটার পেছনের যুক্তি কারণ কি হতে পারে অনেক চিন্তা করলাম। কোন কূল কিনারা করতে পারি নি।
কূল কিনারা না করতে পারা বিষয়টাঃ
বিটিভি তে কিছুদিন পরপর একটা খবর দেখা যায়। খবরে একজন ভদ্রমহিলা খুব সুন্দর করে বলছেন, চীনের ওয়াংডং প্রদেশে পাণ্ডা দম্পতির একটি বাচ্চা হয়েছে। বাচ্চাটি সুস্থ আছে।
বাচ্চা হবার পর মা বাবা দুজনকেই বেশ উৎফুল্ল দেখা গেছে। মা পাণ্ডা আগের মতই বাশঁ গাছের পাতা ডাল খাচ্ছে।
তখন ভিডিওচিত্রে দেখানো হয় দুইটি পান্ডা বাশেঁর ডাল ভেঙ্গে খাচ্ছে। মাঝে একবার ছোট বাচ্চাটিকে দেখানো হয়।
তার কিছুদিন পরে খবরে ভদ্রলোক একজন বলবেন, চীনের ঝিনঝিয়াং প্রদেশের হু চি মিন চিড়িয়াখানার পান্ডা দুটো সুস্থ আছে।
তারা চিবিয়ে চিবিয়ে বাশেঁর পাতা খাচ্ছে। উল্লেখ্য বাশঁ তাদের অনেক প্রিয়।
আরেকদিন একজন ভদ্রমহিলা হেসে হেসে বলবেন, এবার একটি আনন্দের খবর। চীনের সিচুয়ান প্রদেশের জাতীয় চিড়িয়াখানার পাণ্ডা দুটোর মধ্যে বড়টি স্বাভাবিক জীবনযাপনে ফিরে এসেছে। আগের মত বাশঁ খাচ্ছে।
তাকে সঙ্গীর সাথে খেলা করতে ও দেখা গেছে কয়েকবার।
বিরাট আশ্চর্য নিয়ে ই খবরগুলো দেখি। চীনের পাণ্ডার কয়টা বাচ্চা হল,পাণ্ডা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এল না পাগল হল,চবিয়ে চিবিয়ে বাশঁ খেল না আস্ত গিলে ফেলল এসব দেশের জাতীয় টেলিভিশনের খবরে কেন আসে,কীভাবে আসে,এই পান্ডার খবর কেন দরকারী তার কিছুই বুঝতে পারি না।
তবুও পান্ডার খবর আসলে আগ্রহ নিয়ে বসে থাকি। যদি কিছু বোঝা যায়....................................
এই সেই ভদ্রলোক/ভদ্রমহিলা পান্ডা
যারা এই বিস্ময় উদ্রেককর খবরটি মিস করেছেন মানে এখনো দেখেন নি তারা বিটিভির সকালের খবর একমাস দেখলেই পান্ডাদের খবর পেয়ে যেতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।