আমি চিরন্তন মুক্তিকামী।
বাংলাদেশ টেলিভিশন বা বিটিভির আবির্ভাব ঘটে আমাদের স্বাধীনতার পরে। তবে বিটিভি প্রকৃত গতি পায় সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে। জিয়াউর রহমান চিন্তা চেতনায় অনেক আধুনিক ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন যে টেলিভিশনের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে একটি জাতির সামনে বিশাল তথ্য জগতের দরজাটা খুলে দেয়া সম্ভব।
টেলিভিশনের মাধ্যমে জাতিকে শিক্ষিত করে তোলার পরিকল্পনাটা শহীদ জিয়ারই ছিল। এ কারণে তার আমলে রঙীন হওয়া সহ বিটিভি আরো একটি চ্যানেল পায়। এই ২য় চ্যানেল তৈরির মূল উদ্দেশ্য ছিল কোন কারনে প্রথম চ্যানেল এর মাধ্যমে অনুষ্ঠান প্রচার বিঘ্নিত হলে ২য় চ্যানেলটি ব্যবহার করে কাজ চালিয়ে যাওয়া।
এই ২য় চ্যানেলটির বহুমুখী ব্যবহার আমরা দেখতে পাই '৯১সালে বি.এন.পি সরকারের আমলে। ঐ ২য় চ্যানেলের মাধ্যমে তদানীন্তন সরকার বিবিসি ও সিএনএনের অনুষ্ঠান প্রচারের ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু এই মহৎ উদ্যোগটি কি কারণে জানি'৯৬ এ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে অবশ্য হাস্যকর ভাড়ায় ইটিভিকে ঐ ২য় চ্যানেলটি ব্যবহার করতে দিলে সাধারণের কাছে অনেক কিছু পরিস্কার হয়ে আসে।
যাই হোক, আমাদের বর্তমান তথ্য উপদেষ্টা ঐ ২য় চ্যানেলটির মাধ্যমে বিবিসি,আল জাজীরা বা সিএনএনের মত খবর নির্ভর চ্যানেলগুলো প্রচারের ব্যবস্থা করতে পারেন। তিনি অবশ্য সব গুলো বাংলা চ্যানেলকেই টেরিস্টৃয়াল সম্প্রচার প্রদানের কথা চিন্তা ভাবনা করেছিলেন। তবে নানা কারণে তা আর সম্ভব হয়ে উঠেনি।
কিন্তু বিবিসি সিএনএন ও আল জাজীরার মত সংবাদ নির্ভর চ্যানেল গুলো প্রচারের ব্যবস্থা করলে একদিকে যেমন একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী তথ্য ও সংবাদের সাথে সম্পৃক্ত হতে পারবে তেমনি অপরদিকে সাধারণ মানুষের মধ্যেও ইংরেজী সচেতনতা গড়ে উঠবে। মি:তথ্য উপদেষ্টা এই দিক গুলো ভেবে দেখতে পারেন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।